বিডি ডেস্ক :
নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা হয়নি, দেশের নানা বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামির আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ছাত্র জনতার গণ আন্দোলন নস্যাৎ করতেই জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
জামায়াত আমির বলেন, ‘ছাত্র জনতার আন্দোলনকে নস্যাৎ কবার জন্য জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ভারতের গুরুত্বপূর্ণ মানুষ আমাদের নেতাদের নাম নিয়ে অপপ্রচার করছে। এখন যারা দায়িত্ব আছে তাদের সহযোগিতা করলে দেশে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ধর্মীয় কারণে নাকি অন্য কারণে হয়েছে দেখতে হবে।
ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের ওপর যে হামলা হয়েছে, তা ধর্মীয় নাকি রাজনৈতিক কারণে হয়েছে, সেটি খতিয়ে দেখতে হবে। ধর্মীয় কারণে হয়েছে বলে চালিয়ে দেওয়া যাবে না, রাজনৈতিক কারণেও হয়েছে। বিষয়গুলো নিয়ে এখনো ষড়যন্ত্র চলছে।’
জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে কোনো কথা হয়েছে কি না এ প্রসঙ্গে জামায়াত আমির বলেন, ‘এ নিয়ে কথা হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘এখানে দলীয় কথা বলতে আসিনি। তবে কেউ নিষিদ্ধ করলেই আমরা নিষিদ্ধ হয়ে যায় না। তারা ভুল কাজ করেছে, যার মাশুল দেশবাসীকে দিতে হচ্ছে।’
গত ১ আগস্ট জামায়াতে ইসলামী ও এর ছাত্র সংগঠন ছাত্র শিবিরকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার।
এর আগে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট হাইকোর্টের এক রায়ে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ বলে রায় দেন হাইকোর্ট। পরে ২০১৮ সালের ৮ ডিসেম্বর দলটির নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।
হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে জামায়াতে ইসলামী। ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর সর্বোচ্চ আদালত হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রাখে। ফলে দলটি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অধিকার হারায়। তবে তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে কোনো নিষেধাজ্ঞা ছিল না। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেও রাজনীতির মাঠে তাদের সক্রিয় দেখা গেছে।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার গণ আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এরপর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করতে সেনাপ্রধান যে কয়টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করেন তার মধ্যে জামায়াতের নেতারাও ছিলেন।
সুত্র : দৈনিক আমাদের সময়