বিডি প্রতিবেদক:
কক্সবাজারে আলোচিত রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলায় ২৯ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জ গঠন করা হয়েছে। আজ রবিবার দুপুরে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে এই চার্জ গঠন করা হয়।
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর পিপি এডভোকেট ফরিদুল আলম জানিয়েছেন আজ রবিবার রোহিঙ্গা নেতা মুহিব্বুল্লাহ হত্যা মামলার নির্ধারিত তারিখ ধার্য ছিল। এই হত্যা মামলায় পুলিশের দেয়া চার্জশিট নিয়ে আদালত শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত মুহিব্বুল্লাহ হত্যা মামলায় ২৯ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন। পিপি জানান এর মধ্য দিয়ে আলোচিত রোহিঙ্গা নেতা মুহিব্বুল্লাহ হত্যা মামলার বিচারিক কার্যক্রম আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হলো। চার্জ গঠনের সময় এই মামলার ২৯ আসামির মধ্যে ১৫ জন আদালতে হাজির ছিল। বাকি ১৪ জন আসামি পলাতক রয়েছে।
মামলায় মোট ৩১ জনকে স্বাক্ষী করা হয়েছে। মামলার বিচারিক কার্যক্রমের পরবর্তী তারিখে স্বাক্ষীদের স্বাক্ষগ্রহন করা হবে
তিনি জানান এই হত্যা মামলায় উখিয়া থানা পুলিশ গত ১৩ জুন আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছিলেন।
চার্জ গঠন হওয়া ২৯ জন আসামী হলো:
তদন্ত কর্মকর্তার দাখিল করা অভিযোগপত্রে ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে আরসা নেতা ও রোহিঙ্গা মোহাম্মদ ছলিমকে। তিনি উখিয়ার কুতুপালং আশ্রয়শিবিরের নুর বশরের ছেলে। এরপর যথাক্রমে আছে একই ক্যাম্পের শওকত উল্লাহ, মোহাম্মদ সালাম, জিয়াউর রহমান, মো. ইলিয়াছ, মো. আজিজুল হক, মোর্শেদ প্রকাশ মুর্শিদ, নুর মোহাম্মদ, আনাস, নজিম উদ্দিন, আবুল কালাম প্রকাশ আবু, হামিদ হোসেন, সিরাজুল মোস্তফা ওরফে সিরাজুল্লাহ ওরফে সিরাজ, মৌলভি মো. জকোরিয়া, খাইরুল আমিন, মাস্টার আবদুর রহিম ওরফে রকিম, জাহিদ হোসেন ওরফে লালু, ফয়েজ উল্লাহ, ছমির উদ্দিন ওরফে ছমি উদ্দিন ওরফে নুর কামাল, সালেহ আহমদ, মোজাম্মেল ওরফে লাল বদিয়া, তোফাইল, মাস্টার শফি আলম, আবদুস সালাম ওরফে জাকের মুরব্বি, জকির, হাফেজ আয়াছ, মাস্টার কাশিম, মাস্টার শুক্কুর আলম ও মোস্তফা কামাল।
গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়ার কুতুপালং লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-ব্লকের আরকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস (এআরএসপিএইচ) সংগঠনের কার্যালয়ে বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত হন মুহিবুল্লাহ। তিনি ওই সংগঠনের চেয়ারম্যান ছিলেন।
৩০ সেপ্টেম্বর মুহিববুল্লাহর ছোট ভাই হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্ত ভার পান উখিয়া থানার ওসি তদন্ত গাজী সালাহ উদ্দিন। তদন্ত শেষে ২৯ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছিলেন।
উখিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী জানিয়েছেন গ্রেপ্তার ১৫ জনের মধ্যে ৪ জন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। একই সঙ্গে ৩ জন স্বাক্ষীও ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। এ হত্যাকাণ্ডে ৩৬ জনকে জড়িত হিসেবে সনাক্ত করা হলেও ৭ জনের ঠিকানা ও অবস্থান সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি ফলে ২৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।