সাকলাইন আলিফ :
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা শুরু হচ্ছে ২০ অক্টোবর থেকে। ২৪ অক্টোবর কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বিসর্জন উপলক্ষে বসবে বিশাল মিলন মেলা। এবারে কক্সবাজারের ৩১৫ টি মন্ডপে অনুষ্ঠিত হবে দুর্গাপূজা।
এ উপলক্ষে র্যাব পুলিশ সহ নানা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নিয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সবগুলো মণ্ডপ কে নিয়ে আসা হয়েছে সিসি ক্যামেরার আওতায়। শুরু হয়ে গেছে র্যাব ও পুলিশের ঢহল।
২০ অক্টোবর শুক্রবার ষষ্ঠী পূজা ও দেবী বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে শারদীয় দুর্গাপূজা। মন্ডপগুলো প্রায় প্রস্তুত। কিছু ছোটখাটো কাজ বাকি আছে সেগুলো আজকের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
কক্সবাজার শহরের ঐতিহ্যবাহী সরস্বতী বাড়ি মন্দিরে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিমা কারিগর বাবুল বন্দ্যোপাধ্যায়, মিল্টন বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিমার সব শেষ কাজগুলো করছিলেন মনোযোগ দিয়ে। তারা বলেন সব শেষ, একদম শেষ পর্যায়ের কাজটি করছি আমরা।
কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাবু উজ্জ্বল কর বলেন, এবার কক্সবাজার জেলায় ৩১৫ টি পূজা মন্ডপ হবে। তারমধ্যে ১৫১ টি প্রতিমা ও ১৬৪ টি গট পূজা। পুরো জেলায় শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গা উৎসব সম্পাদনের লক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা সহ সমাজের নানা শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে আমরা মতবিনিময় করেছি।
তিনি বলেন, ২৪ অক্টোবর সমুদ্র সৈকতের বিশাল বিসর্জন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সরকারি ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বেন্টু দাস বলেন, আমরা ইতিমধ্যে সকল পূজা মন্ডপকে সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে এসেছি। পুলিশ র্যাব সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি আমাদের নিজস্ব ৩০২০ জন স্বেচ্ছাসেবক থাকবে মন্ডপ গুলোতে।
র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল’ এন্ড মিডিয়া) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আবু সালাম চৌধুরী বলেন, দূর্গাপূজা উপলক্ষে কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলার আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বিশেষ চেকপোস্ট ও রোবাস্ট পেট্রোলিং পরিচালনা করেছে র্যাব-১৫। বান্দরবান-চট্টগ্রাম সড়কে ৪টি চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও কক্সবাজারের কলাতলি, বাজারঘাটা, বাস টার্মিনাল, ডলফিন মোড়, লাবণী পয়েন্ট, লিংক রোড, রামু ফুটবল চত্বর, টেকনাফ শাপলা চত্বর, ঝর্ণা চত্বর, শাহ পরীর দ্বীপ, হ্নীলা, সাবরাং, পালংখালী, উখিয়া টিভি স্টেশন বাজার, উখিয়া কোর্ট বাজার এবং বান্দরবান জেলার হাসপাতাল মোড়, কুহালং, তালুকদার পাড়া, রেইসা, মেঘলা, রুমা, টংকাবতী, রোয়াংছড়ি এলাকায় রোবাস্ট পেট্রোলিং পরিচালনা করা হয়।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মোঃ মাহফুজুল ইসলাম পিপিএম বলেন, আমি জেলা প্রশাসক সহ পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দদের সাথে একাধিকবার মিটিং করেছি। ইতিমধ্যে জেলা পুলিশের একাধিক টিম টহল শুরু করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে দেয়া বিশেষ নির্দেশনা গুলোকে মাথায় রেখে সাদা পোশাক সহ নানাভাবে তিন স্তরের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
সবশেষ সমুদ্র সৈকতের বিশাল বিসর্জনের দিনের জন্য আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।