স্টাফ রিপোর্টারঃ
কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়াতে আশ্রিত ক্যাম্পের রোহিঙ্গারা চকরিয়ার খুটাখালী ইউনিয়নে এসে রির্জাভ বনভূমিতে পাাহাড় কেটে নুর নাহার পরিবার ঘরবাড়ি করে স্হায়ী বসবাস করছেন।অপরদিকে ক্যাম্পের ছেলে-মেয়েরা এখানে এসে বিয়ে করে বসবাাস।তাদের থেকে জন্ম নেওয়া ছেলে-মেয়েরা সহ তারাও এদেশের নাগরিকত্ব পেতে ভোটার ও জন্মনিবন্ধনের মত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।
প্রতিবেদক হিসাবে দীর্ঘ সময় ধরে তদন্ত করে পাওয়া তথ্যমতে-মোচনী ক্যাম্পের বসবাসরত নুর নাহার ও তার পরিবার এখন চকরিয়ার খুটাখালীতে এসে স্হায়ী ভাবে বসবাস করyছেন।অথচ ক্যাম্পে ওয়াল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ইউএনএইচসিআর)এর নিবন্ধিত ফুড কার্ড নং-২৬৫২৫-এ।এই রোহিঙ্গা টাকার বিনিময়ে গত ২০২১ সালের ৪ নভেম্বর কক্সবাজার পৌরসভার মধ্যম টেকপাড়ার ঠিকানা দেখিয়ে পৌরসভার বাসিন্দা মৃত লোমান হাকিম আর নুর বাহারকে মা-বাবা বানিয়ে ১৯৮১২২২৬৬০৪১৬৫২০৭ জন্মনিবন্ধন উত্তোলন সহ ভোটার হন,ভোটার নং-৯১১২১৩২৫৩৬।সেই সাথে পানি পথে মালেশিয়া যাওয়া নুর নাহারের প্রবাসী স্বামী মোঃ রশিদ এর নামে একই পৌরসভা থেকে আমির হামজা আর জোহেরা খাতুনকে মা-বাবা বানিয়ে গত ২০২১ সালের ২৪ নভেম্বর জন্মনিবন্ধন উত্তোলন করেন,যার নং-১৯৯৯২২২৬৬০৭১৬৬৮১২।রশিদ প্রবাসী হলেও নুর নাহার বর্তমানে খুটাখালীর ৪নং ওয়ার্ডের মধ্যম গর্জনতলীর বাসিন্দা।
অপরদিকে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা ইলিয়াস একই ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের পূর্ব হাজীপাড়া এলাকার নুর নাাহারের মেয়ে জানোয়ারা বেগমকে বিয়ে ওখানে স্হায়ীভাবে বসবাস করছেন।তার ঘরে বর্তমানে এক মেয়ে ও এক ছেলে সন্তান রয়েছে।ওই ছেলে-মেয়েদের নামে পরিষদ থেকে জন্মনিবন্ধন উত্তোলন করছেন বলে জানান জানোয়ারা।সেই সাথে একই ওয়ার্ডের হেতালিয়াপাড়ার আবু হেনা কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক মেয়েকে বিয়ে করে ঘরে এনে বসবাস করাচ্ছেন।তাদের ঘরেও এক মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়।সেও তার রোহিঙ্গা স্ত্রী আর সন্তানকে জন্মনিবন্ধন আর ভোটার করাতে দৌঁড়ঝাপ শুরু করেন বলে স্বীকার করেছেন।
এবিষয়ে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান বলেন,রোহিঙ্গারা যদি এখানে এসে স্হায়ী বসবাস বা ভোটা আর জন্মনিবন্ধন করেন।তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।