চকরিয়া প্রতিবেদক :
প্রতি পক্ষের জন্য নালিশ করায়,সালিশী বৈঠকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সামনে ছুরিকাঘাতে আনোয়ার হোসেন (৩৫) নামে এক যুবককে খুন করা হয়েছে।
শনিবার রাত ১২টার দিকে চকরিয়া উপজেলার পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়নে এঘটনা ঘটেছে।
নিহত আনোয়ার হোসেন (৩৫) পশ্চিম বড় ভেওলা ইউপির ৬নাম্বার ওয়ার্ডের উত্তরপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ লেদুর ছেলে।
স্থানীয় লোকজন জানায়, ৬/৭ সাস আগে নাসির উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি আনোয়ার হোসেনের স্ত্রীর সাথে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে বাকবিতন্ডার জেরে হাতে কামড় দেন। এ বিষয় নিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য সুলতান মাহমুদ সালিশ বিচারের মাধ্যমে নাসির উদ্দিনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ফরমান। এই জরিমানার টাকা যথাযথ পরিশোধও করেন নাসির উদ্দিন।
কয়েকদিন আগে ওই এলাকার মোহাম্মদ এনামের ছেলে মো. আয়াজ (২২) আনোয়ার হোসেনকে ‘এক কামড়ে ১০ হাজার টাকা’ উস্কানিমূলক কথা বলে ক্ষেপায়। এক পর্যায়ে এই বিষয় নিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য সুলতান মাহমুদকে বিচার দেন আনোয়ার।
শনিবার রাত ১২টার দিকে স্থানীয় বাজারে একটি কামারের দোকানের সামনে বসে এই বিষয়ে বিচার চলছিল। এক পর্যায়ে আয়াজ কামারের দোকান থেকে ছুরি নিয়ে আনোয়ার হোসেনের পিঠে আঘাত করে। এসময় লোহার রড় নিয়ে মাথায় আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন।পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় এক পল্লীচিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে তিনি মারা যান।
নিহত আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার বলেন, স্থানীয় মেম্বার সুলতান মাহমুদকে বিচার দেওয়ায় আমার স্বামীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। তাকে দ্রæত হাসপাতালে চিকিৎসা না নেয়ায় তিনি মারা যান। মেম্বার এবিষয়ে কোন প্রতিবাদ না করায় আমার স্বামীকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার সাহস পেয়েছে আজিজ।
চকরিয়া থানার ওসি (তদন্ত) আবদুল জব্বার বলেন,ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যান পুলিশ।পরে পড়ে থাকা যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়। ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে।এবিষয়ে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পুলিশ মাঠে রয়েছেন।