চকরিয়া প্রতিনিধিঃ
চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ছড়িবিল এলাকায় আ’লীগ নেতা সাইফুল ইসলাম এর দাপুট দেখিয়ে ২৪১৯ নং খাস খতিয়ানের জায়গার মাটি কেটে রাতে আধারে বিক্রি করে পুকুর বানালো জায়গা।দেখার কেউ নেই! সাইফুল ওই এলাকার মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে। সরেজমিনে গেলে দেখা যায়-সাইফুল সহ তার আরো দুই মিলে সরকারি খাস ২৪১৯নং খতিয়ানের জমির মাটি কেটে বিক্রি করে চলছে।মাটি খননের ফলে সেগুনবাগিচা যাওয়ার সড়কটি যেকোন মূহুর্তে ভেঙ্গে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে।এছাড়াও মাটি খনন করার ফলে পাশ্ববর্তী ঘরবাড়ী ধসে পড়ার আশঙ্কা বিদ্যামান।তাকে কেউ নিষেধ করার সাহস করেনি।কারণ সে নাকি সাবেক এমপি জাফর,সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদী ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কছির এর আপন মানুষ।২০০৫ সাল থেকে তাদের ভয় দেখিয়ে এই খাস জমিকে বালু স্টকের স্হান বানিয়ে খুটাখালী ছড়ার পূর্বপাশে নরপাড়ি-গুদারপাড়ি বনভূমির বালি,মাটি ও বাগানের গাছগুলো সিন্ডিকেট করে লুটিয়ে পুড়িয়ে খেয়ে এখন কোম্পানি বনে গেছে।আ’লীগ ক্ষমতা হারালেও সেই মাটি আর বনখেকো সাইফুল হারায়নি ক্ষমতা।বর্তমানে তার বাড়ীর লাগোয়া পূর্ব পাশের ছড়া থেকে বালু উত্তোলন অব্যাহত রেখেছে পাশাপাশি খাস জমির মাটি স্কেভেটর দিয়ে কেটে রাতের আধারে পাচার করেই চলছেন জানান স্হানীয়রা।তারা আরো জানান-সাইফুলের বসবাসরত বাড়ীটিও খাস জমির ওপর নির্মিত।এখনো তার দাপটে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম জানান-জায়গাটি আমার বাবার নামে বন্দোবস্তি করা।তাই প্রয়োজনে আমরা যা ইচ্ছে করবো।তবে বন্দবস্তির কোন ডকুমেন্ট দেখাতে পারেনি। খুটাখালী ইউনিয়ন ভূমি অফিস কর্মকর্তা খালেদা বেগম বলেন-এক বিষয়ে তদন্তে আমি ছড়িবিল নামক জায়গায় গিয়েছি।তখন দেখলাম দুইপাশে মাটি খনন করে কিছু জায়গা পুকুর বানিয়েছে সাইফুল। তখন আমি তাকে মাটি খননের অনুমতিপত্র সহ জায়গার ডকুমেন্ট চাইলে,সে তার বাবার নামে জায়গাটি বন্দোবস্তি বলে চলে যায়। কোন ডকুমেন্ট দেখাতে পারেনি সাইফুল। তাই আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে তার নামে ছবিসহ রিপোর্ট পাঠিয়েছি। এবিষয়ে চকরিয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ এরফান উদ্দিন বলেন-কখন সে মাটি,বালি গাড়ী যোগে পাচার করে তা নিশ্চিত করতে।যেকোন সময় অভিযান পরিচালনার আশ্বাস দিয়েছেন। তবে এসব কাজে এলাকার সচেতন মহলকে সোচ্চার হওয়ার আহবান জানিয়েছেন তিনি। মাটি খননের কোন অনুমতি নেই।খাস জমি হলে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার জরিপের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি