শিরোনাম :
মহেশখালীর কালারমারছড়ার জলদস্যু সরদার হাসান নুরী গ্রেফতার কক্সবাজারে ট্যুরিজম এন্ড ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ইসলামী শ্রমনীতি ব্যতীত শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়-আব্দুল্লাহ আল ফারুক ছাত্র জনতার বিজয়ের মাধ্যমে মানবতার বিজয় সুচিত- মুহাম্মদ শাহজাহান পেকুয়ায় বিরোধীয় জায়গায় স্হাপনা নির্মাণকে কেন্দ্র করে হামলাঃ আহত ৬ কৈয়ারবিল ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে নারী উদ্যোক্তাকে যৌন হয়রানি অভিযোগ কক্সবাজার শিশু সুরক্ষা প্ল্যাটফর্ম এর সাধারণ সভা আজ সে ভয়াল ২৯ এপ্রিল:উপকূলবাসীর স্বজন হারানোর দিন বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. আবদুল হাই এর ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ রামুতে ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশা চালক নিহত এবং তিনজন আহত

খুটাখালীতে স্যালু মেশিন বসিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলনঃধসে পড়ার মূখে বেড়িবাঁধ

নিউজ রুম / ৬৪ বার পড়ছে
আপলোড : বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ০৮:৪৮ পূর্বাহ্ন

বিডি প্রতিবেদক :

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের মেধের খাল,খুটাখালী ছড়ার মূখ ও তলীয়া ঘোনার খালে স্যালু মেশিন বসিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলন করছে আ’লীগের অঙ্গ সংগঠনের দোসর নেতারা।ফলে ধসে পড়ার মূখে খালের বেড়িবাঁধ সহ চিংড়ি ঘের আর লবণ মাঠের বাঁধগুলো।
সরেজমিনে গেলে দেখা যায়-অবৈধ বালু উত্তোলনের প্রথম স্পষ্ট হলো-মেধের খালে সংযুক্ত তলীয়ার খাল।এই খাল সংলগ্ন ছাগল খাইয়া চিংড়ি ঘের ও লবণ মাঠের লাগোয়া পূর্বপাশে খাল থেকে স্যালু মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করছে এরশাদ সহ আরো ১/২জন লোক।
দ্বিতীয় স্পষ্ট হলো-তলীয়ার খাল সংলগ্ন ছড়াঘোনা আর মাষ্টার ঘোনার মাঝখানের খাল থেকে অবৈধ স্যালু মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করছে আব্দুল্লাহ,রফিকুল ইসলাম ও ছাবের আহমদ।
তৃতীয় স্পষ্ট হলো-মেধের খালে সংযুক্ত খুটাখালী ছড়ার মূখ।অর্থাৎ রাবার ড্যামের নিচে খুটাখালী ছড়ার মূখে স্যালু মেশিন বসিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলন করছে রায়হান,আলী আহমদ ও সোলতান।
বালু উত্তোলনকারীরা টেনপু বোট যোগে বালুগুলো বিভিন্ন স্হানে পাচার করে যাচ্ছে।এই বালু উত্তোলনের ফলে মেধের খালের বেড়িবাঁধ সহ ছাগল খাইয়া,ছড়াঘোনা,মাস্টার ঘোনা ও মসজিদ ঘাটার চিংড়ি ঘের আর লবণ মাঠের বাঁধের ব্যাপক ফাটল ধরেছে।যেকোন সময়,যেকোন মূহুর্তে জোয়ারের পানি আর বর্ষার উজান থেকে আসা ঢলের পানিতে তলিয়ে যেতে পারে বাঁকগুলো।এতে শত লক্ষটাকার ক্ষতির সম্মূখিন হবে ঘের আর লবণ চাষিরা।পাশাপাশি পানি উন্নয়ন বোর্ডেরও অফুরন্ত ক্ষতি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।বালু উত্তোলনকারীরা এলাকার কাউকে পরোয়া করেনা।মানে না দেশের প্রচলিত আইন-কানুন।তাদের বিরুদ্ধে আচার করলেই,হামলার শিকার হতে হয় বলে নিরব চাষিরা।এই খালে যে খাটের সেতু সেটিও ভেঙ্গে পড়ার মূখে।খালটি বাটায় হেটে পারাপার করা যেত।কিন্তু এখন বাটাতেও ১০/১৫ হাত পানি থাকায় পারাপারে দূভোগ পোহাতে হচ্ছে।ভবিষ্যতে চিন্তা করে লবণ মাঠ আর চিংড়ি ঘের রক্ষায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন চাষিরা।
এবিষয়ে চকরিয়া উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আতিকুর রহমান বলেন-অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে পদক্ষেপ নিতে আমরা বদ্ধ পরিকর।সে যেই হোক,বালু উত্তোলন বন্ধ সহ উত্তোলনকারীকে আইনের আওতায় আনা হবে।


আরো বিভিন্ন বিভাগের খবর