বিডি বিশেষ প্রতিবেদক :
কক্সবাজার শহরের কলাতলী এলাকায় অগ্নিকাণ্ডে পড়ে যাওয়া মুরগির খামারটি এখনো সেই অবস্থায় রয়েছে। চারিদিকে পোড়া গন্ধ। এ খামারে আবার মুরগি উঠাতে পারবে কিনা এই নিয়ে শঙ্কিত খামারি। ঘর পুড়ে যাওয়া দিনটি পরিবার এখনো খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। অগ্নিকাণ্ডে মুরগির খামারের অর্ধ কোটি টাকার ক্ষতি হলেও এখন পর্যন্ত কোন সরকারি বেসরকারি সহযোগিতা পাওয়া যায়নি।
এলাকাবাসী জানায়, গত ১৪জুলাই বিকেলে কক্সবাজার পৌরসভার কলাতলী গয়মতলী গ্রামে নারী উদ্যোক্তা নয়ন সেলিমার খামারে আগুন লাগে। এই সময় ২ টি বসত ঘরও পুড়ে ছাই হয়ে যায়। খামারি দাবি করেছেন, আগুনে তার প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় খামারে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যে ২টি বসত ঘর ও পুরো খামারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ৩ টি ইউনিট ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় ৩ ঘন্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
মুরগির খামারী নারীর উদ্যোক্তা নয়ন সেলিনা বলেন, ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে তিনি এবারে মুরগি উঠিয়েছেন খামারে। দীর্ঘদিন ধরে খামারে লোকসান চলছে তার ওপর এ অগ্নিকাণ্ডে তার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আগুনে তার খামারের চারটি শেড পুড়ে গেছে। এতে প্রায় দুই হাজার পাঁচশত লেয়ার মুরগি,১ হাজার ডিম, ১ লাখ টাকার খাদ্য পুড়ে ছাই হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৫০ লাখ টাকার মতোক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
নারী উদ্যোক্তা ও খামারের মালিক নয়ন সেলিনা জানান, অগ্নিকাণ্ডের পর পাঁচ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো সরকারি বেসরকারি কোন সাহায্য সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। এই অগ্নিকাণ্ডটির সূত্রপাত পুড়ে যাওয়া পাশের ঘরের চুল্লির আগুন থেকে এসেছে জানিয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় অভিযোগও করেছেন খামারের মালিক নয়ন সেলিনা। রবিবার সদর মডেল থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্থানীয়দের সাথে কথা বলেছেন।
পুড়ে যাওয়া তিনটি পরিবারের সদস্যরা এখনো খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে।
নারী উদ্যোক্তা নয়ন সেলিনা জানান, এই অগ্নিকাণ্ডে তার 50 লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। পুড়ে যাওয়া মুরগিগুলো খামারের পাশেই ফুতে ফেলা হয়েছে। তারপরও চারিদিকে এখনো মুরগি পুড়ে যাওয়ার গন্ধ। নয়ন সেলিনা বলেন, পুড়ে যাওয়া খামারটি আবার দাঁড় করাতে পারবো কিনা এ নিয়ে সংশয়ের মধ্যে রয়েছি। ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে এই খামারটি করেছিলাম। এখন আমার সব পুড়ে গেছে। ব্যাংকের টাকা কিভাবে পরিশোধ করব বুঝতে পারতেছি না। তার ওপর খামারটি আবার দাঁড় করাতে আবারও ঋণ নিতে হবে আমাকে। কিন্তু এখন আমাকে কে ঋণ দেবে।