
আবু মিহরান :
জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা নূর আহমদ আনোয়ারী বলেছেন, গোপালগঞ্জে জুলাই যোদ্ধাদের উপর ফ্যাসিস্ট, সন্ত্রাসী ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের হামলা, অগ্নিসংযোগ ও নৈরাজ্য নতুন বাংলাদেশ কে চ্যালেঞ্জ করেছে। অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। সরকারের দূর্বলতার কারণে ফ্যাসিস্টরা জুলাই যোদ্ধাদের উপর হামলার সাহস করেছে। আমরা অবিলম্বে ব্যর্থ কর্মকর্তাদের অপসারণের দাবি জানাচ্ছি, পাশাপাশি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করছি। গোপালগঞ্জ বাংলাদেশের বিচ্ছিন্ন কোন জেলা নয়। ফ্যাসিবাদের শিকড় উপড়ে না ফেলা পর্যন্ত আমাদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। ১৭ জুলাই কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে কক্সবাজার শহর জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলোত্তর সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা নূর আহমদ আনোয়ারী উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
কক্সবাজার শহর জামায়াতের আমীর জননেতা আবদুল্লাহ আল ফারুকের সভাপতিত্বে
শহর সেক্রেটারি রিয়াজ মুহাম্মদ শাকিলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জাহিদুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন জেলা এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অধ্যাপক আবু তাহের চৌধুরী , দেলাওয়ার হোসাইন, অফিস সেক্রেটারী এড. মোহাম্মদ শাহজাহান, সদর আমীর অধ্যাপক খুরশিদ আলম আনছারি, রামু উপজেলা আমীর ফজলুল্লাহ মোহাম্মদ হাছান ও শহর জামায়াতের নায়েবে আমীর কফিল উদ্দিন চৌধুরী।
প্রধান অতিথি আরো বলেন , যারা বিগত ১৭ বছর ফ্যাসিজম কায়েম করেছিল তারা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে এই দেশ থেকে বিতাড়িত হয়েছে। বছর না যেতেই ফ্যাসিবাদী শক্তির অস্ত্র হাতে গোপালগঞ্জে হামলায় দেশবাসী উদ্বিগ্ন। গোপালগঞ্জে এনসিপির কর্মসূচি ঘিরে নেতাকর্মীদের উপর যে হামলা হয়েছে তা দেশের গণতন্ত্রের জন্য চরম হুমকি।
প্রধান অতিথি ফ্যাসবাদী আগ্রাসনকে রুখে দিতে দেশপ্রেমিক সকল রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জানান। পাশাপাশি হামলায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনকে আরো কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান।