সেই ২৩ উগ্রপন্থীর বিরুদ্ধে মামলা করলো বিজিবি

নিউজ রুম / ১৮ বার পড়ছে
আপলোড : রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:১৮ অপরাহ্ন

বিডি প্রতিবেদক :

বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে আগ্নেয়াস্ত্রসহ  গ্রামে ডুকে পড়া মিয়ানমারের সেই ২৩ উগ্রপন্থীর বিরুদ্ধে অবশেষে মামলা করেছে বিজিবি।

শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারী) কক্সবাজারের ৩৪ বিজিবি’র এক সদস্য বাদী হয়ে উখিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

 শুক্রবার দুপুরে কক্সবাজারের উখিয়া থানায় বিজিবি বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন এবং অনুপ্রবেশকারিদের পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহাফুজুল ইসলাম।

তিনি জানিয়েছেন, এ সংক্রান্ত মামলায় বিভিন্ন ধরণের ১২-১৫ টি অস্ত্রও বিজিবির পক্ষে পুলিশকে সোপর্দ করা হয়েছে। মামলাটি নথিবদ্ধ করে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।

এক প্রশ্নের উত্তরে পুলিশ সুপার জানান, পুলিশের কাছে অস্ত্র সহ সোপর্দকারি ২৩ জনই মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত নাগরিক।

পুলিশ, বিজিবি, ইউপি পরিষদ ও গ্রামবাসীর কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, গেল ৬ ফেব্রুয়ারী (মঙ্গলবার) উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত অতিক্রম করে রহমতের বিল গ্রামে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করলে মিযানমারের অস্ত্রধারী কিছু উগ্রপন্থী। তখন তাদেরকে ধাওয়া করে ৪টি আগ্নেয়াস্ত্র ২৩ জনকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সোপর্দ করে গ্রামবাসী। পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল গফুর বলেন, আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রামবাসীর হাতে ধৃত  মিয়ানমারের সেই ২৩ উগ্রপন্থীর বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় মামলা লিপিবদ্ধ করা হয়েছে বলে শুনেছি।
রামুর বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মেহেদী হোসাইন কবির  বলেন কয়েকদিন আগে গ্রামবাসীর সহযোগীতায় ধৃত মিয়ানমারের ২৩ জনের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে।  তাদেরকেও পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।

উখিয়া থানার ওসি শামীম হোসেন বলেন, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও অস্ত্র আইনে বিজিবির দায়ের করা এজাহারটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে।

বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ৮ এপিবিএন এর সহ অধিনায়ক পুলিশ সুপার খন্দকার ফজলে রাব্বি বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রবেশ করার বিষয়টি জানি না। তবে মঙ্গলবার রাত থেকে সন্ত্রাসী গ্রুপ প্রধান নবী হোসেন ও তার সদস্যরা মিয়ানমার থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের তথ্য জানা গেছে। সে ক্যাম্পে প্রবেশ করতে পারে এমন আশংকায় সর্বোচ্চ সর্তকতা পালন করা হচ্ছে। তাকে পাওয়া মাত্রই গ্রেপ্তার করা হবে। এছাড়া সন্ত্রাসী সহ ক্যাম্পে যাতে কেউ প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য এপিবিএন সজাগ রয়েছে।


আরো বিভিন্ন বিভাগের খবর