ইকরাম চৌধুরী টিপু :
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট শুক্রবার প্রথম প্রহরে উখিয়ার যে পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছিল পালংখালী ইউনিয়নের ধামনখালী সীমান্ত। নাফ নদী যেখানে ছোট খাল হয়ে বালুখালী দিয়ে নাইকংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমের দিকে চলে গেছে।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের খবর সংগ্রহের জন্য জেলা সদর থেকে সর্বপ্রথম ছুটে গিয়েছিলাম সেই ধামনখালী এলাকার নাফ নদীর পাড়ে পাঁচ বছর পর আবার সেই পয়েন্টে বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্তের নো-ম্যান্স ল্যান্ডে অনেকটা জনমানবহীন এলাকা।
ওপারে সীমান্তের কাছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী আর আরকান আর্মি মধ্যকার গোলাগুলি সংঘর্ষ এপারের জনজীবনেও যেন স্থবিরতা অজানা আশংকা এনে দিয়েছে।
এপারের বাসিন্দাদের ভাষ্যমতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর আর আরকান আর্মির মর্টার শেল গোলাগুলির শব্দের চেয়ে তাদের ভয় বেশি সীমান্তে রোহিঙ্গা গুটি ব্যবসায়ী একটি গ্রুপের অবাধ তৎপরতা ও এপার-ওপার চলাচলে।
আরেকটি বিষয় লক্ষণীয় রোহিঙ্গা ঢলের কারণে বিদেশি টাকায় উখিয়া টেকনাফে রাস্তা ঘাটের যে হারে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হয়েছে, সেখানে পালংখালী ইউনিয়ন ধামনখালী থাইনখালী সহ অনেক এলাকায় রাস্তা ঘাটের ছিটেফোঁটা উন্নয়ন দেখা যায়নি। যে কারণে ওপারের রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপের গুটি ব্যবসায় কোন সমস্যা হচ্ছে না। বিজিবি র্যাব সহ আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযানে গেলেই তারা ওপারে নিরাপদে পালিয়ে যাচ্ছে। মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী নাকি তাদের আদরে আপ্যায়নে রাখে।
গুটিকয়েক রোহিঙ্গা গুটি সন্ত্রাসী গ্রুপ আমাদের সীমান্তের জন্য বিষফোড়া হবে নাতো।
এনটিভির কক্সবাজার স্টাফ রিপোর্টার ইকরাম চৌধুরী টিপুর ফেসবুক থেকে নেওয়া