স্টাফ রিপোর্টারঃ
বালুখেকো নাজিম উদ্দিন সিন্ডিকেটের উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে চকরিয়ার উত্তর হারবাংয়ের সাধারণ জনগণ। এ সিন্ডিকেটটির বেপরোয়া আগ্রাসনে ক্ষত-বিক্ষত হচ্ছে উত্তর হারবাংয়ের ইছাছড়ি ছড়াখাল, কাট্টলী ছড়াখাল ও হারবাং ছড়াখালের বুক, যান-চলাচলের রাস্তা ও ফসলি জমি। এ ছড়াখালগুলোর অন্তত ১০টি পয়েন্ট থেকে শ্যালো মেশিনের সাহায্যে প্রতিদিন তোলা হচ্ছে কমপক্ষে ২০০ ট্রাক বালি। এতে ভাঙনের কবলে পড়ার শঙ্কায় রয়েছে সরকারিভাবে তৈরিকৃত আবাসন প্রকল্পসহ স্থানীয় জনসাধারণের বাড়িঘর। সেই সাথে উত্তোলনকৃত এসব বালু বড় বড় ট্রাক ও ডাম্পার যোগে পরিবহন করায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে গ্রামীণ সড়কগুলো। যে সড়কগুলো দিয়ে অসুস্থ কোন রোগী কিংবা সন্তান সম্ভবা কোন নারী পরিবহন যোগে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। চলতি বর্ষা মৌসুমে ভাঙনের কারণে উজান থেকে বালি নেমে ভরাট হচ্ছে ভাটি অঞ্চল। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বালু খেকোদের বিরামহীন ধ্বংসযজ্ঞ চলেছে বলে জানা গেছে স্থানীয় ভুক্তভোগীদের বরাত দিয়ে। এসব বালুখেকোদের অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে উপজেলা প্রশাসন একাধিকবার অভিযান পরিচালনা করলেও অভিযানের কয়েকদিন না যেতেই ফের অবৈধভাবে শ্যালোমেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলনে মেতে উঠেন এ সিন্ডিকেটটি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক যুবদল নেতা জানান, জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে সরকার পতনের আগে থেকেই নিজেকে আওয়ামীলীগের সক্রিয় নেতা দাবি করে নাজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে মোঃ পারভেজ, মাহাবু (প্রকাশ কালা মাহাবু) ও জামাল উদ্দিনসহ কয়েকজনের একটি সিন্ডিকেট অবৈধভাবে শ্যালোমেশিন বসিয়ে ছড়াখাল থেকে বালু উত্তোলন করে আসছিলো। যা এখনো চলমান। তাদের এমন বেপরোয়া বালু উত্তোলনের ফলে ঘরবাড়ি হারাতে বসেছে খালপাড়ের সাধারণ মানুষ। এমনকি, রাস্তার হয়েছে বেহালদশা। এভাবে চলতে থাকলে উত্তর হারবাংয়ের অধিকাংশ জায়গা বিলীন হতে পারে ছড়াখাল গর্ভে। উপজেলা প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ- দ্রুত অভিযান চালিয়ে এসব অবৈধ বালি উত্তোলন চিরতরে বন্ধ করে দেওয়া হোক।এদিকে, স্থানীয়দের এমন অভিযোগের ভিত্তিতে বালুখেকো সিন্ডিকেটের প্রধান নাজিম উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে বালি উত্তোলনের বিষয়টি প্রথম অস্বীকার করতে চাইলেও পরবর্তীতে প্রতিবেদকে প্রশ্নের তোপে বালু উত্তোলনের বিষয়টি স্বীকার করেন। যদিওবা বালুর মহালভর্তি বালু থাকায় বর্তমানে বালু উত্তোলন বন্ধ রয়েছে বলে দাবি করেন সে। এ বিষয়ে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফখরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, উত্তর হারবাংয়ের এসব বালুমহালে এসিল্যান্ড কয়েকবার অভিযান চালিয়েছে। তারা যদি ফের বালি উত্তোলন করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।