
আব্দুর রহমান :
জলবায়ু উদ্বাস্তুদের পূর্ণবাসন লবণ ও পানচাষীদের অধিকার বাস্তবায়নের দাবিতে কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত জনসভায় বক্তারা বলেছেন, শিল্পায়নের নামে লবণ চাষীদের উদ্বাস্ত করার ষড়যন্ত্র চলছে। লবণ চাষের জমিতে শিল্পায়নের মাধ্যমে এই চাষকে বাংলাদেশ থেকে চিরতরে উৎখাতের ষড়যন্ত্র চলছে। শুরু হয়েছে লবণ আমদানির ষড়যন্ত্র। পান চাষিরা ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না। অপরদিকে পরিবেশ ধ্বংস করে একের পর এক শিল্পায়ন হচ্ছে। তাই পরিবেশ প্রতিবেশ রক্ষায় ও লবণ ও পান চাষীদের উদ্বাস্ত করার ষড়যন্ত্র কোনভাবেই বাস্তবায়ন করতে দেবে না এদেশের জনগণ। বাংলাদেশের একমাত্র লবণ উৎপাদন হচ্ছে কক্সবাজারে, কিন্তু সেই লবণ উৎপাদনের জমিগুলো শিল্পায়নের নামে কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।এতে করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী উদ্বাস্ত হওয়ার পথে।
কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা ধরা আয়োজিত জনসভায় বক্তারা আরো বলেন, মানুষ এতদিন বিদ্যুৎ ছাড়া বসবাস করেছিল, বিদ্যুতের চেয়ে প্রয়োজন হচ্ছে লবণ, লবন ছাড়া খাওয়া যায় না, তাই যে কোনোভাবেই এই লবণ মাঠকে রক্ষা করতে হবে। ষড়যন্ত্র করে এদেশের লবণ উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে একটি কুচক্রী মহল।
সমাবেশের প্রধান অতিথি ধরার কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব শরীফ জামিল বলেন, বাংলাদেশের পরিবেশ প্রতিবেশ রক্ষা ও এদেশের সম্পদ লবণ ও পান শিল্প রক্ষায় দেশের প্রতিটি সচেতন নাগরিককে কাজ করতে হবে। তা না হলে আগামীর খাদ্য চাহিদা সংকটে পড়বে।
মাতারবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত আপন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সুরমা নদী রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল করিম কিং, ধরার কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য সানজিদা রহমান, ধরার কক্সবাজার জেলা শাখার সদস্য সচিব ফরিদুল আলম শাহীন। বক্তব্য রাখেন, মহেশখালী প্রেসক্লাবের সভাপতি জয়নাল আবেদীন, সাংবাদিক আব্দুস সালাম কাকলী, মাস্টার রফিকুল ইসলাম, আবুল বশর পারভেজ, দেলোয়ার হোসেন, জসিম উদ্দিন, মাস্টার গিয়াস উদ্দিন, মাস্টার মাসেক উল্লাহ, মাস্টার জহিরুল ইসলাম, ছাত্রনেতা আসমাউল হাসান, কায়সার হামিদ ও মাওলানা আব্দুর রহমান।