শিরোনাম :
পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে- টুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি পেকুয়া থানার নতুন ওসি মোস্তাফা’র যোগদান নারী-পুরুষ সমতা বিষয়ে শিশুদের সচেতন করতে কক্সবাজারে আরডিআরএস বাংলাদেশের নতুন প্রকল্প মহানবী (সঃ) এর আদর্শ অনুসরণ করা হলে কোন রাষ্ট্র প্রধানকে পালাতে হবেনা। -মিলাদুন্নবী (সঃ) এর আলোচনা সভায় বক্তারা কক্সবাজারে দ্বিতীয় দিনের মতো বন্ধ চিকিৎসা সেবা : রোগি শূণ্য হাসপাতাল # চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় মামলা; গ্রেপ্তার ২ কক্সবাজারে প্রবল বর্ষণ অব‍্যাহত উখিয়ায় ককটেল মৌলভীর সাম্রাজ্যে বনবিভাগের থাবা, বনের জমি উদ্ধার বিভাজনের রাজনীতিতে পা দিলে রাস্ট্র পুনর্গঠনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা যাবে না–সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ কক্সবাজারে সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর ফোন চুরি প্রান্তিক মৎস্যজীবী পরিবারের নারীদের নিয়ে “নারী সম্মেলন”

টেকনাফে বিজিবি-মাদক কারবারি সংঘর্ষ, নিহত ১; ৭ বিজিবি সদস্য সহ আহত ১৩

নিউজ রুম / ১৪ বার পড়ছে
আপলোড : শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:০৯ পূর্বাহ্ন

বিডি প্রতিবেদক :
কক্সবাজারের টেকনাফে বিজিবির সঙ্গে মাদক কারবারিদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। এছাড়াও বিজিবির ৭ সদস্যসহ অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছে। ২০ হাজার ইয়াবাসহ আটক করা হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী জাফর আলমকে আটক করা হয়েছে। তবে জাফরের পরিবার সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেছেন জাফর ষড়যন্ত্রের শিকার।

বুধবার (০২ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১২টায় টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা এলাকায় বিজিবি সদস্যরা ইয়াবা উদ্ধারে গেলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছে টেকনাফের হ্নীলার ২৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা সিরাজুল ইসলামের ছেলে রফিক (৪৮)। আহতদের মধ্যে বিকাল সাড়ে ৪ টায় ৫ জনকে আনা হয় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে। এরা হলেন, বিজিবির সিপাহি মাহমুদুল (২২), লেদার নুর হোসেনের ছেলে ইসমাঈল (৬০), নজির আহমদের ছেলে ওসমান (১৮), মৃত সাত্তারের ছেলে গুরা মিয়া (৯০), কামাল আহমদের ছেলে তৌহিদুল ইসলাম (৩৫)।
এছাড়া লেদা আইএমও হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছে, লেদার রাজ ও হাফেজ মুজিব।
রাত ৮ টায় টেকনাফস্থ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ এর পাঠানো এক বার্তায় জানানো হয়েছে, টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ লেদা বিওপি’র একটি চোরাচালান প্রতিরোধ টহলদল আনুমানিক ১২ টার দিকে চিহ্নিত মাদককারবারী মো. জাফর আলমকে ২০ হাজার ইয়াবা সহ আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে টহলদল উক্ত আটককৃত চিহ্নিত মাদককারবারী মোঃ জাফর আলমকে নিয়ে লেদা বাজার অতিক্রমকালে তার সহচরেরা মাইকিং করে তাদের আত্মীয় স্বজন দিয়ে রাস্তা অবরোধ করে। এ সময় জাফর আলম এর ভগ্নীপতি ডাকাত হারুন তার দলবল নিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র সহ বিজিবি ও ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয় জনতার উপর গুলিবর্ষণসহ হামলা করে এবং মাদক কারবারি জাফর আলমকে ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করে। এ সময় বিজিবি টহলদল আত্মরক্ষার্থে কয়েক রাউন্ড গুলি করে এবং সন্ত্রাসীদের ছত্রভঙ্গ করে আসামি ও মাদকসহ বিওপিতে ফেরত আসে। সন্ত্রাসীদের হামলায় ৭ জন বিজিবি সদস্য গুরুতর আহত হয় যাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের সবাইকেই হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। সন্ত্রাসীদের নির্বিচার গুলিতে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি হতাহত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তাদের আঘাতের বৈশিষ্ট্য পর্যালোচনায় ছররা গুলি বা দেশীয় বন্দুকের আঘাত বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রতীয়মাণ হয়। এব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী জানিয়েছেন, লেদা এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলমের ভাই জাফর আলমের বাড়িতে বিজিবির একটি দল অভিযান চালায়। এসময় ইয়াবাসহ এক ব্যক্তিকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার সময় সংঘবদ্ধ মাদক কারবারিসহ রোহিঙ্গা ও স্থানীয়রা বিজিবির ওপর হামলা চালায়। বিজিবিও পাল্টা গুলি করে। এ ঘটনায় একজন নিহত সহ ৭ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

টেকনাফ থানার ওসি মো. জোবাইর সৈয়দ জানিয়েছেন, লেদা সংঘর্ষের ঘটনায় মৌলভী রফিক নামের এক ব্যক্তি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। মরদেহ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হচ্ছে।

।। জাফরের পরিবারের সংবাদ সম্মেলন ।।
এদিকে, টেকনাফের লেদা স্টেশনে বিজিবির সঙ্গে স্থানীয় গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনায় জাফর আলম নামক এক ব্যক্তিকে বিনা কারণে আটক করার অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (২ আগস্ট) সন্ধ্যায় কক্সবাজার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ডেকে অভিযোগ তুলেছেন স্ত্রী হাজেরা আকতার।

তিনি বলেন, আমার স্বামী ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী। ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যাসহ নানা রোগে আক্রান্ত। লেদা স্টেশনের একটি ফার্মেসি থেকে ইনজেকশন দিয়ে বাড়িতে যাচ্ছিলেন।

বিজিবি চেকপোস্টে লোকজনকে মারধর করতেছে সংবাদ পেয়ে দেখতে যায়। ইতোমধ্যে জড়ো হওয়া সব লোক চলে গেছে। অসুস্থ বিধায় সে হাঁটতে পারে নি আমার স্বামী। তাকে একা পেয়ে ধরে নিয়ে যায় বিজিবি।

হাজেরা আকতার বলেন, আমার স্বামী বেশ কয়েক দিন কক্সবাজারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিল। অবস্থা উন্নতি না হওয়ায় চট্টগ্রাম রেফার করে চিকিৎসক। চট্টগ্রাম যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে বাড়িতে গিয়েছিলেন। ইতোমধ্যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার শিকার হয়ে গেলেন আমার স্বামী।

তিনি বলেন, বিজিকে অনেক অনুরোধ করেছি। আমাদের কোন কথা শুনেনি। অনুরোধ রাখেনি। আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে গেছে।

মাদক ও অস্ত্রের সঙ্গে জড়িয়ে যেন ফাঁসানো না হয়, অনুরোধ জাফর আলমের স্ত্রীর।

সংবাদ সম্মেলনে জাফর আলমের বড় ভাই ফরিদ আলম, মেয়ে সাদিয়া সোলতানা, ছেলে মোহাম্মদ জবের, জাহেদ ইকবাল, জায়েদ ইকবাল উপস্থিত ছিলেন।


আরো বিভিন্ন বিভাগের খবর