শিরোনাম :
টেকনাফ উপজেলার হোয়াইকং ইউনিয়নে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১১টি বাড়ি পুড়ে ছাই,ক্ষয়ক্ষতি ৪০ লাখ টাকা সেন্টমার্টিনে পর্যটক সীমিতকরণ এবং রাত্রিযাপন নিষিদ্ধের প্রতিবাদে মানববন্ধন ডাকাতের কবলে পড়ে মিয়ানমারের আরাকান আর্মির হেফাজতে থাকা ১৬ জেলে ফেরত এনেছে বিজিবি “১ টাকায় হাজার টাকার বাজার” নাফ নদীর মোহনায় স্পিডবোট ডুবি শিশু সহ ২ জন নিখোঁজ, জীবিত উদ্ধার-৮ কক্সবাজারে নাতনির স্বামীর হাতে নানী খুন বিকাশের দোকান চুরিতে ২লাখ ৭০হাজার টাকা উধাওঃব্যথার ওপর সংবাদকর্মী ব্যথা নৌবাহিনীর অভিযান : মাতারবাড়ি পাওয়ার প্ল্যান্টের চুরি হওয়া কোটি টাকার মালামাল জব্দ মালয়েশিয়া বলে ইনানী সৈকতে শতাধিক রোহিঙ্গাকে রেখে পালালো দালালরা জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কক্সবাজারের অনেক এলাকায় খাবার পানির সংকট :ইয়াছমিন-রহিমার পানির দুঃখ ঘুচালো হাইসাওয়া

জাতীয় শোক দিবসকে হাতিয়ার বানিয়ে- ইয়াবা পাচার :৬ কারবারি আটক

নিউজ রুম / ২৩ বার পড়ছে
আপলোড : শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৪৩ পূর্বাহ্ন

বিডি প্রতিবেদক :
কক্সবাজার টেকনাফ সড়কে ভাড়ায় চালিত কারগাড়িতে অভিনব কায়দায় লুকিয়ে ইয়াবা পাচারকালে ছয় মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সোমবার (১৫ আগস্ট) বেলা ১টার দিকে কক্সবাজার কলাতলী সংলগ্ন মেরিন ড্রাইভ সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে মিনি কার তল্লাশি করে এসব ইয়াবাসহ তাদের আটক করা হয়। জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানকে পূঁজি করে প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে তারা মাদকের চালান পাচার করছিল বলে জানিয়েছেন জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ (ওসি-ডিবি) সাইফুল আলম।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কারটির চালক টেকনাফ সদরের মৌলভীপাড়া গ্রামের লোকমান হাকিমের ছেলে রফিক (২৪), নাজিরপাড়া গ্রামের জাফর আলমের ছেলে সৈয়দ নুর (২৬), উত্তর নাজিরপাড়া গ্রামের আব্দু শুকুরের ছেলে সৈয়দ উল্লাহ এবং মৌলভীপাড়া গ্রামের আলী আহমদের ছেলে সিদ্দিক (৪০), চকরিয়ার পূর্ব নিজপাড়ার মৃত শাহ আলমের ছেলে মাদক ব্যবসায়ী ওসমান (৩০) এবং টেকনাফের নোয়াখালীপাড়ার ছৈয়দুর রহমানের ছেলে ইব্রাহিম (২০)। শেষের দু’জনকে শহরের জেল গেট থেকে গ্রেফতার করা হয়।
ডিবির ওসি সাইফুল আলম বলেন, সোমবার সকাল হতে সবাই জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যস্ত থাকবে, একে পূঁজি করে মাদক পাচার চক্র ইয়াবার চালান আনছে। সুনির্দিষ্ট তথ্যে এ খবর পেয়ে পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামানের নির্দেশনায় আমার নেতৃত্বে ডিবি পুলিশের একটি বিশেষ টিম বেলা ১১টার দিকে কক্সবাজার কলাতলী সংলগ্ন মেরিন ড্রাইভ সড়কে চেকপোস্ট বসানো হয়। সোর্সের দেয়া তথ্যে চেকপোস্টে আসা (ঢাকা মেট্রো ক-১১-৩১৮৯) টেকনাফ-কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভে ভাড়ায় চালিত মিনি কার তল্লাশি করা হয়। প্রাথমিক তল্লাশীতে মাদকের অস্থিত্ব না পাওয়ায় সোর্সের সাথে আবারো যোগাযোগ করে ওভার কনফার্ম হই। এতে কার চালক রফিক, সাথে থাকা সৈয়দ নুর, সৈয়দ উল্লাহ এবং সিদ্দিককে আটক করে গাড়িতে ইয়াবার অস্থিত্ব সংক্রান্তে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারা অস্বীকার করে।

ডিবির ওসি আরো জানান, পরে আটকরাসহ গাড়িটি কলাতলি সংলগ্ন স্থানীয় ওয়ার্কসপে নিয়ে মেকানিকের সহায়তায় গাড়ীর বিভিন্ন অংশ খুলে পুঙ্খানুপুঙ্খ তল্লাশির এক পর্যায়ে গাড়ির নীচে বিশেষ কায়দায় সংযোজন করা বক্সে লুকানো কচ টেপ দ্বারা মুড়ানো ইয়াবার অস্থিত্ব পাওয়া যায়। বেলা ১২টার দিকে উপস্থিত লোকজনের সামনে দশটি প্যাকেটে উনিশ হাজার পিচ ইয়াবা পাওয়া যায়। এসময় ইয়াবা পরিবহনে ব্যবহৃত কারটিও জব্দ করা হয়।
ওসি বলেন, ইয়াবার সন্ধান নিশ্চিত হবার পর প্রথমে আটকদের গ্রেফতার দেখিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একপর্যায়ে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে উক্ত ইয়াবা রিসিভ করার জন্য অপেক্ষায় থাকা চক্রের অন্য দুই মাদক ব্যবসায়ী ওসমান এবং ইব্রাহিমকে কক্সবাজার শহরের জেল গেট থেকে গ্রেফতার করে ডিবি। সবমিলিয়ে মাদক পাচার চক্রের সাথে জড়িত মোট ছয় জন কে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়। পাশাপাশি পলাতক আরো কয়েকজনকে গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ডিবির ওসি সাইফুল আলম জানান, মেরিন ড্রাইভ রোড হয়ে টেকনাফ-কক্সবাজার সড়কে চলাচলকারী ভাড়ায় চালিত অনেক গাড়ি যাত্রী পরিবহনের আড়ালে এরকম অভিনব কায়দায় মাদক পরিবহন করে। এরকম তথ্যের ভিত্তিতেই মূলত আজকে অভিযান পরিচালনা করা হয়। ছয়জনকে গ্রেফতারের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা করা হচ্ছে।


আরো বিভিন্ন বিভাগের খবর