জিয়াউল হক জিয়াঃ
চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের কুতুব বাজারস্হ (ডান্ডিবাজার) পহরচাঁদা মহিলা দাখিল মাদ্রাসার উন্নতির জন্য সুপার পদে কার্যকরী কমিটি কর্তৃক অস্হায়ী ভাবে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ আনসারীকে। তিনি একই এলাকাস্হ পহরচাঁদা ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ পদ থেকে অবসর নেন। সুপারের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে শিক্ষার মান কমেছে।চলে যেত হয়েছে বেশকিছু কর্মরত শিক্ষকেও।বলতে এক নায়কতন্ত্র শাসন ব্যবস্হা প্রতিষ্ঠা করেছেন বলে অভিযোগ মাদ্রাসাটির কার্যকরী কমিটি,পরিচালনা কমিটি ও দাতা সদস্য সহ এলাকার সচেতন মহলের। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, মাদ্রাসাটি ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।যারা মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠার জন্য নিজের রেজিস্ট্রার জমি দিয়েছেন,দিয়েছেন লক্ষ-লক্ষ টাকা এবং এখনো পর্যন্ত যারা দেশ-বিদেশ থেকে মাদ্রাসার জন্য নগদ অনুদান সংগ্রহ করে প্রতিষ্ঠানের উন্নতি করতে প্রচেষ্ঠা চালিয়ে আসছেন।সেই প্রতিষ্ঠানে মাওলানা আনসারী সুপারের টেবিলে বসিয়ে ধরল ঝং।তাহার যোগদানের পর থেকে নেই কোন জবাবদিহিতা মূলক পরামর্শ সভা।বরং বেড়েছে স্বেচ্ছারিতার কার্যকলাপ।কর্মরত শিক্ষকদের মধ্যে করেছেন সিন্ডিকেট ও কয়েকজন কার্যকরী কমিটি লোক মগজ ধুলায় দিয়ে এককভাবে দিয়েছেন শিক্ষক নিয়োগ।সেই শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে সুপার আনসারী মেয়ে আপনান বিনতে সাঈন,মাসরুবাতুল জান্নাত,মাকনুন জান্নাত মাহবুবা বিনতে সাধন,লোবাবা বিনতে সাঈদ,ভাগিনা ইয়াহিয়া হাসান মাসুম সহ নিকটতম আত্মাীর মধ্যে রয়েছে উম্মে ইব্রাহিম, আহমদ আছকরী,জেবুন্নিসা মারজবা ও মোহাম্মদ বিন আছকরী। সুপারের এক নায়কতন্ত্র শাসনের মধ্যে স্বজনপ্রীতি নিয়োগের তালিকায় সেসব ভুল ধরা পড়ল।ত হলো- উম্মে ইব্রাহিম,মোহাম্মদ আবু তৈয়ব,মোহাম্মদ সাঈদ,কফিল উদ্দিন,রেশমি জান্নাত, মাসরুবাতুল জান্নাত ও ফিরুজ আহমদ সহ ৭জনের জন্ম সাল লিখেছেন ২০১৩ সাল।তাহলে শিশুরাই কি শিক্ষক আর কর্মচারী পদে নিয়োগ পেয়েছেন এমন প্রশ্নে এলাকাজুড়ে শুরু হয়েছে আনসারী বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড়।কারণ ২০২৪ সালে যে শিক্ষক হাজিরা করেছেন এতেও আনসারী সহ মোজাম্মেল নামের আরেকজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের নাম। গত বৃহস্পতিবার মহিলা দাখিল মাদ্রাসা যাওয়া হয়।কথা বলা হয়েছে কর্মরত শিক্ষকমন্ডলী সহ সভাপতি ও কার্যকরী কমিটির বেশ কয়েক সদস্যদের সাথে। কর্মরত শিক্ষক মাওলানা নুর কামাল জানান-মাওলানা আনসারী আমারও শিক্ষক ছিলেন।সুপার হিসাবে অস্হায়ী ভাবে হুজুরের নিয়োগ পর থেকে দীর্ঘদিন কর্মরত কয়েক শিক্ষককে চলে যেতে হয়েছে।কারণ কি জানিনা।তবে হুজুর এসে ২০২৩ সালে মাদ্রাসা বোর্ড কর্তৃক বিআইআইএন নং-০৪৭৮০/২৩সাল আমরা পেয়ে সবাই খুশি।তারপরে হঠাৎ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীর ২৮ জনের একটি তালিকা পেয়ে সবাই হতভাগ।তখন থেকে পরিচালনা ও কার্যকরী কমিটির দায়িত্বশীল ও সদস্যরা সোচ্চার হয়ে উঠেছেন হুজুরের বিরুদ্ধে।তবে অফিসে মাদ্রাসার কোন ডকুমেন্ট নেই।সবকিছু হুজুরের হাতে আছে,থাকবে। সুপার মাওলানা নুর আহমদ আনসারী মুঠোফোনে উনার অসঙ্গতি,অনিয়মের কথা শোনার পরে বলেন আমিও চাকরি করি না বলে লাইন কেটে দেন। মাদ্রাসার কার্যকরী কমিটির সভাপতি নিয়াজুল ইসলাম বাদল জানান-হুজুর অভিজ্ঞ বলে আমরা মাদ্রাসার উন্নতির জন্য অস্হায়ী ভাবে সুপারের দায়িত্ব দিয়েছিলাম।এরমধ্যে কাউকে কিছু না জেনে ২৮ জনের একটি শিক্ষক-কর্মচারীর তালিকা বানিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেন।পরবর্তী তা ফেসবুকে ভাইরাল করলে,তা জানা যায়।সেখানে স্বজনপ্রীতির প্রমাণ মিলেছে। তাই গত বৃহস্পতিবারের ৭/৮ দিন পূর্ব থেকে এপর্যন্ত কর্মরত ৬জন শিক্ষক মাদ্রাসায় আসেনি।সবাই আনসারী হুজুরের সিন্ডিকেটধারী শিক্ষক বলে প্রমাণ হয়েছে।এভাবে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান চলতে পারে না।বিধায় মাদ্রাসার স্বার্থে বিকল্প করণীয় কি হবে,এমন পদক্ষেপ নিতে শীঘ্রই কার্যকরী কমিটির ৮জন,পরিচালনা কমিটির ৪২জন সদস্য সকলকে ডেকে সিদ্ধান্ত নিবেন বলে জানান। উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নজরুল ইসলাম বলেন-যেকোন অনিয়ম,অসঙ্গতি ধরা পড়লেই ব্যবস্হা নেওয়া হবে।তবে অডিট সুপারভাইজারকে আরেক বার জানানোর অনুরোধ করেন তিনি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ ফকরুল ইসলাম বলেন-অভিযুক্ত হুজুরের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেলেই দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।