সীতাকুণ্ড( চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ডে নিয়ম বহির্ভূত জোড়পূর্বক দলিল রেজিষ্ট্রি করতে না পারায় দলিল লেখক হারুন ভেন্ডার নামে এক ব্যক্তি উৎশৃঙ্গল আচরণে ক্ষোব্ধ হয়ে রেজিষ্ট্রি অফিসের স্টাফরা প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন করেছে।এদিকে দলিল লেখকদেরও মানববদ্ধন কর্মবিরতি করছে। সীতাকুণ্ড দলিল লেখক ও সাব- রেজিষ্ট্রিার মো,রায়হান হাবিব আমাদের সময় কে জানায়,গত ৭ অক্টোবর মোঃ হারুন রসিদ নামে এক দলিল লেখক দলিল রেজিষ্ট্রি করতে গেলে রেজিষ্টার রেজিষ্ট্রি করতে অপারগতা প্রকাশ করে।এনিয়ে রেজিষ্টার ও দলিল লেখকের মধ্যে বাদ বিতর্ক হয়,গত সোমবার দুপুর ১টায় সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের সামনে দলিল লেখকদের এক অংশ মানববন্ধন করে দলিল লেখকের অপসারন চায়,এসময় তারা রেজিষ্টার কে ছাত্রলীগ নেতা বলে আখ্যা দেন,এদিকে এর পর পরই রেজিষ্ট্রি অফিসের সকল স্টাফরা রেজিষ্ট্রি অফিস প্রাঙ্গনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে । এসময় এক কর্মচারী মিল্টন রায় বলেন,সাব-রেজিষ্টার অফিসের সামনে ভেন্ডার হারুনের নেতৃত্বে বহিগত লোক এনে উৎশৃঙ্গল আচরণে আমরা স্টাফরা ক্ষোব্ধ।কারণ গত ৭ অক্টোবর দলিল লেখক মোঃ হারুন রসিদ কর্তৃক জোড় পূর্বক নিময় বহির্ভূত দলিল রেজিষ্ট্রি করার জন্য চাপ সৃষ্টি করে।তখন আমাদের রেজিষ্টার স্যার অপারগতা প্রকাশ করলে সে (হারুন) বাহির থেকে টেলিফোনে বহিরাগত লোক এনে রেজিষ্ট্রি করা ও রাজস্ব আদায়ে বাধা প্রদান করে।আজও সে বহিরাগত লোক জড়ো করে অরাজগতা সৃষ্টির পায়তারা করে।আমরা এর প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি এধরনের ঘটনা যেন না ঘটে সে আহ্বান জানাই। এদিকে দলিল লেখক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সৈয়দ আবুল মুনছুর জানান,সাব রেজিস্টারের বিরুদ্ধে আজকের বিষয়টি অনাক্ষাংকিত এবং ভিত্তিহীন। কিছু দলিল লেখক ৫ আগষ্টের পর থেকে বেপোয়ারা হয়ে গেছেন। কথায় কথায় আওয়া,ছাত্র লীগ আখ্যা দেয়। গত ১৫ বছরের নিয়োগ প্রাপ্তরা তখনকান সরকারী দলেরই হবে,কিন্তু আমরাতো তাদের চাকরি খাইতে পারিনা,সঠিক পথে থেকে কাজ আদায় করে নিতে হবে,এমন হলেতো ১৫ বছরে নিয়োগপ্রাপ্ত সকল সরকারী কর্মচারী কর্মকর্তাদের নিয়োগ বাতিল করতে হবে। কর্মচারীদের প্রতিবাদ সভায় উপস্হিত ছিলেন,মিল্টন নাথ, দিপংকর মানিক, মোঃ শাহদাৎ উল্ল্যা, মোঃ ইমতিয়াজ উদ্দিন, মোছাম্মৎ রেখা আক্তার, শিল্পী রাণী, আছমা আক্তার, নাছরিন, ছাবিনা, শিবানী, আইরিন, নায়েম, কাশেম, হাসান, মাসুদ, সনজিৎসহ রেজিষ্ট্রি অফিসের প্রায় অর্ধ শতাধিক স্টাফ প্রমূখ। দলিল লেখক হারুনুর রসিদ জানায়,তিনি একটি দলিল রেজিষ্ট্রি করতে গেলে রেজিষ্টার প্রথম রেজিষ্ট্রি করতে অপারগতা প্রকাশ করে, এরপর তিনি ২০ হাজার টাকাচান,আমি দিতে না চাইলে রেজিষ্টার দলিল রেজিষ্ট্রি করেননি।তাই আমরা আন্দোলন করছি। দলিল লেখক সমিতির সভাপতি মোঃ রফিক আমাদের সময় কে জানায়,হারুনের একটি দলিল রেজিষ্ট্রি না করায় এই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।রেজিষ্ট্রার সাহেব এভাবে ভূল ত্রুটি ধরলে দলিল লেখকরা কাজ করতে পারবেনা,একটু ছাড় দিতে হবে, লোকজন জমি বেচা কেনা করতে পারছেনা, আজ আমরা কর্ম বিরতি করছি,তবে এই সমস্যা দ্রুত সমাধান চান তিনি।