চকরিয়া প্রতিনিধিঃ
কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের চকরিয়াস্হ মালুমঘাটের ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জাধিন ডুলাহাজারা বনবিটের অধিন কাম-চেকপোস্টের বনভূমির গাছ কেটে পাচারকারে কিছু উদ্ধার করলো সংশ্লিষ্ট বনবিভাগ।এরপরও কিছু গাছ পাচার করে ফেলে দখলবাজ আবু সৈয়দের ভাড়াটিয়া বনখেকোরা।এই অভিযানে অবশেষে প্রায় ৪০কড়া জায়গা দখলমুক্ত হলো।
দখলকারী-আবু সৈয়দ,ডুলাহাজারা ইউপির ৮নং ওয়ার্ডের পাগলিরবিল এলাকার অজি উল্লাহর ছেলে।
সরেজমিনে গেলে স্হানীয়রা জানান-ডুলাহাজারা বনবিটের অধিন পাগলিরবিল কাম-চেকপোস্ট অফিস ছিল।অফিসটির এরিয়া ছিল প্রায় দেড়খানির বা ৬০শতক মত।১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে অফিসটির চাউনি উড়ে গেলেও ইটের দেয়াল ভাল ছিল।তখন থেকে সংশ্লিষ্ট বনবিভাগ অফিস ঘরটি আর মেরামত না করায়,ক্রমান্বয়ে সংশ্লিষ্ট অসাধু বিট কর্মকর্তারা একটু-একটু করে বিক্রি করতে-করতে পরিশেষে প্রায় ৪০কড়া মত জায়গা ছিল। পরে এই জায়গাটি স্হানীয় আ’লীগ নেতা আবু সৈয়দ দখল করে নেন।গত ১৫ দিন আগে কাম-চেকপোস্টের বনভূমির গাছগুলো আবু সৈয়দ গাছের অর্ধক মূল্য নিয়ে ভিলেজার পাড়ার সৈয়দ হোসেনের ছেলে পুতুইয়াকে বিক্রি করে। পরে এই বনখেকো গাছগুলো চুরি করে কেটে পাচারকালে সংশ্লিষ্ট বন কর্মকর্তারা কিছু গাছ উদ্ধার করলেও হিংসভাগ গাছ পাচার করে ফেলে।পরে রেঞ্জার ও বিট কর্মকর্তা মিলে জায়গাটি কাটা তারের টেংরার বেষ্টনী দিয়েই দখলমুক্ত করেছে।
এবিষয়ে উচ্ছেদ হওয়া আবু সৈয়দ জানান-১৯৯১ সালের তুফানের পর প্রায় ৪০ কড়ার মত জায়গাটি তৎকালীন বিট কর্মকর্তা আমাকে বিক্রি করে চলে গেছেন।তখন থেকে আমি জায়গাটি রক্ষণাবেক্ষণ করে আসছি।জায়গাটি সংস্কারের লক্ষে গাছগুলো পুতুইয়াকে বিক্রি করি।সে গাছ কেটে নেওয়ার সময় কিছু গাছ বিট কর্মকর্তা এসে নিয়ে যায়। পরে জায়গাটি তারা টেংরা দিয়ে ফেলে।অথচ কাম-চেকপোস্টের অফিসের অনেক জায়গা তৎকালীন বিট কর্মকর্তা বিক্রি করে চলে গেছে। এখন আমারটা দোষের হলো।
ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ মেহরাজ উদ্দিন জানান-ডুলাহাজারা কাম-চেকপোস্টের অফিসের আঙ্গিনার গাছ কেটে পাচারকালে আমরা উদ্ধার করি।পরে জায়গাটি দখল উচ্ছেদ করে বেষ্টনী তৈরি করি।শীঘ্রই ওখানে এক টহল ঘর তৈরি করা হবে।যে বা যারা গাছ কেটেছে তাদের বিরুদ্ধে বন আইন মোতাবেক ব্যবস্হা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।