রহমান তারেক :
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে কউক কর্তৃক সংস্কারাধীন কক্সবাজার শহরের প্রধান সড়ক সংলগ্ন এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২১ জুন) সকালে কউকের মাল্টিপারপাস হলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর মোহাম্মদ নুরুল আবছার (অব.)। কক্সবাজারের প্রধান সড়ক সংলগ্ন এলাকার জলাবদ্ধতা দূরীকরণে বিভিন্ন সেবা সংস্থা ও নাগরিকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন কউক চেয়ারম্যান।
সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদানে আজ কক্সবাজারবাসী উন্নত শহর উপহার পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজার এসে দেখে গিয়েছেন বলেই এতো বড় কর্মযজ্ঞ করতে সক্ষম হয়েছি। রাস্তাঘাটের উন্নয়নের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা নিরসন থেকে শুরু অনেক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলমান রয়েছে। সামনে আরও বড় প্রকল্প হাতে নেয়া হচ্ছে।’ তিনি রাস্তা সংলগ্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দূরীকরণে রাস্তা ও রাস্তা সংলগ্ন ড্রেনে আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকতে সকলে অনুরোধ জানান। কক্সবাজার শহরকে পরিস্কার রাখতে কমিউনিটিভিত্তিক আবর্জনা ব্যবস্থাপনা সিস্টেম চালু করার জন্য স্থানীয় জনসাধারণকে অনুরোধ জানিয়ে এক্ষেত্রে কউক থেকে প্রয়োজনীয় সহায়তার আশ্বাস দেন।
সভায় স্থানীয় জনসাধারণ, ব্যবসায়ী নেতৃবন্দ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন। সভায় উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ জলাবদ্ধতার বিভিন্ন কারণ ও সংস্কারকৃত সড়কের যথাযথ ব্যবহার নিয়ে তাদের বক্তব্য ও পরামর্শ উপস্থাপন করেন।
স্থানীয় হাশেমিয়া মাদ্রাসা এলাকার বাসিন্দা তামজিদ ইসলাম বলেন, ‘হাশেমিয়া মাদ্রাসা থেকে হলিডে মোড় পর্যন্ত আগে খুবই জরাজীর্ণ ছিল। চলাচলের বেহাল অবস্থা ছিল। কিন্তু কউক উন্নয়ন করে সেই চিত্র পাল্টে দিয়েছে। এখন এই রাস্তাকে সুন্দর রাখা আমাদের নাগরিক দায়িত্ব। বিশেষ করে প্লাস্টিক এবং পলিথিনের কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। আমরা যদি এসব পরিত্যক্ত বর্জ্য নির্দিষ্ট স্থানে ফেলি তবে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবো।’
বাজারঘাটার ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমরা বাজারঘাটায় জলাবদ্ধতার উপর ব্যবসা করে আসছি। একটু বৃষ্টি হলেই দোকানে পানি ঢুকে যেত। কিন্তু ইতোমধ্যে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ প্রধান সড়ক সংস্কার ও উন্নয়ন করায় জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পেয়েছি। এমন সুন্দর উদ্যোগের জন্য বাজারঘাটা ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে কউককে ধন্যবাদ জানাই।’ স্থানীয় বিজিবি ক্যাম্পের বাসিন্দা স্থপতি মামুনুর রশীদ শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য সামরাই খালসহ শহরের অন্যান্য খালসমূহ খনন করার জন্য অনুরোধ জানান। এছাড়া পাহাড় কাটার কারণে বৃষ্টিতে ভেসে আসা বালি ড্রেনেজ সিস্টেমকে বাধাগ্রস্থ করছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
কউক এর সদস্য (প্রকৌশল) এবং হলিডে মোড়-বাজারঘাটা-লারপাড়া (বাস স্ট্যান্ড) প্রধান সড়ক সংস্কারসহ প্রশস্তকরণ প্রকল্পের পরিচালক লে. কর্নেল মো. খিজির খান বলেন, ‘অন্যান্য শহরের চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই শহরকে সৌন্দর্যবর্ধনে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। তাই বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়ে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কক্সবাজারকে সাজাচ্ছে। এই উন্নয়ন যাত্রায় কক্সবাজারবাসীকে সহযোগিতা করতে হবে। উন্নয়ন কর্মকাণ্ডগুলোকে যত্ন সহকারে ব্যবহার করলে এর সুফল দীর্ঘদিন ধরে ভোগ করা যাবে।’