বিডি প্রতিবেদক :
বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের ক্যাশিয়ার হিসেবে পরিচিত জসীম উদ্দিনের শাস্তির দাবিতে কক্সবাজারের পরিস্থিতি গত কয়েকদিন ধরে উত্তাপ্ত হয়ে উঠেছে। আর এই উত্তাপের জের পড়েছে কক্সবাজারের রাজপথেও।
বুধবার বিকালে কক্সবাজারের রাজপথে বিক্ষুব্দ জনতা স্রোত নেমেছিল। কক্সবাজারের সর্বস্তরের জনতার ব্যানারে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলেই দেখা মিলে এমন জনস্রোতের। যেখানে ‘জসিমের গালে গালে-জুতা মরো তালে তালে’, ‘জসিমের চামড়া-খুলে নেবো আমরা’ সহ নানা শ্লোগানে মুখরিত ছিল রাজপথ।
পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বেলা ২ টার পর থেকে কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকা থেকে খন্ড খন্ড মিছিল আসতে থাকে শহীদ সরণীস্থ কক্সবাজার জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে এই জমায়েত প্রসারিত হয়ে কক্সবাজার কেন্দ্রিয় শহীদ মিনার থেকে পালের দোকান এলাকা পর্যন্ত। সাড়ে ৩ টায় বের করা হয় বিক্ষোভ মিছিলটি। কক্সবাজারের সর্বস্তরের জনতার ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিলটির আয়োজন হলে কক্সবাজার সদর, পৌর, রামু, ঈদগাঁও উপজেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, শ্রমিকদল, স্বেচ্ছাসেবকদল, মাহিলাদল সহ নানা পেশাজীবী ব্যানার সহকারে এই মিছিলে অংশ নিতে দেখা গেছে।
মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বাজারঘাটা গিয়ে এক পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
যেখানে বক্তারা বলেছেন, আইজিপি বেনজিরের ক্যাশিয়ার জসিম, তার স্ত্রী তানজিনা সুলতানা, ভাই মাসুদ কুখ্যাত চোরাচালানকারী, স্বীকৃত প্রতারক, জুলাই অভ্যুত্থানে আওয়ামীলীগের অর্থ যোগানদাতা এবং কক্সবাজারের পর্যটন খাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী। এই প্রতারক কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পসংশ্লিষ্ট একটি বিষয় নিয়ে স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় মৎস্যবিষয়ক সম্পাদক লুৎফুর রহমান কাজল উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধ মীমাংসার উদ্যোগ গ্রহণ করায় কাজলের বিরুদ্ধে কুৎসার রটিয়েছে। জসীম সহ তার সহযোগিকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের করে শাস্তির দাবি জানানো হয়।
সভায় কক্সবাজার সদর, পৌর, রামু, ঈদগাঁও উপজেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, শ্রমিকদল, স্বেচ্ছাসেবকদল, মাহিলাদল নেতা-কর্মী ছাড়াও নানা পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বলেন, প্রতারণার মাধ্যমে অর্থের মালিক হওয়া চট্টগ্রামের চন্দনাইশের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও বিতর্কিত ব্যবসায়ী জসীম উদ্দিনকে কক্সবাজারে আর আসতে দেখা হবে না।
সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় মৎস্যবিষয়ক সম্পাদক লুৎফুর রহমান কাজলের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো ও মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করায় বিএনপির, পেশাজীবী সংগঠন, ব্যবসায়ী মহল ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিরা মিছিল, সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান করে একই দাবি জানিয়ে ছিলেন।