জিয়াউল হক জিয়া,চকরিয়াঃ
কক্সবাজারের চকরিয়ার মাতামুহুরী নদীর বন্যার পানিতে লাকড়ি ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া মোঃশাহ আলম (৩৫ ) লাশ ভাসমান অবস্হায় মহেশখালী নদীর পূর্বপাশের চর থেকে উদ্ধার করেন থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১০ আগষ্ট) দুপুর ২টার দিকে মহেশানী নদীর পূর্বপাশে খুটাখালীর সীমানাস্হ কাওয়ারডিয়া চর অর্থ্যাৎ নিরিবিলি গ্রুপের প্রজেক্ট দক্ষিণ-পম্চিম পাশের চর থেকে ভাসমান অবস্হায় লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত-মোঃশাহ আলম(৩০) উপজেলার লক্ষ্যারচর ৪নং ওয়ার্ডের উত্তর লক্ষ্যারচর-হাজীপাড়া গ্রামের মৃত জাকের হোসেনের ছেলে।
লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন,চকরিয়া থানার এসআই কামরুল ইসলাম।
উদ্ধারকৃত লাশটি শণাক্ত করেন-নিহতের বড়ভাই আবুল হোসেন(৫০),মাওঃআবুল কাশেম নুরী(৪০),জাহাঙ্গীর আলম(৩৭) ও লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান শহিদুল্লাহ ও সাবেক চেয়ারম্যান জিএম কায়ছার।
এবিষয়ে এসআই কামরুল ইসলাম বলেন,ভাসমান লাশ দেখে এক লোক থানায় খবরটি দিলে ওসি মহোদয় আমাকে ঘটনাস্থলে পাঠালে,আমি গিয়ে বিকেলে লাশটি উদ্ধার করি।উদ্ধার সময় খবর পেয়ে নিহতের ভাইয়েরা ঘটনাস্থলে পৌছলেন এবং লাশটি তাদের নিখোঁজ ভাই বলে শনাক্ত করেছেন।তবে লাশের গায়ে দুইটি তাবিজ,একটি আংটি পাওয়া যায়।প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করি।নিহতের ভাই সহ শহিদুল্লাহ মেম্বার ও সাবেক চেয়ারম্যান জিএম কায়ছারেরা জানান,গত সোমবার সকাল ৯টায় মাতামুহুরী নদীর লক্ষ্যারচর হাজিপাড়া পয়েন্টে লাকড়ি ধরতে নদীতে ঝাঁপ দেন শাহ আলম।পরে তাকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দিয়ে খোঁজে পাওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।তখন থেকে তারাও বিভিন্ন জায়গায় খোঁজতে থাকেন।এমতাবস্থায় অজ্ঞাত লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে তার ছুটে আসেন।এসে তারা নিখোঁজ শাহ আলমের মরদেহ বলে শণাক্ত করেছেন।
চকরিযা থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) জাবেদ মাহমুদ বলেন,উদ্ধারকৃত লাশটির পরিচয় মিললেও,আমি মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছি।কারণ নিখোঁজ হলো মাতামূহুরী নদীতে,পাওয়া গেলে মহেশানী নদীর চরে।তাই দায়িভার এড়াতে ময়না তদন্তের রিপোর্ট দরকার।