বিডি প্রতিবেদক :
কক্সবাজার শহরে আবাসিক হোটেলে নিয়ে এক তরুণ আওয়ামী লীগ নেতাকে ফিল্মী স্টাইলে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার (২১ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে পৌরসভার ঝাউতলা হলিডে মোড়ের হোটেল সানমুনের ২০৮ নাম্বার কক্ষ হতে দুই হাত বাঁধা রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার পুলিশ। কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক আওয়ামী লীগ যুবলীগ ছাত্রলীগ যৌথভাবে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। তারা হত্যাকারীকে খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায়।
নির্মম খুনের শিকার সাইফ উদ্দিন (৪৫)
কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ ঘোনার পাড়ার আনসার কমান্ডার আবুল বশরের ছেলে। তিনি এলাকার কাদেদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ছিলেন।
রোববার (২০ আগস্ট) বিকেলে সাইফ উদ্দিন সানমুন হোটেলে রুম নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে হোটেল কর্তৃপক্ষ। তবে, তিনি কিভাবে কখন হোটেলে মারা গেছেন তার বিস্তারিত তথ্য তারা জানাতে পারেনি।
নিহত সাইফ উদ্দিন কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন ইউনিটের দায়ীত্ব পালন করেছিলেন। সর্বশেষ পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক দুর্যোগ ও ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন তিনি।
সাইফ উদ্দিনের সাথে ছাত্রলীগের রাজনীতি করে একই সাথে কারাভোগ করা সাবেক ছাত্র নেতা ও বর্তমানে উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাসেল চৌধুরী বলেন, এরকম একজন সদালাপি সদা হাস্যোজ্জ্বল ভদ্র বিনয়ী মানুষকেও হত্যা করতে পারে? সেটাই বিশ্বাস করতে পারছি না। অমায়িক সাইফ উদ্দিনের মরদেহ উদ্ধারের খবরে পুরো শহরে শোকাবহ পরিবেশ বিরাজ করছে। তার সহযোদ্ধারা হোটেল এলাকায় ভীড় করছেন। নির্মম এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি চাই।
নিহতের পিতা আনসার কমান্ডার আবুল বশার বলেন, আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি আমার ছেলের হত্যাকারের বিচার চাই।
কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান বলেন, সাইফ উদ্দিনের হত্যাকে কোনভাবে মেনে নেওয়া যায় না। হত্যাকারের ফাঁসি চাই আমি।
কক্সবাজার সদর থানার ওসি জানান, শহরের হলিডের মোড়ে সানমুন হোটেলের কক্ষে ওই নেতার মরদেহ দেখে হোটেল কর্তৃপক্ষ পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এখনো ঘটনাস্থলে আছে। সাথে সিআইডি ও অন্য বিভাগের ইন্টেলিজেন্সরা রয়েছেন।
ওসি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে খুন করা হয়েছে। তবে কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে, এ ব্যাপারে খোঁজ নেয়া হচ্ছে। এখনো তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের পর আরও বিস্তারিত জানা যাবে বলে উল্লেখ করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মোঃ মাহফুজুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়টি আমরা খুব গুরুত্বসহকারে নিয়েছি, জেলা পুলিশের পাশাপাশি পুলিশের অন্যান্য টিম ও এটা নিয়ে কাজ শুরু করেছে।
###