শিরোনাম :
পেকুয়ায় গুলি বর্ষণের ঘটনায় ১৪ জনকে আসামি করে মামলা কোস্ট গার্ড ও র্যাবের অভিযান : শাহপরীর দ্বীপ উপকূল থেকে এক লাখ পিস ইয়াবা সহ ৫ ইয়াবা কারবারি আটক জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ রোহিঙ্গা সংকটের উপর প্রস্তাব গ্রহণ গভীর সাগরে ভাসতে থাকা ২২ মাঝিমাল্লা সহ ফিশিং বোট উদ্ধার পেকুয়ায় লবণমাঠ দখলে নিতে ফাঁকা গুলি ছুটলো র্দূবৃত্তরাঃআহত-১৬ চকরিয়া ডাকাতি মামলার তিন আসামীকে গ্রেফতার করেন পুলিশ গভীর সাগরে বিকল ১২ জেলে সহ ফিশিং ট্রলার উদ্ধার কক্সবাজারে বিশ্ব আবহাওয়া দিবস পালিত রোহিঙ্গা বোঝাই ট্রলার ডুবি : নিখোঁজ হয়ে মৃত উদ্ধার বিজিবি সদস্য চকরিয়ায় অস্ত্র,মাদক ও টমটম চুরি মামলা মিলে ৪ আসামী গ্রেফতার

পরীক্ষামূলক উৎপাদনে গেল মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্র

নিউজ রুম / ৫৮ বার পড়ছে
আপলোড : শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫, ০৪:৩০ পূর্বাহ্ন

সাকলাইন আলিফ :
কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়িতে নির্মিত কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে আজ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে।
আজ শনিবার (২৯ জুলাই) থেকে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলো কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় কয়লাভিত্তিক মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট। এতে ৩৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দিয়ে পরীক্ষণমূলক উৎপাদনের কার্যক্রম শুরু হয়।
২৯ জুলাই শনিবার বেলা ১২ টা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ শুরু করেন মাতারবাড়ি কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পের এমডি আবুল কালাম আজাদ, কোল পাওয়ারের চিফ ইঞ্জিনিয়ার মোঃ সাইফুর রহমান,সাইট ইঞ্জিনিয়ার মনোয়ার হোসেন,রোকনজ্জামান ও সিকিউরিটি অফিসার আলফাজ উদ্দিনসহ একটি টিম।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, উৎপাদনের এ ধারা অব্যাহত থাকলে বিকাল নাগাদ তা ১২৫ থেকে ১৫০ মেগাওয়াট বেশী হতে পারে। এই ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা ৬০০ মেগাওয়াট।

শনিবার বেলা ১২ টায় এই ইউনিটে পরীক্ষামূলক ভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করা হয় বলে মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ প্রকল্পের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মনোয়ার হোসেন মজুমদার পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায় – শনিবার বেলা ১২ টার দিকে মাতারবাড়ি কয়লাবিদ্যুৎ কে কেন্দ্র চালু করলে চুল্লি থেকে ধোঁয়া বের হয়ে এবং পরিক্ষামূলক ভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ শুরু করা হয়। প্রথম দিনে তেল দিয়ে ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে এবং তা জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে এবং আজ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন চালু থাকবে। আগামী ৪ সেপ্টম্বর থেকে কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করবেন বলে জানা যায়। ইতিমধ্যে কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে দু’লাখ টন কয়লা সংরক্ষণ রয়েছে বলে জানা যায়।
তিনি জানান, পরীক্ষামূলক উৎপাদনের শুরুতে ৩৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। বিকেল থেকে এর উৎপাদন ১২৫ থেকে ১৫০ মেগাওয়াট পর্যন্ত হতে পারে। এই ইউনিটে ১২৫ থেকে সর্বোচ্চ ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুতই পরীক্ষামুলকভাবে উৎপাদন করা হবে। উৎপাদিত এই বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে সরবরাহ করা হবে।

আগামী ডিসেম্বর নাগাদ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের এই ইউনিটে পুরো সক্ষমতা অনুযায়ী ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করার আশা করছেন সংশ্লিষ্ট এ কর্মকর্তা।

কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ মাতারবাড়ি ও ধলঘাটা ইউনিয়নের মাঝামাঝি এক হাজার ৬০৮ একর জমির ওপর স্থাপিত হচ্ছে দুটি ইউনিটে বিভক্ত ১২ শ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র। কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিপিজিসিএল) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।

মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ প্রকল্পের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মনওয়ার হোসেন মজুমদার জানিয়েছেন, মাতারবাড়ী পাওয়ার প্ল্যান্টের দু’টি ইউনিটের মধ্যে প্রথমটি আজ শনিবার পরীক্ষামূলকভাবে চালু হচ্ছে। এই ইউনিটটির উৎপাদন ক্ষমতা ৬০০ মেগাওয়াটের হলেও প্রাথমিকভাবে ১২৫ থেকে ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পরীক্ষামুলকভাবে উৎপাদন করা হবে। এ জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। উৎপাদিত এই বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডেই সরবরাহ করা হবে।

মাতারবাড়ী পাওয়ার প্ল্যান্টের দ্বিতীয় ইউনিটের পরীক্ষণমূলক উৎপাদন শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে আগামী ডিসেম্বর মাসে। সেটিতেও পরীক্ষণমূলক উৎপাদনে ১২৫ থেকে ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে।

মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পের নির্বাহী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলতি বছরের ডিসেম্বরে ইউনিটটি নিয়মিত উৎপাদন প্রক্রিয়ার উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। প্ল্যান্টের সম্মিলিত উৎপাদন ক্ষমতা এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট, আগামী মার্চ বা এপ্রিল মাসে পুরোদমে বানিজ্যিক উৎপাদনের যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে এটি পুরোপুরি চালুর পূর্ব পরিকল্পনা আছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

সরকারের মেগা প্রকল্পগুলোর অন্যতম মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এটি জাপানের আর্থিক সহায়তার প্রায় ৫১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে এবং এটি প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মতে, পুরো প্ল্যান্টে প্রতিদিন ১০ হাজার টন ও প্রতিটি ইউনিটে পাঁচ হাজার টন কয়লা প্রয়োজন হবে। এখন পর্যন্ত তিন লাখ টন কয়লা সংরক্ষণ করা হয়েছে এবং আরো ৬৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে আগামী ৭ আগস্ট উৎপাদন এলাকায় পৌঁছাবে।

প্রকল্প পরিচালক জানান, জাহাজ থেকে সরাসরি ট্যাঙ্কে কয়লা আনলোড করার জন্য প্রকল্প এলাকায় দু’টি জেটির পাশাপাশি ১.৭ মিলিয়ন টন স্টোরেজ ক্ষমতার চারটি ট্যাঙ্ক ইতোমধ্যে নির্মিত হয়েছে। ট্যাঙ্কগুলোর ৬০ দিনের জন্য কয়লা সংরক্ষণের সক্ষমতা রয়েছে। জাহাজ থেকে কয়লা আনলোড করতে দেড় থেকে দু’দিন সময় লাগে। কয়লা উত্তোলনের জন্য দু’টি জেটি এবং কয়লা সংরক্ষণের জন্য চারটি ট্যাংক নির্মাণসহ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর ও মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্র সাইটের কাছে এলএনজি ও এলপিজি টার্মিনাল নির্মাণ করা হচ্ছে।
মাতারবাড়ি কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সম্মিলিত উৎপাদন ক্ষমতা এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট।
এটি কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি ও ধলঘাটা ইউনিয়নে এক হাজার ৬০৮ একর জমির ওপর মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের জন্য ২০১৪ সালে বাংলাদেশ সরকার এবং জাইকার প্রায় ৫১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে এই মাতারবাড়ি কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি।ইতোমধ্যে আগামী মার্চ বা এপ্রিল মাসে এ কেন্দ্রটি পুরোদমে বিদ্যুৎ উৎপাদনের যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়


আরো বিভিন্ন বিভাগের খবর