শিরোনাম :
কক্সবাজারে মার্কিন নারীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেপ্তার আসামির আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি কক্সবাজারে নারীর প্রতি সংহিসতা নিরোধে প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল বেতুয়ায় ১৪ বসতবাড়ী জ্বলে-পুড়ে ছাঁইঃক্ষয়ক্ষতি প্রায় ২কোটি টাকা কক্সবাজারে মার্কিন নারীকে শ্লীলতাহানি : যুবক গ্রেপ্তার কক্সবাজার ট্যুরিজম অ্যাপস ভ্রমণিকা-র উদ্বোধন সাংবাদিকদের সাথে নবাগত পুলিশ সুপারের মতবিনিময় সভা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ পেলেন ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী চকরিয়ায় ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা বদরখালী বাজারে আগুন লেগে ৬ দোকান ভস্মীভূত পেকুয়ায় ব্যবসায়ীর বাড়িতে তান্ডব-লুটপাট

টেকনাফে ছোট ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনায় আসামী হলেন বড় ভাইসহ ৪ জন

নিউজ রুম / ৪১ বার পড়ছে
আপলোড : বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ১০:৩৮ পূর্বাহ্ন

সাঈদ মুহাম্মদ আনোয়ার  :

কক্সবাজারের টেকনাফে ছোট ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনায় বড় ভাইসহ ৪ জনকে আসামী করে মিথ্যা মামলা দায়ের ও হয়রানি বন্ধ এবং নির্দোষ স্বামীর মুক্তি পেতে  সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য খুরশিদা বেগম নামে এক নারী।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) উখিয়ার কোটবাজারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই আহবান জানান তিনি।
খুরশিদা বেগম বলেন, আমার স্বামী সম্পূর্ণ নির্দোষ। সে আমার ৫ সন্তানের মাথায় হতে রেখে সকলের সামনে বলেছেন যে, মৃত নুরুল ইসলামের রাশেদের মৃত্যুর বিষয়ে কিছুই জানেনা।
পারিবারিক জমি নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে তা স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে সমাধান করা হয়েছে। সেদিন চেয়ারম্যানের বিচার উভয় পক্ষ মেনে নিয়ে রায় অনুয়ায়ী আমার শাশুড়ী ৫ লক্ষ টাকা চেয়ারম্যানের কাছে জমা দিয়েছিল। কিন্তু একটি পক্ষ আমার শাশুড়ীকে ভুল বুঝিয়ে সেদিন আমার স্বামীর সাথে বিচারে যাওয়ায় আমার ভাসুর, আমার চাচা শ্বশুর, জামাইকে আমার দেবরের মৃত্যুর ঘটনায় উদ্দেশ্যমূলক ভাবে ফাঁসানো হয়েছে। যা প্রকৃত অপরাধীকে আড়াল করার সামিল।
এছাড়াও আমার দেবরকে ফাঁস লাগানো অবস্থায় পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে। তার সুরতহাল রিপোর্টে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাইনি। কিন্তু পোস্টমর্টেম রিপোর্ট না আসার আগেই আমার স্বামীসহ ৪জনকে হত্যা মামলার  আসামি করা হয়েছে। যা খুবই দু:খজনক।
তিনি বলেন, আমার স্বামী পরিবারের সবার বড় হওয়ায় ছোট ভাইদের পড়ালেখা থেকে শুরু করে যাবতীয় খরচ নিজে বহন করতেন। কখনোই তাদের আলাদা করে দেখেননি। সবসময় তাদের বিপদ-আপদে পাশে থেকে তাদের ছেলের মতো করে আগলে রেখেছেন। কিন্তু এইগুলো কি হয়ে গেল জানিনা।
তিনি আরও বলেন, আমার দেবরের লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ তা ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি জব্দ করেছেন। তাই মোবাইলের ফোন কলের তালিকা এবং রেকর্ড চেক করলে হয়তো প্রকৃত রহস্য বের হবে।
বর্তমানে আমি ৫ সন্তান নিয়ে খুবই মানবেতর জীবনযাপন ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই আমার দেবরের মৃত্যুর বিষয়টি তদন্তপূর্বক সঠিক ঘটনা উদ্ঘাটন করতে প্রশাসনের নিকট আকুল আবেদন করছি।


আরো বিভিন্ন বিভাগের খবর