
দেলওয়ার হোসাইন:
সারাদেশের লবণের চাহিদা মিটাচ্ছা কক্সবাজার অঞ্চলের লবণ চাষীরা এটা গৌরবের বিষয়। লবণের ন্যায্য মূল্য পেতে চাষীদের ধৈর্য্য ধর হবে। সরকারের উচ্চ মহলে আলোচনা চলছে। তিনি বলেন, আশা করছি বর্তমান মৌসুমের শেষের দিকে এবিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে লবণ চাষীদের ৫ শতাংশ সুদে ঋণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। লবণ চাষীদের কল্যাণে বিসিক কাজ করছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে পেকুয়া উপজেলা রাজাখালী জমিদার বাড়ী মাঠে বিসিক আয়োজিত লবণ চাষীদের প্রশিক্ষণ ও মতবিনিময় সভায় বিসিক চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত সচিব মোঃ সাইফুল ইসলাম একথা বলেন।
বাংলাদেশ লবণ চাষী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক এজেএম গিয়াসউদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন,শিল্প উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ বিসিক ঢাকা এর পরিচালক, কাজী মাহবুবুর রশিদ, বিসিক ঢাকা লবণ সেল প্রধান সারোয়ার হোসেন,বাংলাদেশ লবণ চাষী কল্যাণ সমিতির সভাপতি এডভোকেট শাহাব উদ্দিন, সহসভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজু।
এসময় প্রান্তিক লবণ চাষীদের দাবী উপস্থাপন করেন, পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক নাগরিক সংগঠন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)র সমন্বয়ক সাংবাদিক দেলওয়ার হোসাইন, লবণ চাষী আকতার হোসেন,আবদুল করিম প্রমূখ।
বক্তারা বলেন,২০ কোটি মানুষের লবণের চাহিদা পূরণ করেন কক্সবাজার অঞ্চলের লবণ চাষীরা, কক্সবাজার জেলা শুধু বাংলাদেশ নয় সারাবিশ্বের জন্য পরিচিত ও গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং এ জনপদের মানুষের জীবন-মান উন্নয়নে সরকারকে গুরুত্ব দিতে হবে এবং বিশেষ করে এ অঞ্চলের লবণ চাষিদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে হবে এবং লবণের ন্যায্যমূল্য কমপক্ষে পাঁচশত টাকা করতে হবে। অন্যথায় কক্সবাজারের লবণচাষিদের সাথে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
বিসিবি চেয়ারম্যান বলেন, লবণ চাষীদের সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় আনতে ব্যবস্থা নিতে সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে। লবণ চাষীদের তালিকা তৈরী করে প্রণোদনা সহায়তা দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের উদ্যোগ নিতে সরকারের কাছে সুপারিশ পাঠানো হবে।
এতে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন বিসিক উপ মহাব্যবস্থাপক মোঃ জাফর ইকবাল ভূঁইয়া।
এদিকে বেশ কিছু দিন ধরে লবণের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতের দাবীতে লবণচাষীদের জনসমাবেশ মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করে আসছে কক্সবাজার অঞ্চলে। লবণ শিল্প ও লবণচাষীদের রক্ষায় গত ৩১ জানুয়ারি পেকুয়ায় পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক নাগরিক সংগঠন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)র আয়োজনে বিশাল জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে কক্সবাজার ও আশপাশের লবণ ও লবণ চাষীদের বাঁচাতে কয়লা কারখানাসহ পরিবেশ দূষণকারী শিল্প কারখানা বন্ধ, লবণ শিল্পজাত পণ্য নয়, অবিলম্বে একে কৃষি পণ্য হিসাবে ঘোষণা ও লবণের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতে সরকারের দাবী তুলে ধরেন অন্যথায় লবণচাষীদের নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হবে ।