বিডি প্রতিবেদক :
কক্সবাজারের উখিয়া টেকনাফের সাবেক সংসদ সদস্য আলোচিত আব্দুর রহমান বদির স্ত্রী ও পুত্র দাবিদার ইসহাক এই আসনে মনোনয়ন দাখিল করে। সোমবার যাচাই বাছাইয়ে পুত্র দাবীদার ইসহাকের মনোনয়ন বাতিল হয়। এই বাতিলের জন্য বদির প্রভাব কে দায়ী করছে পুত্র দাবিদার ইসহাক। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেন আব্দুর রহমান বদি। রিটার্নিং অফিসার বলেছেন, মৃত ও প্রবাসী ভোটারের ভুয়া স্বাক্ষর জমা দেওয়াই বাতিল হয়েছে।
কক্সবাজারে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র যাচাই বাছাইয়ের শেষ দিন গতকাল সোমবার কক্সবাজার ৩ কক্সবাজার সদর রামু ও ঈদগাহ আসন এবং কক্সবাজার ৪ উখিয়া টেকনাফ আসনের মনোনয়ন পত্র যাচাই-বাছাই সম্পন্ন করা হয়েছে।
জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোঃ শাহীন ইমরান জানান, কক্সবাজার ৪ আসনে ৯ জন প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শাহীন আক্তার জাতীয় পার্টির নুরুল আমিন সিকদারের মনোনয়ন সহ ৬ জন প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র বৈধ করা হয়েছে। এই আসনে ৩ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়েছে। তারা হলেন, টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল বশর, জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোহেল আহমদ বাহাদুর ও ও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির পুত্র দাবিদার মোঃ ইসহাক।
রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান এ আসনে যাদের প্রার্থীতা বাতিল করা হয়েছে তারা সকলেই স্বতন্ত্র প্রার্থী। তাদের দাখিল করা মনোনয়ন পত্রে মোট ভোটারের এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরে অসংগতি রয়েছে। তাই তাদের মনোনয়ন পত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়।
সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির পুত্র দাবীদের মোঃ ইসহাক অভিযোগ করে বলেন, আমার ছোট আম্মা শাহিন আক্তার ওই আসনের সংসদ সদস্য হলেও মূলত কাজ করেন আমার আব্বা আব্দুর রহমান বদি। আমি সবার বাসায় বাসায় গিয়ে এই স্বাক্ষরগুলো সংগ্রহ করেছিলাম। অনেক মানুষ উৎসাহিত হয়ে আমার কাগজে স্বাক্ষর করেছিলেন। ভয়ের কারণে এখন অনেকেই স্বাক্ষর দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করতেছে। আমি এখন আল্লাহর উপর ভরসা করে আছি। তারা হয়তো আমার আব্বার ভয়ে এখন অস্বীকার করতেছে।
তবে এ ব্যাপারে উখিয়া টেকনাফর সাবেক আলোচিত সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আব্দুর রহমান বদি বলেন, এ অভিযোগ সত্য নয়, কারণ কারো মনোনয়ন বাতিল বা গ্রহণ করা রিটার্নিং অফিসার বা নির্বাচন কমিশনের কাজ। সেখানে আমার কি করার আছে।
এ ব্যাপারে জেলারি অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, কক্সবাজার ৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ ইসহাকের মনোনয়ন বাতিল হওয়ার কারণ হলো শতকরা একভাগ ভোটারের মে তালিকা জমা দেওয়া হয়েছিল। সেটা নির্বাচন কমিশনে যাচাই-বাছাইয়ে কালে অনেক স্বাক্ষরকারী প্রবাসী ওমৃত ব্যক্তি ছিল। তাই মনোনীত বাতিল হয় ।