সাকলাইন আলিফ :
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের শহর কক্সবাজার। যেখানে প্রতিনিয়ত দেশি-বিদেশি পর্যটকের আগমন ঘটে। আগত পর্যটকদের রাখাইনসহ স্থানীয় খাবারের ব্যাপারে জানাতে ও আগ্রহ সৃষ্টি করতে শুরু হয়েছে পালঙ্কি পার্বন নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। খাবারের পাশাপাশি স্থানীয় সংস্কৃতি তুলে ধরা হচ্ছে। পর্যটন বিকাশের নতুন একটি পলক হিসেবে এই আয়োজন ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন হোটেল রামাদাতে পালঙ্ক কি পার্বন নামের এই ব্যতিক্রমী আয়োজনে স্থানীয় রাখাইন সম্প্রদায়সহ নারী উদ্যোক্তাদের ১৫ সহ ১৭ টি স্থান পেয়েছে।
হোটেল রামাদা এবং আইএসইসি আইএলও প্রকল্পের যৌথ উদ্যোগে এনরুট ইন্টারন্যাশনালের সহায়তায় বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে শুরু হওয়া এই আয়োজন স্থানীয় নারী উদ্যোক্তা সাংস্কৃতিক শিল্পীদের একত্রিত করে কক্সবাজারের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য এবং অর্থনৈতিক সম্ভাবনা তুলে ধরবে। এর মাধ্যমে পর্যটনের প্রসার ঘটবে। এরকম প্লাটফর্মে নিজেদের তৈরি করা খাবার প্রদর্শনের সুযোগ পেয়ে খুশি স্থানীয় নারীর উদ্যোক্তারা। রাখাইন নারী উদ্যোক্তা মাটিন টিন বলেন, এটি আমাদের জন্য বিরল সুযোগ। এর মাধ্যমে আমরা আমাদের খাবারের বিষয়গুলো পর্যটকদের কাছে তুলে ধরতে পারছি। আলো না রাখাইন বলেন, এই প্রথমবারের মতো কক্সবাজারে রাখাইনদের খাবারের কোন প্রদর্শনী হলো। আমাদের খাবারগুলো পর্যটকদের বিশেষ আকর্ষণ তৈরি করবে।
এখানে স্থানীয় খাবারের পাশাপাশি ঐতিহ্যবাহী রাখাইন সম্প্রদায়ের খাবারের প্রদর্শনীর ব্যবস্থা রয়েছে। রাখাইন সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী খাবার গুলো আগত পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে এবং এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে তাদের প্রত্যাশার কথা জানান কয়েকজন রাখাইন নারী উদ্যোক্তা সুনেও রাখাইন।
দুই দিনব্যাপী এই ব্যতিক্রমী মেলার উদ্বোধন করে আইএলও কক্সবাজার সাব-অফিস প্রধান রুচিকা বাহল বলেন,”পালংকি পার্বণ শুধু একটি মেলা নয়; এটি স্থানীয় মহিলাদের উদ্যোগ এবং কারিগরদের তাদের পণ্য আরও বিস্তৃত দর্শকদের সামনে তুলে ধরার একটি সুযোগ। আইএসইসি-আইএলও প্রকল্প এমন উদ্যোগগুলোর সহায়ক, যা টেকসই উন্নয়ন সুযোগ তৈরি করে এবং কক্সবাজারের স্থানীয় সম্প্রদায়ের ক্ষমতায়ন ঘটায়।”
হোটেল রামাদার জেনারেল ম্যানেজার শেভান গুনারত্নে বলেন, আমাদের হোটেলে এরকম একটি আয়োজন করতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত। কক্সবাজারের স্থানীয় নারী উদ্যোক্তাদের খাবার কক্সবাজার আগত পর্যটকরা দেখতে পাবে। এর মাধ্যমে একটি মেইল বন্ধন তৈরি হবে।
ব্যতিক্রমী এই আয়োজনটিতে খাবারের পাশাপাশি থাকছে স্থানীয় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।
কক্সবাজার উইমেন্স চেম্বারের সভাপতি জাহানারা ইসলাম বলেন, এআয়োজন স্থানীয় নারী উদ্যোক্তাদের অর্থনৈতিকভাবে ক্ষমতায়ন করার পাশাপাশি পর্যটক আকৃষ্ট করতে ভূমিকা রাখবে।
বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া এই মেলা চলবে শুক্রবার রাত পর্যন্ত। খাবারের প্রদশনের পাশাপাশি এখানে থাকবে স্থানীয় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।