শিরোনাম :
পেকুয়ায় গুলি বর্ষণের ঘটনায় ১৪ জনকে আসামি করে মামলা কোস্ট গার্ড ও র্যাবের অভিযান : শাহপরীর দ্বীপ উপকূল থেকে এক লাখ পিস ইয়াবা সহ ৫ ইয়াবা কারবারি আটক জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ রোহিঙ্গা সংকটের উপর প্রস্তাব গ্রহণ গভীর সাগরে ভাসতে থাকা ২২ মাঝিমাল্লা সহ ফিশিং বোট উদ্ধার পেকুয়ায় লবণমাঠ দখলে নিতে ফাঁকা গুলি ছুটলো র্দূবৃত্তরাঃআহত-১৬ চকরিয়া ডাকাতি মামলার তিন আসামীকে গ্রেফতার করেন পুলিশ গভীর সাগরে বিকল ১২ জেলে সহ ফিশিং ট্রলার উদ্ধার কক্সবাজারে বিশ্ব আবহাওয়া দিবস পালিত রোহিঙ্গা বোঝাই ট্রলার ডুবি : নিখোঁজ হয়ে মৃত উদ্ধার বিজিবি সদস্য চকরিয়ায় অস্ত্র,মাদক ও টমটম চুরি মামলা মিলে ৪ আসামী গ্রেফতার

কক্সবাজারে বিমানবাহিনী এলাকাবাসী সংঘর্ষ :এলাকাবাসীর মাঝে আতঙ্ক

নিউজ রুম / ১৩ বার পড়ছে
আপলোড : বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫, ০৮:৩২ অপরাহ্ন

বিডি প্রতিবেদক :

কক্সবাজার শহরের বিমানবন্দরের পশ্চিমে বিমান বাহিনীর সদস্যদের সাথে স্থানীয় এলাকাবাসীর সংঘর্ষের ঘটনায় ৫ টি গ্রামে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
তিন দফা জানাজা শেষে নিহত ব্যবসায়ীর দাফন সম্পন্ন।
হত্যার বিচার চেয়ে বিক্ষোভ ও মশাল মিছিল, স্মারকলিপি প্রদান প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে। এ ঘটনা এখনও মামলা হয়নি। জেলা প্রশাসকের সাথে এলাকাবাসীর মতো বিনিময়।
সোমবার কক্সবাজার পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের সমিতি পাড়ার বাসিন্দাদের সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত শিক্ষক দম্পতির ব্যবসায়ী সন্তান শিহাব কবির নাহিদের প্রথম জানাজা সোমবার রাতে কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। এরপর কুতুবদিয়া পাড়া ও পরের রামুর মন্ডলপাড়ায় তৃতীয় জানাযার শেষে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে বলে নিহতের পিতা শিক্ষাবিদ নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমার ছেলেকে যারা হত্যা করেছে আমি তাদের বিচার চাই। কি অপরাধ করেছিলাম আমি। আমি কেন এত বড় শাস্তি পেলাম। আমি আমার স্ত্রী দুজনে শিক্ষক। আমাদের একমাত্র সন্তান কে আজ নিজের হাতে কবর দিলাম। একজন পিতার জন্য এর চেয়ে বড় কষ্ট আর কি হতে পারে।
পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের সমাজ নেতা ফুরকান রশিদ বলেন, মঙ্গলবার আমরা কক্সবাজারের জেলা প্রশাসকের সাথে এ বিষয়টি নিয়ে মতবিনিময় করেছি। জেলা প্রশাসক আমাদের আশ্বস্ত করেছেন আমাদের কোনভাবে উচ্ছেদ করা হবে না। তারপরও আমরা চরম আতঙ্কের মধ্যে আছি।
সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত শিহাব কবির নাহিদের সহপাঠীরা রাতে কক্সবাজার শহরের মশাল মিছিল বের করে এ হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করে। একই দাবিতে মঙ্গলবার সকালে বিক্ষোভ মিছিল কক্সবাজার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করে নিহত নাহিদের সহপাঠীরা। পরে তারা তার হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করে জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি প্রদান করে।
কক্সবাজার শহরের এক নম্বর ওয়ার্ডের কুতুবদিয়া পাড়া, সমিতি পাড়া সহ পাঁচ গ্রামের বাসিন্দারা চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে বলে এম এযাবত উল্লাহ কুতুবী জানিয়েছে। তিনি বলেন,পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে বিমান বাহিনী ঘাঁটির নামে অপ্রয়োজনীয় জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে। যেখানে যুগ যুগ ধরে বসবাস করে আসছে জলবায়ু উদ্বাস্তু প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। এই জমি অধিগ্রহনের বিরুদ্ধে ও জমি বন্দোবস্তের দাবিতে আন্দোলনরতদের একজন জাহদকে বিমান বাহিনীর চেকপোস্ট থেকে আটক করা হয়। দীর্ঘসময় পর তাকে ছেড়ে না দেওয়ায় স্থানীয় লোকজন সেখানে যান। এসময় বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে নির্বিচারে গুলি করা হয়।
কক্সবাজার সদর মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইলিয়াস খান জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কোন মামলা হয়নি। নিহতের পরিবার থেকে অভিযোগ পেলে আমরা সাথে সাথে মামলা নিয়ে নেব। তবে আমাদের কাছে এখনো মামলা নিয়ে কেউ আসেনি।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, এটা যেহেতু একটা বাহিনীর ঘটনা। তাই বাহিনীর ভেতর থেকে এটাকে দেখা হচ্ছে। আমরা চাচ্ছি সবকিছু যাতে ঠিক হয়ে যায়। এলাকাবাসীর সাথে আমরা বসে কথা বলেছি।
কক্সবাজার বিমানবন্দরে সমিতিপাড়া, কুতুবদিয়া পাড়াসহ ১৯টি গ্রাম-মহল্লা নিয়ে কক্সবাজার পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড। ৭০ হাজার বাসিন্দার ৯০ শতাংশ জলবায়ু উদ্বাস্তু। ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিলের প্রলয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে ঘরবাড়ি হারিয়ে কুতুবদিয়া, পেকুয়া, মহেশখালীসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন এসে ১ নম্বর ওয়ার্ডের খাসজমিতে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে নেন। কয়েক বছর ধরে কিছু এলাকায় বিমান ঘাঁটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এসব জায়গা থেকে উচ্ছেদ হওয়া লোকজনের জন্য তিন কিলোমিটার দূরে খুরুশকুলে ১৩৭টি পাঁচতলা ভবনের বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্প গড়ে তোলা হচ্ছে। দুই বছর আগে ২০টি ভবনে ৬০০ পরিবারের ঠাঁই হয়েছে। এখন আরও ৮৫টি ভবন প্রস্তুত করা হয়েছে। গত ৭ জানুয়ারি সকালে ১ নম্বর ওয়ার্ডের কয়েক হাজার নারী-পুরুষ শহরের প্রধান সড়ক অবরোধ করে উচ্ছেদ বন্ধের দাবি জানান।


আরো বিভিন্ন বিভাগের খবর