শিরোনাম :
শরীফ উসমান হাদির সুস্থতা কামনায় কক্সবাজারে ফ্যাসিবাদ বিরোধী সর্বদলীয় ঐক্যমঞ্চের উদ্যোগে গণ দোয়া মাহফিল উখিয়ায় দুস্থ ও শীতার্তদের মাঝে সেনাবাহিনীর শীতবস্ত্র বিতরণ কক্সবাজার প্রেসক্লাবে মহান বিজয় দিবস উদযাপন সামনের নির্বাচন সুষ্টু না হলে সংকট আরো বাড়বে-সুজন কক্সবাজার প্রেসক্লাবে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উদযাপন ওসি প্রদীপের সাজানো মামলা প্রত্যাহার ও সাংবাদিক ফরিদুলের পাসপোর্ট ফেরতের দাবি ড্রাইভার কল্যাণ একতা সমিতির নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভা সংসদ নির্বাচন নিরপেক্ষ করতে কর্মকর্তারা বদ্ধপরিকর ওসি প্রদীপের আক্রোশের শিকার সাংবাদিক ফরিদুলের ৬ মামলা প্রত্যাহার না হওয়ায় অসন্তোষ

সাংবাদিকরা ৫০ জন করে শ্রমিক সাপ্লাই দেন-বদি

নিউজ রুম / ১০১ বার পড়ছে
আপলোড : শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:০৬ পূর্বাহ্ন

বিডি প্রতিবেদক :
কক্সবাজারের টেকনাফের আলোচিত সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদি রোহিঙ্গা শ্রমিকদের পক্ষ নিয়ে সাংবাদিকদের শ্রমিক দেওয়ার কথা বলে আলোচনায় আসলেন আবার। তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, সাংবাদিকরা ৫০ জন করে শ্রমিকের নাম দেন, তাদের এনে বন্দরে নিয়োগ দেব। এরপর রোহিঙ্গা শ্রমিকদের আমি কাজ বন্ধ করে দেবো।
কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে রোহিঙ্গা শ্রমিকদের কাজে নিয়োজিত রাখতে উখিয়া-টেকনাফের বহুল আলোচিত-সমালোচিত সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি রয়েছে অনেক যুক্তি।

তিনি বলেছেন, টেকনাফ স্থলবন্দরে কাজ করা রোহিঙ্গারা দেশের রাজস্ব বাড়াচ্ছে, রোহিঙ্গা শ্রমিকরা সরকারকে রাজস্ব আদায়ে সহযোগিতা করছে। দেশের অন্য এলাকায় যেসব রোহিঙ্গা কাজ করে তারা সরকারের রাজস্ব বাড়াতে সহযোগিতা করে না। টেকনাফের বন্দরে যেসকল সকল স্থানীয় দেশীয় শ্রমিক আছে তারা অল্পতেই দূর্বল হয়ে যায়। লোকাল শ্রমিকরা মাজা ভাঙ্গা শ্রমিক

বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন ও স্থল বন্দরের আয়োজনে স্থলবন্দরে ব্যবস্থাপনা ও আমদানি সহযোগিতাকরণ সংক্রান্ত জরুরী মতবিনিময় সভা শেষে সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এমন কথা বলেন।

এসময় সাংবাদিকদের উত্তর ক্ষুব্দ হয়ে বদি বলেন, কক্সবাজারের কোথায় রোহিঙ্গা নেই? রোহিঙ্গারা সবখানে কাজ করছে। আপনারা শুধু বন্দরের রোহিঙ্গাদের দেখেন, বাকি গুলো দেখেন না। স্থানীয় শ্রমিকরা বন্দরে কাজ করতে রাজী না, যারা রয়েছে তারাও শারীরিক দূর্বল। সাংবাদিকরা ৫০ জন করে শ্রমিকের নাম দেন, তাদের এনে বন্দরে নিয়োগ দেব। এরপর রোহিঙ্গা শ্রমিকদের আমি কাজ বন্ধ করে দেবো।

টেকনাফ স্থলবন্দরের নাফ গেষ্ট হাউজে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী ও প্রশাসনের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান।

সভায় পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম, সাবেক সাংসদ আব্দুর রহমান বদি, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল আলম, টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজ্জামান, জেলা পরিষদ সদস্য জাফর আহমদ, সহকারী কমিশনার ভূমি মো. এরফানুল হক চৌধুরী, টেকনাফ থানার ওসি মো. আব্দুল হালিম, সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল আমিন প্রমূখ।

সভায় আলোচনার কেন্দ্র বিন্দু ছিল টেকনাফের স্থলবন্দর রোহিঙ্গা শ্রমিকদের দখলে থাকার বিষয়টি।সভায় উপস্থিত একাধিক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, টেকনাফ স্থলবন্দরের ৯৫ ভাগ শ্রমিক রোহিঙ্গা। প্রায় ৫ শতাধিক রোহিঙ্গা টেকনাফ স্থল বন্দরে কাজ করছে। বন্দরের সংশ্লিরাই কমিশনের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের টেকনাফ বন্দরে কাজ করার সুযোগ করে দিচ্ছে। উখিয়া-টেকনাফের সাবেক বিতর্কিত সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি মদদেই রোহিঙ্গারা এই বন্দরে কাজ করার সুযোগ করে দিচ্ছে।

সভা শেষে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান। তিনি বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত মতে রোহিঙ্গারা বাইরে কাজ করার সুযোগ নেই। সভায় আলোচনা হয়েছে। রোহিঙ্গা শ্রমিকদের স্থলবন্দরে কাজ করার সুযোগ নেই।

জেলা প্রশাসক বলেন, আমি স্থল বন্দর পরিদর্শন করেছি। মিটিংয়ে আলাপ হওয়া সবকিছু উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হবে। তবে শীঘ্রই সব সমস্যার সমাধান হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।


আরো বিভিন্ন বিভাগের খবর