বিডি প্রতিবেদক,চকরিয়া :
তিনটি আদালতের রায়ে মালিকানা চুড়ান্ত হলেও এবার পেশিশক্তির জোরে চকরিয়া উপজেলার উপকুলীয় বদরখালী ইউনিয়নের ফুলতলা চৌমুহনী স্টেশনে রাতের আঁধারে দোকানভিটা জবরদখলের ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগী দোকানভিটা মালিক আবু তাহের, রফিক উদ্দিন ও জয়নাল আবেদীন অভিযোগ তুলেছেন, আদালতের রায় ডিগ্রি অমান্য করে অপর ভাই ছিদ্দিক আহমেদের ছেলেরা অস্ত্রধারী লাঠিয়াল ভাড়া করে আমাদের দোকানভিটা দখল করেছে।
২০১৭ সালের ২৫ জানুয়ারি কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মোহাম্মদ ওসমান গনি সমবায় মিস মামলা (২৩/০৬) চুড়ান্ত শুনানীতে বাদি আবু তাহের গংয়ের পক্ষে দোকানভিটার মালিকানা হিসেবে রায় ডিগ্রি দিয়েছেন। তার আগে ২০০৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর একই বিষয়ে বদরখালী সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতির শালিসী বোর্ড ও ২০০৫ সালের ৩০ নভেম্বর কক্সবাজার জেলা সমবায় অফিসার মো তাজুল ইসলাম আলাদা দুইটি মামলার শুনানীতে আবু তাহের গং উল্লেখিত দোকানভিটার মালিক হিসেবে সনাক্ত করে রায় প্রদান করেন।
দোকানভিটা মালিক আবু তাহের, রফিক উদ্দিন ও জয়নাল আবেদীন অভিযোগ করে বলেন, বদরখালী ফুলতলা চৌমুহনী স্টেশনে দোকানভিটার মালিকানা নিয়ে পরপর তিনটি আদালতের রায় ডিগ্রি আমাদের পক্ষে আসলেও তা অমান্য করে চলছেন আমাদের অপর ভাই ছিদ্দিক আহমেদের পরিবার। তারা বলেন, আদালতের রায়ের আগে ২০০৪ সালের ১৮ ফেব্রয়ারী স্থানীয়ভাবে সমাজপতির মধ্যস্থতায় আমাদের চার ভাইয়ের মধ্যে একটি অংশনামাও হয়। সেখানে বলা হয় ৪০ ফুট আয়তনের দোকানভিটাটি আমরা চার ভাইয়ের পরিবার ১০ ফুট করে ভোগ করবে। কিন্তু বিজ্ঞ আদালতের রায় ও স্থানীয় রোয়েদাদ অমান্য করে আমাদের অপর ভাই ছিদ্দিক আহমেদের ছেলেরা জোরপূর্বক আমাদের দোকানভিটাটি এককভাবে দখলে নিতে অপচেষ্টা চালিয়ে আসছিলো। এরই অংশ হিসেবে সর্বশেষ চলতি বছরের ১২ মে রাতে আমাদের ভাই ছিদ্দিক আহমেদের ছেলে নাঈম উদ্দিন, সাইফুদ্দিন, সালাহউদ্দিন, ওয়াহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে অস্ত্রধারী লাঠিয়াল জড়ো করে পেশিশক্তির দাপট দেখিয়ে আমাদের পুরো দোকানভিটা জবরদখল করেছে।
ভুক্তভোগী আবু তাহের জানান, অবৈধভাবে দোকানভিটা জবরদখলের ঘটনায় ইতোমধ্যে আমি বাদি হয়ে কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি অপর মামলা (৮৮৪/২২) দায়ের করেছি। বিজ্ঞ আদালত মামলার প্রাথমিক শুনানীতে উল্লেখিত দোকানভিটা নিয়ে তদন্তপুর্বক প্রতিবেদন দিতে চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমিকে ও আইন শৃঙ্খলা ভঙ্গের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চকরিয়া থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। বর্তমানে বিষয়টি পুর্ববড় ভেওলা ইউনিয়ন তহসিলদার কার্যালয়ে তদন্তাধীন রয়েছে।
ভুক্তভোগী আবু তাহের, রফিক উদ্দিন, জয়নাল আবেদীন অভিযোগ করে বলেন, আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নিরীহ মানুষ। দিনমজুরি করে সংসার জীবন অতিবাহিত করি। পক্ষান্তরে অভিযুক্তরা এলাকায় দাপটশালী। তারা আইন আদালতকে তোয়াক্কা করে না। এখন তারা আমাদের পৈত্রিক অংশের বৈধ দোকানভিটা দখলে নিয়ে উল্টো আমাদেরকে মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করার হুমকি দিচ্ছে। এমনকি দোকানভিটার মালিকানা দাবি করলে এলাকা ছাড়া করবে, বাড়াবাড়ি করলে প্রাণে হত্যা করবে বলেও হাকাবকা করছে। এই অবস্থায় আমরা পরিবার সদস্যদের নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমরা প্রশাসনের কাছে আশ্রয় চাই। আমাদেরকে বেঁচে থাকার সুযোগ দিন। #####