কল্লোল দে :
বাংলাদেশের স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সাথে সমন্বয় রেখে একই সময়ে কক্সবাজারের উখিয়া টেকনাফের ৩৪ টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন এর আওতায় ১ লাখ ৫২ হাজার ৩৫৬ জন রোহিঙ্গা শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। সেই সাথে কক্সবাজার জেলার আট উপজেলার ৪ লাখ ৮৩ হাজার ৯৮৩ শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল। আগামী১৮ থেকে ২২ জুন জেলার ১ হাজার ৮০২টি কেন্দ্রে এই ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। একইসাথে ৭২ ইউনিয়নের ২১৬ ওয়ার্ডে সচেতনতার জন্য পুষ্টিবার্তাও প্রচার করা হবে।
তবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৫ দিন ব্যাপী ক্যাম্পেইন এ ঘরে ঘরে গিয়ে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ান হবে।
বুধবার (১৫ জুন) বিকেল সাড়ে ৩টায় কক্সবাজার ইপিআই কনফারেন্স হলরুমে এক সংবাদ সম্মেলনে ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. মহিউদ্দিন খান আলমগীর এ তথ্য জানান। ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন জানান, ৩৪টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৪৫ টা সাইডে ৪১৬ টি টিম কাজ করবে। প্রতিটি মেয়ে চারজন করে সদস্য থাকবেন। ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর পাশাপাশি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের শিশুদের পুষ্টি পরীক্ষা করা হবে একই সময়।
ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন বলেন, ‘ক্যাম্পেইনে বাংলাদেশী ৬ থেকে ১১ মাস বয়সি ৫৮ হাজার ৪২৭ শিশুকে একটি করে নীল রঙের ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৪ লাখ ২৫ হাজার ৫৫৬ শিশুকে লাল রঙের ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ক্যাম্পেইনে টিকা খাওয়ানোর পাশাপাশি অভিভাবকদের সচেতনতার জন্য বিভিন্ন পুষ্টিবার্তাও প্রচার করা হয় বলে এটিকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন বলা হয়।’
সিভিল সার্জন আরও বলেন, ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন সরকারের অত্যন্ত মহৎ এবং ব্যয়বহুল উদ্যোগ। স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট জাতি গড়তে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর বিকল্প নেই। এ উদ্যোগের কারণে দেশে রাতকানা ও বিটটস স্পট, হাম, দীর্ঘমেয়াদী ডায়রিয়া ও মারাত্মক অপুষ্টি জনিত রোগী তেমন দেখতে পাওয়া যায় না। বলতে গেলে এটি অবশ্যই সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের বড় সফলতা। শিশুদের জন্য ভিটামিন-এ ক্যাপসুল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং নিরাপদ। তাই আমাদের সচেতন থাকতে হবে।’
সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. শাহ ফাহিম আহমাদ ফয়সালের সঞ্চালনায় ভিটামিন-এ ক্যাপসুলের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বিভিন্ন সাংবাদিক মুক্ত আলোচনা করেন।