শিরোনাম :
খিয়ায় চাঞ্চল্যকর ডাকাতি ও খুনের ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব; বন্দুক ও গুলি উদ্ধার সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে ৫ জনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতির মামলা চকরিয়ায় ক্লিনিক,ল্যাব ও ফামের্সীতে অভিযানঃদেড় লক্ষ টাকা জরিমানা বৌদ্ধ ফোরাম কক্সবাজার জেলার আহবায়ক কমিটি ঘোষণা কক্সবাজারে বিএসপিএ’র উদ্যোগে বিশ্ব ক্রীড়া সাংবাদিক দিবস উদযাপন কোন দুর্বৃত্ত যদি কোন ধর্মীয় উপাসনালয়ের ক্ষতি করে বা ধর্মানুভূতিতে আঘাত হানে—রাষ্ট্র তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে = আলেমদের আগামী দিনে জাতির নেতৃত্ব দিতে হবে”–ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা উখিয়ায় দুস্থ নারীদের মাঝে চাল বিতরণ আবারো ৭ দিনের রিমান্ডে পেকুয়া নেওয়া হচ্ছে জাফর আলমকে, নিরাপত্তার শঙ্কা

১৯ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি

নিউজ রুম / ৩৯ বার পড়ছে
আপলোড : সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৪:৩৪ অপরাহ্ন

বিডি প্রতিবেদক টেকনাফ :

টেকনাফে ফেরার পথে নাফ নদ থেকে মাছ ধরার ৪টি নৌকাসহ ১৯ মাঝিকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ ঘোলারচর এবং নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তার আগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি নাফ নদের মোহনা থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া চার বাংলাদেশি জেলেকে এখনো ছাড়েনি তারা।

টেকনাফ কায়ুকখালী বোট মালিক সমিতির সভাপতি আবদুল জলিল বলেন, ‘টেকনাফের ফেরার পথে আজকেও আমাদের ঘাটের মাছ ধরার দুটি ট্রলারসহ ৯ জন মাঝিকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের আরাকান আর্মি। এর আগে ধরে নিয়ে যাওয়া ৬ জেলেকে এখনো ছেড়ে দেওয়া হয়নি। তার ওপর এ ধরনের ঘটনা মাছ ব্যবসায়ীসহ জেলেদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তাছাড়া এটি সমাধানে সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি আমরা।’

এছাড়া শাহপরীর দ্বীপ মাঝপাড়ার দুটি নৌকাসহ ১০ মাঝিকে ধরে নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন শাহপরীর দ্বীপ মাঝারপাড়া নৌঘাটে সাধারণ সম্পাদক আবদুর গফুর। তিনি বলেন, ‌‘আমার ঘাটের দুটি নৌকার মো.কালাইয়া এবং জাফর আলমের মালিকাধীন নৌকা নিয়ে নাফ নদে মাছ শিকারে যায়। এ সময় মিয়ানমারের আরাকান আর্মির সদস্যরা জেলেদের ধাওয়া করে তাদের ধরে নিয়ে যায়। এতে জেলেদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টেকনাফ সীমান্তের বিজিবির এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ‘নাফ নদ থেকে ট্রলারসহ জেলেদের নিয়ে যাওয়ার খবর পেয়েছি। কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে সেটি আমরা খতিয়ে দেখছি। পাশাপাশি তাদের দ্রুত ফেরত আনার চেষ্টা চলছে।’

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘জেলেদের ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি এই মাত্র শুনেছি। এ ঘটনায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের ফেরত আনার চেষ্টা চালানো হবে।’

স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী মো. তারেক উর রহমান বলেন, ‘প্রায় সময় জেলেদের মিয়ানমারে ধরে নিয়ে ঘটনা ঘটছে। এতে আমরা খুব চিন্তিত। কেননা এটি সমাধান না হলে জেলেরা মাছ শিকারে যাবে না। তাই এটি সমাধান না হলের জেলেদের মাঝে আবারও হতাশা দেখা যাবে।’

এর আগে গত বছর ৬ অক্টোবর সকালে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাট থেকে ৬টি মাছ ধরার ট্রলারসহ ৫৮ জেলে গভীর সাগরে মাছ ধরতে যান। তাদের ৯ অক্টোবর অপহরণ করে সে দেশের নৌবাহিনী। এ সময় মিয়ানমার নৌবাহিনীর টহলরত একটি স্পিড বোট থেকে বাংলাদেশি একটি ট্রলারকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। তাতে তিন জেলে গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজন ঘটনাস্থলে মারা যান। পরে জেলেদের ফেরত দেওয়া হয়। তখন এ বিষয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কঠোর প্রতিবাদ জানানো হয়েছিল। এ ছাড়া সব শেষ ১৫ অক্টোবর মিয়ানমারের রাখাইনে অনুপ্রবেশ করা মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির হেফাজতে থাকা বাংলাদেশি ১৬ জেলেকে ফেরত এনেছিল বিজিবি।


আরো বিভিন্ন বিভাগের খবর