বিডি প্রতিবেদক :
কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়ায় ফিল্মী স্টাইলে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে পর্যটকের একটি মোটর সাইকেল, মোবাইল, হেলমেট ও নগর টাকাসহ মালামাল লুটের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (২০ আগস্ট) ভোর রাত ২টার দিকে মহাসড়কের চকরিয়া পৌর শহরের মাতামুহুরি ব্রীজে ঘটেছে এ ঘটনা। এ তথ্য প্রচারের পর সর্বত্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বিরাজ করছে উৎকন্ঠা, আতংক।
এদিকে, মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৭জনকে আসামি দেখিয়ে শনিবার দুপুরে চকরিয়া থানায় এজাহার দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী।
ডাকাতির শিকাররা হলেন, চট্টগ্রামের বোয়ালখালী পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব গোমদন্ডির জানে আলমের ছেলে মামুনুর রশিদ বাপ্পি (৩২), একই পৌরসভার পশ্চিম গোমদন্ডির মৃত আবদু শুক্কুরের ছেলে ফরহাদুজ্জামান (৩০), পটিয়ার নাখাইন এলাকার মো. ইলয়াছের ছেলে মাসুদ রানা (২৭) ও চট্টগ্রাম শহরের শুলকবহর এলাকার মৃত ছৈয়দুল হকের ছেলে আলতাফ মাহমুদ জাহেদ (৩২)।
থানায় দেয়া এজাহারে মামুনুর রশিদ বাপ্পি উল্লেখ করেন, কক্সবাজারে বেড়াতে যাওয়ার জন্য মোটরসাইকেল যোগে চার বন্ধু রাত ১২টার দিকে রওয়ানা হন। রাত ২টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া পৌরশহরের মাতামুহুরি ব্রীজে উপরে পৌছলে মোটরসাইকেল আরোহী মামুনুর রশিদ বাপ্পির চোখে ময়লা পড়ে। ওই সময় মোটর বাইক বন্ধ করে অন্য মোটরসাইকেলে থাকা বন্ধুরা তার চোখের ময়লা পরিষ্কার করছিল। এমন সময় ব্রীজে আগে থেকে অবস্থান করা একটি সিএনজি গাড়ি থেকে চালকসহ ৭জন সামনে এসে দাঁড়ায়। কিছু বুঝে উঠার আগেই তারা মোটরসাইকেল আরোহীদের মাথায় ও কোমরে অস্ত্র ঠেকিয়ে গলায় ছুরি ধরে ব্যবহৃত মোবাইল সেট ও টাকা-পয়সা দিয়ে দিতে বলে। ডাকাতদল তাদের ৮টি মোবাইল সেট ও মানিব্যাগে থাকা নগদ টাকা, দামি সব হেলমেট ছিনিয়ে লুট করে। পরে তাদের একজন বাদির মোটরসাইকেলটি নিয়ে দ্রুত দক্ষিণ দিকে সটকে পড়ে। পুরো ঘটনা ৫ মিনিটের মধ্যে ঘটে যায়। বাকি মোটরসাইকেলটিও নেয়ার চেষ্টা করলে পর্যটক যুবকদের শোর চিৎকারে লোকজন আসছে দেখে ডাকাতদল সিএনজি যোগে দ্রু স্থান ত্যাগ করে। ডাকাতদের দুজন প্যান্ট পরিহিত থাকলেও বাকি ৫জন লুঙ্গি পরা ছিল। দেখলেই ডাকাতদের চেনা যাবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দেড়যুগ পূর্বে সড়কে ডাকাতিসহ এধরণের ঘটনাগুলো বেশি ঘটতো। হঠাৎ করে এধরণের ঘটনার পূনরাবৃত্তি ঘটনায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
চকরিয়া থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ###