বিডি প্রতিবেদক :
‘যক্ষ্মা মুক্ত রাষ্ট্র গড়তে দূর্নীতি মুক্ত সমাজ চাই’- নাটাব সভাপতি কবি কামরুল হাসান।
বুধবার বাংলাদেশ জাতীয় নিরোধ সমিতি( নাটাব) এর উদ্যোগে দেশে যক্ষ্মার রোগের বর্তমান পরিস্থিতি ও করণীয় বিষয়ে বয়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমি স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক বৃন্দের অংশগ্রহণে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সভাপতির বক্তৃতায় কবি কামরুল হাসান বলেন-যক্ষ্মা রোগের প্রধান কারণ হচ্ছে পুষ্টিহীনতা,পুষ্টিহীনতার প্রধান হচ্ছে দারিদ্রতা,আর দারিদ্রতার প্রধান কারণ হচ্ছে দূর্নীতি।সুতরাং যক্ষ্মা মুক্ত রাষ্ট্র গড়তে হলে,দূর্নীতি মুক্ত সমাজ চাই।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় কক্সবাজার সরকারী মেডিক্যাল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক কনসালটেন্ট মেডিসিন ডা:নুরুল আলম বলেন- যক্ষ্মা রোগী সনাক্ত হলে তাকে প্রতিদিন নিয়মিত ভাবে ৬মাস ঔষধ সেবন করতে হবে। মধ্যখানে ঔষধ অনিয়মিত হলে সেই রোগীর শরীরে ড্রাগ রেজিস্টান্ট তৈরী হবে। সে ক্ষেত্রে দেশ থেকে যক্ষ্মা দূরিভূত করা সুদুর পরাহত হয়ে পড়বে।
মূখ্য আলোচকের আলোচনায় বায়তুশ শরফ হাসপাতালের কনসালটেন্ট ডা: মো: সাইফুল ইসলাম বলেন-এক সমীক্ষায় দেখা গেছে দেশে প্রতিবছর ৩ লক্ষ লোক যক্ষ্মায় আক্রান্ত হচ্ছে, আর ৭০হাজার লোক মারা যাচ্ছে।যদি ৩সাপ্তাহ ধরে কাউকে কাঁসতে দেখেন তবে তাকে নিকটস্থ টি বি হাসপাতালে অথবা ব্রাক সেন্টারে পাঠিয়ে দিতে হবে।পরীক্ষায় রোগ ধরা পড়লে তাকে সম্পূর্ণ বিনা খরছে চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় আরো বক্তব্য রখেন বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমি স্কুল এন্ড কলেজ এর অধ্যক্ষ মো: সৈয়দ করিম,প্রধান শিক্ষক (দিবা শাখা) মোহাম্মদ তৈয়ব,প্রধান শিক্ষক (প্রাত শাখা)আব্দুল মালেক কুতুবী, সিনিয়র বিজ্ঞান শিক্ষক রেজাউল করিম প্রমুখ।
সভা সঞ্চলনা করেন নাটাব এর প্রোগ্রাম অফিসার
আলমগীর হোসাইন আলম।