বিডি প্রতিবেদক :
বর্তমান সরকারের মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির যথাযথ বাস্তবায়নকল্পে মাঠ পর্যায়ে বিজিবি’র অভিযানিক কর্মকাণ্ড এবং গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়ন দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ২,৭০,২৮,২২০/- (দুই কোটি সত্তর লক্ষ আটাশ হাজার দুইশ বিশ) টাকা মূল্যমানের ১টি কাঠের নৌকাসহ ৯০,০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং অন্যান্য চোরাচালানী মালামাল উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।
অদ্য ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখ রাতে বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধীনস্থ হ্নীলা বিওপি’র একটি চোরাচালান প্রতিরোধ টহলদল বিআরএম-১২ হতে ৫০০ গজ উত্তর-পূর্ব দিকে মেম্বার ঘাট এলাকায় নাফ নদীতে নৌকাযোগে নিয়মিত টহল কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। আনুমানিক রাত ০১০০ ঘটিকায় টহলদল দুইজন ব্যক্তিকে মায়ানমার হতে একটি কাঠের নৌকাযোগে শূন্য লাইন অতিক্রম করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আসতে দেখে। উক্ত নৌকাটি দেখা মাত্রই পূর্ব থেকেই কৌশলগত অবস্থানে থাকা বিজিবি টহলদল বর্ণিত ব্যক্তিদের চ্যালেঞ্জ ও ধাওয়া করলে উক্ত ব্যক্তিরা নৌকা হতে লাফিয়ে নাফ নদীতে ঝাপ দিয়ে সাঁতার দিয়ে মায়ানমারের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে টহলদল নৌকাটি উদ্ধার করে নৌকার পাটাতনের নিচ হতে পলিথিন দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় দুইটি প্লাষ্টিকের ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত ব্যাগের ভিতর হতে ৯০,০০০ (নব্বই হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং ০১ প্যাকেট রীচ কফি, ০৩ কেজি শুটকি, ১০ প্যাকেট বার্মিজ সিগারেট, ০৫ প্যাকেট বিস্কুট ও ০২ বোতল কোমল পানীয় আটক করতে সক্ষম হয়। এছাড়াও অবৈধ মাদকদ্রব্য বহনের দায়ে উক্ত কাঠের নৌকাটিও জব্দ করা হয়।
আটককৃত ইয়াবা ট্যাবলেট, কাঠের নৌকা ও অন্যান্য চোরাচালানী মালামালের আনুমানিক সিজার মূল্য ২,৭০,২৮,২২০/- (দুই কোটি সত্তর লক্ষ আটাশ হাজার দুইশত বিশ) টাকা। পরবর্তীতে টহলদল কর্তৃক উক্ত এলাকায় ০২৩০ ঘটিকা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হলেও কোন চোরাকারবারী কিংবা তাদের সহযোগীকে আটক করা সম্ভব হয়নি। উক্ত স্থানে অন্য কোন অসামরিক ব্যক্তিকে পাওয়া যায়নি বিধায় চোরাকারবারীদের সনাক্ত করাও সম্ভব হয়নি। তবে, চোরাকারবারীদের সনাক্ত করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।