বিডি প্রতিবেদক :
কক্সবাজারে বন্য পরিস্থিতির কিছু টা উন্নতি হয়েছে। জেলার চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার উজানের কয়েকটি ইউনিয়নে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। তবে এখনো এই দুই উপজেলার ভাটির দিকের ১০ টি ইউনিয়নে বন্যার পানি রয়ে গেছে। বিভিন্ন স্থানে স্লুইস গেইট বন্ধ থাকায় বন্যার পানি সরতে পারছেনা। এখনো ৩০ টি গ্রাম বন্যার পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। স্হানীয় প্রশাসনের সুত্র মতে এই দুই উপজেলার এক লাখের বেশি বাসিন্দা বন্যার পানির মধ্যে রয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকার মানুষ চরম ভোগান্তি ও দুর্ভোগে রয়েছে। পানীয় জলের সংকট তীব্র। মানুষজন দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কে সরাসরি যান চলাচল শুরু হয়েছে।
পেকুয়া উপজেলায় বন্যার পানিতে ভেসে গিয়ে নিখোঁজ দুই শিশুসহ তিনজনের মরদেহ আজ সকালে উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতরা হলো উঝান্টিয়া ইউনিয়নের নুরুল আলমের মেয়ে তাহিদা বেগম ১০ ও আমির হোসেন ৫ ও সাবের আহমেদের মেয়ে হুমায়রা বেগম ৮। গতকাল সকালে মাতামুহুরি নদীর ঢলের পানিতে ভেসে গিয়ে নিখোঁজ ছিলো তারা।
এ ছাড়া চকরিয়া উপজেলার খুটাখালীত বন্যার পানিতে ভেসে গিয়ে নিখোঁজ একটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেপি দেওয়ান জানিয়েছেন বন্যার পানি ামতে শুরু করলেও এখনো নিম্নাঞ্চলের বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন বন্যার পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। বন্যার পানি পুরোপুরি নেমে গেলে বন্যার পুর্নাঙ্গ ক্ষয়ক্ষতি নিরুপন করা যাবে।
সকাল থেকেই চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কে সরাসরি যান চলাচল শুরু হয়েছে বলে এস আলম পরিবহনের সহ ব্যবস্থাপক নাজিম উদ্দিন জানিয়েছেন।
আজ চকোরিয়া উপজেলা প্রশাসন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করেছেন।