রশিদ হাসান :
রাসুল (সঃ) আগমন বিশ্ববাসীর জন্য রহমত স্বরূপ। নবীজূর অনুসরন করা সমাজের সর্বক্ষেত্রে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে। মহানবী (সঃ) এর অনুসরণ করা হলে কোন রাষ্ট্র প্রধানকে পালাতে হবেনা।
মহানবী (সঃ) এর জীবনীই অনুসরণযোগ্য আদর্শ। রাসুলের ভালোবাসা মনেই তাঁর আদর্শের অনুসরণ করা। নবীজী ছিলেন গোটা দুনিয়ার মানুষের জন্য শিক্ষক। তিনি ছিলেন আদর্শ রাষ্ট্র নায়ক, আদর্শ সেনানায়ক,
নবীজীর আদর্শ অনুসরণ করা হলে একটি রাষ্ট্র কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত হয়। সেই রাষ্ট্রে থাকবেনা কোন দুর্নীতি, কোন সন্ত্রাস, কোন অনাচার। তখন কোন রাষ্ট্র প্রধানকে পালাতে হবেনা।
১২ রবিউল আউয়াল সোমবার সন্ধ্যায় মিলাদুন্নবী (সঃ) উপলক্ষে আয়োজিত কক্সবাজার প্রেসক্লাবে আলোচনা সভায় বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন কক্সবাজার হাশেমিয়া কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা রহমত ছালাম প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
গতকাল ১৬ সেপ্টেম্বর ১২ রবিউল আওয়াল কক্সবাজার প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
প্রেসক্লাব সভাপতি মাহবুবর রহমানের সভাপতিত্বে ও ক্লাবের মিলয়াতন ও পাঠাগার সম্পাদক দৈনিক হিমছড়ি সম্পাদক হাসানুর রশীদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় নবী জীবনীর উপর আলোচনা পেশ করেন, কক্সবাজার হাশেমিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ, বিশিষ্ট ইসলামী গবেষক রহমত সালাম,
বিশিষ্ট ইসলামি ব্যক্তিত্ব, দৈনিক হিমছড়ির প্রধান সম্পাদক আলী হাসান চৌধুরী, বড় বাজার জামে মসজিদের খতিব মাওলানা কামাল উদ্দীন, দৈনিক ইনকিলাবের ব্যুরো চীফ শামসুল হক শারেক, সাংবাদিক হুমায়ূন সিকদার ও ছাত্রনেতা আবদুর রহিম নূরী।
বক্তারা বলেছেন, রাসুল (সাঃ) সকল, অনাচার-অবিচার, অমানবিকতা দূর করে, ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করে পুরো বিশ্বজাহানকে আলোকিত করেছিলেন। দেড় বছর আগে প্রজ্জ্বলিত সেই আলোকরশ্মি এখনো পৃথিবীকে আলোকিত করে রেখেছিলেন। সেই আলোকরশ্মি কেয়ামত পর্যন্ত থাকবে।
বক্তারা আরো বলেন, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর জন্ম না হলে আল্লাহতালা এই দুইজাহান সৃষ্টি করতো না। সৃষ্টির সমস্ত যোগ্যতা নিয়ে মহান আল্লাহ তাকে সৃষ্টি করেছেন। তিনি নবীদের নবী, বিশ্বনবী, সমস্ত বিজ্ঞানীদের বিজ্ঞানী, সমস্ত সমরবিদদের সমরবিদ, মনিষীদের মনিষীদের। এক কথায় যার তুলানা পৃথিবীতে নেই। তিনি সবার শ্রেষ্ঠ।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে রাসুল (সাঃ) এর আদর্শ ও শিক্ষা নিয়ে বক্তারা বলেছেন, ঈদে মিলাদুন নবী পালন করা বেদাআত নয়, তাঁর সুন্নাত পালন না করা বেদাআতের পর্যায়ে যায়। বর্তমানে পৃথিবীর মানুষ রাসুলুল্লাহ (সাঃ) আদর্শ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে বলে অনাচার-অবিচার, যুদ্ধ-বিগ্রহ বেড়েছে; রাষ্ট্রে, সমাজে ও পরিবারে অশান্তি বেড়েছে।
নবী আদর্শের রাষ্ট্র গঠনের তাগিদ দিয়ে বক্তারা বলেন, আমাদের দেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে নবীর আদর্শ অবহেলিত। পাঠ্যপুস্তকসহ সর্বক্ষেত্রে নবীর জীবনী সংযুক্ত করে আগামীতে আলোকিত জাতিগঠন করতে হবে।
বক্তারা বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর চরিত্রে রয়েছে পৃথিবীর সর্বোক্তম আদর্শ। কিন্তু মানুষ রাসুলের আদর্শ বাদ দিয়ে তাগুতের আদর্শ ধারণ করেছে। এতে পৃথিবীতে যেমন অশান্তি বেড়েছে, তেমনি আখিরাতের জীবনও নষ্ট করছে। যে জাতিই হউকনা কেন এর থেকে পরিত্রাণ পেতে সর্বোতভাবে, সর্বস্থানে, সর্বাস্থায় রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর আদর্শের লালন ও বাস্তবায়ন করলে পৃথিবী আবারো শান্তির মহিমায় ভরে উঠবে।
এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন বাহারী। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রবীণ সাংবাদিক আমিনুল হক চৌধুরী, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আতাহার ইকবাল, প্রবীণ সাংবাদিক কামাল হোসেন আজাদ, প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি জিএএম আশেক উল্লাহ।
এছাড়া বিভিন্ন স্তরের সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পরে নবীজীর শানে ও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।