বিডি প্রতিবেদক চকরিয়া :
কক্সবাজারের চকরিয়ায় হিন্দু সম্প্রদায় ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যও আনন্দ উৎসব শ্রীকৃষ্ণ’র জন্মাষ্টমী উপলক্ষে জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদও নিত্যানন্দ গীতা সংঘের আয়োজনে বর্ণাঢ্য শোভা যাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ আগষ্ট) দুপুর তিনটায় চকরিয়া সার্বজনীন কেন্দ্রীয় হরি মন্দির প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভা শেষে হরি মন্দির প্রাঙ্গন থেকে শুরু হয়ে বর্নাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রাটি চট্টগ্রাম- কক্সবাজার মহাসড়ক ও পৌর শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। র্যালীতে সনাতন হিন্দু ধর্মালম্বীদের বিপুল সংখ্যাক নারী পুরুষ অংশ গ্রহণ করেন।
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে মঙ্গল শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা সভাপতিত্বে করেন চকরিয়া সার্বজনীন কেন্দ্রীয় হরি মন্দির মহোৎসব উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ধনরঞ্জন দাশ।
প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, চকরিয়া পৌরসভা মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর চৌধুরী।
এসময় মঙ্গল শোভা যাত্রা ও আলোচনা সভায় উদ্বোধন করেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেপি দেওয়ান,
বিশেষ অতিথি ছিলেন, চকরিয়া-পেকুয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) তফিকুল আলম, চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি চন্দ্রন কুমার চক্রবর্তী, চকরিয়া থানার অপারেশন অফিসার রাজীব সরকার, চকরিয়া সার্বজনীন কেন্দ্রীয় হরি মন্দির মহোৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি ডাক্তার তেজেন্দ্র লাল দে, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি তপন কান্তি দাশ, উপজেলা হিন্দু- বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি রতন বরণ দাশ, দানবীর রতন কুমার সুশীল, নন্দরাম ধর, চকরিয়া সার্বজনীন কেন্দ্রীয় হরি মন্দির উন্নয়ন কমিটির সভাপতি প্রদীপ কান্তি দাশ, পৌরসভা কৃষকলীগের সভা সুলাল কান্তি সুশীল, স্বাগত বক্তব্য রাখেন চকরিয়া উপজেলা জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের কার্যকরী সভাপতি ও উপজেলা হিন্দু- বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মুকুল কান্তি দাশ, অর্থ সম্পাদক শিমুল দে উজ্জল।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন চকরিয়া জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদপর সাধারণ সম্পাক ও পৌরসভা
হিন্দু- বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি নারায়ণ কান্তি দাশ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, আত্মার সাথে পরমাত্মার মিলন হলেই পৃথিবীতে আশা স্বার্থক হবে।পৃথিবী থেকে দুরাচারী দুষ্টদের দমন আর সজ্জনদের রক্ষার জন্যই মহাবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এই দিনে পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছিলেন। সমাজের বিদ্যমান ভ্রাতৃত্ব ও বন্ধুত্বের বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করতে সব সম্প্রদায়কে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।