মুকুল কান্তি দাশ :
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ চকরিয়া পৌরসভা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন আগামী ২ সেপ্টেম্বর। দীর্ঘ ৯ বছর পর সম্মেলনের তারিখটি ঘোষণার পর সভাপতি সম্পাদক পদে ৭ জন প্রার্থী প্রার্থীতা ঘোষণা করেছিলেন। এর জেরে, পৌর আওয়ামী পরিবারে উৎসাহ উদ্দীপনা শুরু হয়৷ প্রার্থীদের পক্ষে কাউন্সিলর ডেলিগেট ছাড়াও কর্মী-সমর্থকরা দোয়া ও ভোট চেয়ে অসংখ্য স্ট্যাটাস দেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। কিন্তু হঠাৎ করে সেই উৎসাহে ভাটা পড়ে। স্থিমিত হয়ে পড়ে উদ্দীপনা। যথা সময়ে (১ সপ্তাহ আগে) কাউন্সিলর তালিকা না পাওয়ার অভিযোগ তোলে সম্মেলন পেছানোর দাবী জানিয়ে এবং না পেছালে সম্মেলন বর্জনের ঘোষণা দিয়ে নিজ নিজ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন সভাপতি প্রার্থী পৌর মেয়র আলমগীর চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আতিক উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী পৌরসভার কাউন্সিলর মুজিবুল হক মুজিব, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী এডভোকেট ফয়েজুল কবির ।
রবিবার(২৮ আগষ্ট) এই স্ট্যাটাস প্রকাশের পর শংকা ছড়িয়ে পড়ে ২ সেপ্টেম্বর সম্মেলন হবে কিনা তা নিয়ে।
সভাপতি প্রার্থী মেয়র আলমগীর চৌধুরী বলেন, সম্মেলনের কমপক্ষে এক সপ্তাহ আগে কাউন্সিলের তালিকা প্রকাশ ও সম্ভাব্য প্রার্থীরা পাওয়ার কথা। এ তালিকা পেলেই প্রার্থীরা প্রচারণা চালাতে পারতো কিন্তু কক্সবাজার গিয়ে নানাভাবে চেষ্টা করেও সম্মেলনের মাত্র ৪ দিন আগেও কাউন্সিলর তালিকা পায়নি। এ অবস্থায় সম্মেলনের তারিখ পুনঃ নির্ধারণ পূর্বক পিছিয়ে না দিলে নির্বাচনে অংশ নেয়া সম্ভব হবে না। তালিকা নিয়ে লুকোচুরি গভীর ষড়যন্ত্র মনে হচ্ছে আমার।
একই বক্তব্য দিয়েছেন পৌর আওয়ামীলীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ও ফের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আতিক উদ্দিন চৌধুরী। অনুরুপ বক্তব্য দিয়েছেন অপর দুই সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মুজিব, ফয়েজুল।
সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীরা এই প্রয়োজনীয় জটিল সমস্যাটি সমাধানের জন্য আওয়ামিলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপির হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। ##