শিরোনাম :
টেকনাফ উপজেলার হোয়াইকং ইউনিয়নে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১১টি বাড়ি পুড়ে ছাই,ক্ষয়ক্ষতি ৪০ লাখ টাকা সেন্টমার্টিনে পর্যটক সীমিতকরণ এবং রাত্রিযাপন নিষিদ্ধের প্রতিবাদে মানববন্ধন ডাকাতের কবলে পড়ে মিয়ানমারের আরাকান আর্মির হেফাজতে থাকা ১৬ জেলে ফেরত এনেছে বিজিবি “১ টাকায় হাজার টাকার বাজার” নাফ নদীর মোহনায় স্পিডবোট ডুবি শিশু সহ ২ জন নিখোঁজ, জীবিত উদ্ধার-৮ কক্সবাজারে নাতনির স্বামীর হাতে নানী খুন বিকাশের দোকান চুরিতে ২লাখ ৭০হাজার টাকা উধাওঃব্যথার ওপর সংবাদকর্মী ব্যথা নৌবাহিনীর অভিযান : মাতারবাড়ি পাওয়ার প্ল্যান্টের চুরি হওয়া কোটি টাকার মালামাল জব্দ মালয়েশিয়া বলে ইনানী সৈকতে শতাধিক রোহিঙ্গাকে রেখে পালালো দালালরা জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কক্সবাজারের অনেক এলাকায় খাবার পানির সংকট :ইয়াছমিন-রহিমার পানির দুঃখ ঘুচালো হাইসাওয়া

পিতার কৃপায় উত্থান; সীমান্তে ১৫ বছরের স্বঘোষিত ‘বৈদ্য’ বদি

নিউজ রুম / ২১ বার পড়ছে
আপলোড : শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৩৩ পূর্বাহ্ন

নুপা আলম :
কক্সবাজার ৪ সংসদীয় আসনটি সীমান্তের উখিয়া-টেকনাফ উপজেলা নিয়ে গঠিত। যে আসনটি থেকে ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়নে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আবদুর রহমান বদি। এরপর ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনেও একই দলের নির্বাচিত এমপি তিনি। নিজেই দুই বারের সংসদ সদস্য হওয়ার পর নানা বির্তক ও দূর্নীতির মামলা দলীয় মনোনয়ন না পেলেও মনোনয়ন ভাগিয়ে নেন নিজের স্ত্রীর নামে। শেষ দুই বার ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনে তার স্ত্রীই এ আসনের এমপি।

ফলে গত ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে সীমান্তের স্বঘোষিত ‘বৈদ্য’ হিসেবে না অপরাধ ও অপকর্মে বির্তকিত এবং আলোচিত ব্যক্তির নাম আবদুর রহমান বদি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অসংখ্য ভিডিও রয়েছে এই আবদুর রহমান বদির। যে সব ভিডিওতে তিনি নিজেই নিজকে এই দুই উপজেলার ‘বৈদ্য’ হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।

মুলত স্বাভাবিক অর্থ বৈদ্য মানে কবিরাজ বা ডাক্তার হলেও কক্সবাজারের অঞ্চালিক অর্থে বৈদ্য শব্দটি ভিন্ন অর্থ ব্যবহার হয়ে থাকে। মুলত সকল প্রকার যাদু-টোনা, ভৌতিক আলৌকিক ঘটনাবলীর সৃষ্ট, মানুষকে বশে এনে ক্ষমতা প্রয়োগকারি বা নিজেই নিজেই অসংখ্য ক্ষমতাধরকে বৈদ্য হিসেবে চেনা হয়। আর সেই অর্থে বদি বলে বেড়াতেন ‘বদি বৈদ্যলী দেখবেন’ ‘বৈদ্য বদির বাইরে কিছুই হয় না’।

আর গত ১৫ বছর ধরেই হয়েছে তাও। তার নিজের বলয়ের বাইরে যেন কিছুই করতে দেননি তিনি। এমন কি তার হাতে আওয়ামীলীগের অসংখ্য নেতা-কর্মীরাও নির্যাতিত হয়েছেন।

#পিতার কৃপায় উত্থান যেভাবে :
আবদুর রহমান বদির পিতা এজাহার মিয়া। যাকে টেকনাফের মানুষ কোম্পানি নামেই চেনেন বা ডাকেন। এই এজাহার মিয়া কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের এক সময়ের বহুল আলোচিত আন্তর্জাতিক চোরাচালান সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রক ছিলেন। আর সেই পিতার কৃপায় কিশোর বয়সেই উত্থান শুরু হয়েছিল আবদুর রহমান বদির।

টেকনাফ উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতাকালিন সময়ের সংগঠক জহির হোসেন, প্রবীন ব্যক্তি আমির হোসেন, রাজনৈতিক নেতা আমজাদ হোসেনের দেয়া তথ্য বলছে, টেকনাফের নাফনদীতে এক সময় জেলে হিসেবে নৌকার মাঝি ছিলেন এজাহার মিয়া। ওই সময়ের র্বামা-টেকনাফ সীমান্তের মানুষ পারাপারেও নৌকা চালাতেন তিনি। কিন্তু ১৯৭৯ সালের শেষে দিকে কোন এক অজ্ঞাত সূত্র ধরেই টেকনাফ উপজেলা বিএনপির কমিটি গঠন করে রাতারাতি নেতা হয়ে যান তিনি। তারপর পরই জড়িয়ে যান চোরাচালনা চক্রের সাথে। ১৯৮৩ সালের পর পরই এই এজাহার মিয়া দল বদল করে জাতীয় পার্টির নেতা হয়ে যান। মুলত ওই সময় তিনি হয়ে উঠেন আন্তর্জাতিক চোরাচালান চক্রের সীমান্তের নিয়ন্ত্রক। শুধু তা নয় ১৯৯০ সালের পর এই এজাহার মিয়া আবারও ফিরে আসেন বিএনপির রাজনীতিতে। আর ওই ১৯৯০ সালের পর পরই যে কোনভাবেই এমপি হওয়ার স্বপ্ন শুরু করেন আবদুর রহমান বদি।

এই বদির স্বপ্ন ছিল বিএনপি-জামায়াত অথবা আওয়ামী লীগ; যে আমলেই হোক, যেভাবেই হোক সংসদ সদস্য হবেন। এর জের ধরে ১৯৯৬ সালের ফেব্রæয়ারি নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন চেয়ে বসেন তিনি। কিন্তু অপকর্মের খবর পাওয়ায় সে সময় বিএনপির হাইকমান্ড বদিকে মনোনয়ন দেয়নি। ওই নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী শাহজাহান চৌধুরীর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্ধীতা করে পরাজিত হন এবং জমানত হারান। ওই নির্বাচন বাতিল হওয়ার পরে রাতারাতি নিজেকে পাল্টে আওয়ামী লীগে যোগ দেন বদি। পিতা ও পুত্র ১৯৯৬ সালের পরবর্তি নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী অধ্যাপক মোহাম্মদ আলীর পক্ষে কাজ করেন। ওই নির্বাচনে মোহাম্মদ নির্বাচিত হন আর আওয়ামীলীগ ক্ষমতা আসেন।

পরিসংখ্যা মতে, স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ ও ১৯৯৬ সাল ছাড়া পরবর্তী নির্বাচনগুলোতে কক্সবাজার-৪ আসনে জিততে পারেনি আওয়ামী লীগ। ২০০৮ সালের পর টানা বদি ও তার স্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন।

অনুসন্ধান বলছে, চোরাচালান সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রক হিসেবে টেকনাফের এজাহার মিয়ার ১৪ জন স্ত্রী এবং ২৮ জনের বেশি ছেলে মেয়ের মধ্যে সবার বড় আবদুর রহমান বদি। যার কারণে বাবার বিশাল চোরাই ব্যবসায় কিশোর বয়সেই হাতেখড়ি হয় তার।

#১৫ বছরের স্বঘোষিত ‘বৈদ্য’:
২০০৮ সালের নির্বাচনে প্রথম বারে মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর আলোচন আসেন ভিন্নভাবে। ওই সময় তিনি আইনজীবী, শিক্ষক, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা, দলীয় কর্মীদের মারধর করে আলোচনায় আসেন। এরপর জড়িয়ে টেকনাফ স্থলবন্দর নিয়ন্ত্রণ, দখল, চাঁদাবাজি, মাদক, মানবপাচারের অপরাধের কেন্দ্র বিন্দু হয়ে উঠেন। এমন কি তিনি এমপি থাকাকালিন ওই সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সহ প্রশাসনের সকল তালিকায় শীর্ষ ইয়াবা গডফাদার হিসেবে নাম আসে তার।

টেকনাফ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নুরুল বশর জানান, টানা ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে চোরাচালান, ইয়াবার ব্যবসা, মানব পাচার, রোহিঙ্গা আশ্রয়-প্রশয় আবদুর রহমান বদির হাতেই। তিনি টেকনাফ স্থল বন্দর একক নিয়ন্ত্রণ নিয়ে অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা। ট্রাক মালিকদের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করেছেন। তার পুরো পরিবার ইয়াবা সহ নানা দখল বেদখলে জড়িত রয়েছেন। যার কারণে অবৈধ সম্পদের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা দুর্নীতির মামলায় সাজাও কাটেন বদি।

টেকনাফের বাসিন্দা জেলা বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, ‘বদি একজন ইয়াবা সম্রাট।  তার কারনে পুরো দেশজুড়ে মাদক ছড়িয়ে পরে। বদি এবং তাঁর স্ত্রী এমপি থাকাকালীন প্রভাব কাটিয়ে শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। বিশেষ করে মাদক চোরাচালান ও স্বর্ণ পাচারের জড়িত ছিল দীর্ঘ দিন ধরে। বদির এসব অবৈধ টাকায়  দেশে-বিদশে বিপুল পরিমান সম্পদও গড়েছেন।

টেকনাফের সাধারণ মানুষ বলছেন, বদির কারণে টেকনাফ হয়ে ওঠে মাদকের অভয়ারন্য। টেকনাফ সাবেক এক জনপ্রতিনিধি জানান, এমপির সঙ্গে সব সময় চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ীদের চলাফেরা। এমপির ভাই, বন্ধু ও সহযোগীরা বেপরোয়া ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে গেছেন গত ১৫ বছর ধরেই। এটি এমপির ক্ষমতার জোরেই চলছে, এ কথা সবাই জানে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের গত ২০১৭ সালের এক প্রতিবেদনে টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে বঙ্গোপসাগর হয়ে অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় মানবপাচারের জন্য আবদুর রহমান বদি, তার আত্মীয়স্বজন, উখিয়া ও টেকনাফ গড়ে তোলা নিজস্ব একটি সিন্ডিকেটকে দায়ী করা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি স্বেচ্ছায় এবং অপহরণের শিকার হয়ে সাগরে মানবপাচার খাতে অন্তত তিন হাজার কোটি টাকার মুক্তিপণ লেনদেন হয়েছে। পাচারের শিকার লোকজনের অনেকেই পথেই মারা গেছে। কারো সলিল সমাধি হয়েছে, কারো কারো ঠাঁই হয়েছে থাইল্যান্ডের গহিন জঙ্গলের গণকবরে।

এসব কিছুর মধ্যে সম্পদের পাহাড় হয়ে সব কিছুই নিয়ন্ত্রকে ভ‚মিকা নিয়ে উখিয়া-টেকনাফে গড়ে তুলের নিজস্ব একটি বাহিনী যাকে এলাকার মানুষ বদি বাহিনী হিসেবে চেনেন। এই ১৫ বছরের স্থানীয় নির্বাচনে নিজস্ব বলয়ের মানুষকে নির্বাচিত করতে তিনি ব্যবহার করেছেন ‘বৈদ্য’ শব্দটি। ফলে নানাভাবে নির্বাচিত করে নিয়েছেন নিজের মানুষকে।

টেকনাফের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আহমদ হোসেন বলেন, সর্বশেষ টেকনাফ উপজেলা নির্বাচনে দলীয় কোন প্রার্থী ছিলেন না। যেখানে টেকনাফ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলমের বিপক্ষে বদির প্রার্থী ছিলেন আরেক ইয়াবা গডফাদার জাফর আহমদ। ওই নির্বাচনে প্রকাশ্যে গুলি বর্ষণ, মারধর ও প্রভাব বিস্তার করে জাফর আহমদকে নির্বাচিত করেছেন। এর আগে পৌর সভার নির্বাচনে চাচা মেয়র প্রার্থীর বিপক্ষে কাউকে প্রতিদ্বন্ধীতা করতে দেননি। বিনা ভোটে নির্বাচিত করে নিয়েছেন। একই ঘটনা করেছে ইউনিয়নের নির্বাচনেও।

কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সদস্য ও উখিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি আদিল চৌধুরী প্রশ্ন তুলেছেন বদিলীগ এখন কোথায়?

তিনি বলেন, গত ১৫ বছর সীমান্তে বদিলীগের বাইরে কোন কথা হয়নি। তিনি একজন অরাজনৈতিক ব্যক্তি।
এমপি পদটিকে লাঠি হিসেবে ব্যবহার করে অপকর্ম করেছেন কেবল।

উখিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘উখিয়া-টেকনাফের দুঃখ টানা ১৫ বছরের। আওয়ামীলীগের মনোনয়নে নৌকা প্রতিকের এমপি হয়ে ২ বার আবদুর রহমান বদির অবেহলায় শিকার হয়েছেন নেতা-কর্মীরা, দলে তৈরি করেছেন বিশৃঙ্খলা। বউকে এমপি করে ৫ বছরেও হয়েছে একই ঘটনা। সাধারণ মানুষ তাদের প্রাপ্য সেবা থেকে হয়েছে বঞ্চিত। লাভবান হয়েছেন ইয়াবা কারবারি, মানবপাচারকারি সহ অপরাধিরা।

#বদিকে কারাগারে প্রেরণ :
কক্সবাজার ৪ উখিয়া-টেকনাফ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদিকে একটি হত্যা প্রচেষ্টা মামলায় কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।

বুধবার বেলা সাড়ে ৩ টার দিকে র‌্যাবের একটি দল কক্সবাজারের জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত টেকনাফে উপস্থাপন করলে ওই আদালতের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারক হামিমুন তানজিন কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে জানিয়েছেন আদালতে ওই সময় উপস্থিত থাকা আইনজীবী মোহাম্মদ শাহীন।

এই আইনজীবী জানান, টেকনাফ থানায় দায়ের করা একটি হত্যা মামলায় চার্চ ওয়ারেন্টমুলে র‌্যাব আবদুর রহমান বদিকে আদালতে উপস্থাপন করেন। ওই আদালতে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তা টেকনাফ থানার তদন্তকারি পুলিশ কর্মকর্তা রিমান্ডের একটি আবেদন পাঠানো হচ্ছে বলে আদালতকে অবহিত করেন। কিন্তু রিমান্ডের আবেদনটি আদালতে না পৌঁছায় বদিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়ে আবেদন প্রাপ্তির পর রিমান্ড শুনানি হবে বলে জানান বিচারক।

টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গণি জানিয়েছেন, গত ১৯ আগস্ট কক্সবাজার জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, তার ভাই টেকনাফ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিহাদ, অপর ভাই আবদুর রহমান বাদি হয়ে পৃথকভাবে দায়ের করা ৩ টি মামলা করেছেন। গত ৫ আগস্ট রাতে তাদের পরিবারের মালিকাধিন টেকনাফের আলী উল্লাহ আলো শপিং কমপ্লেক্স, হোটেল নাফ কুইন ও আব্দুল্লাহ ব্রার্দাস ফিলিং ও গ্যাস স্টেশনে হামলা ভাংচুর ও লুটপাট, হত্যার চেষ্টার ঘটনায় ৩ ভাইয়ের এই মামলা দায়ের। যেখানে উখিয়া-টেকনাফের সাবেক এমপি আবদুর রহমান বদি, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আহমেদ, জাফরের পুত্র টেকনাফ সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শাহজাহান সহ ১৫০ জনের বেশি মানুষকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলার প্রধান আসামি আবদুর রহমান বদিকে আদালতে উপস্থাপন করা হচ্ছে জেনে তদন্তকারি কর্মকর্তা ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছে আদালতে। রিমান্ড শুনানির পর আদালতের আদেশ মতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদিকে মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রাম শহর থেকে আটক করে র‌্যাবের একটি দল। সীমান্তের বহুল আলোচিত এই সাবেক এমপিকে মাদক, মানবপাচার সহ নানা অপরাধ জগতের প্রধান ডন হিসেবে দেশব্যাপী জানেন।


আরো বিভিন্ন বিভাগের খবর