মানিক বৈরাগী :
বই সংগ্রাহক ও পাঠকদের অনুরোধে শেখ হাসিনা বইমেলা ২২-এর সময় একদিন বর্ধিত করা হয়। গতকাল ২৬/৯/২২ তারিখ ছিল মেলার সমাপনী দিন। সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক ছাত্রনেতা, কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রঞ্জিত দাশ ও বিশেষ অতিথি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কৃষি ও সমবায় উপ-কমিটির নির্বাহী সদস্য নিসরুল কবির কায়েম নিহাদ।অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন সাবেক ছাত্রনেতা ও ফাসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন হেলালী।
প্রধান অতিথি এডভোকেট রঞ্জিত দাশ তাঁর বক্তব্যে বলেন-সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে জেলা পর্যায়ে যে বইমেলা হয় সেখানে কিন্তু আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কথাবলি, রাজনীতি করি, আমাদের প্রয়োজনীয় বইগুলো একসাথে পাওয়া যায় না। আবার যা পাওয়া যায় তা আওয়ামীলীগের ক্ষমতায় থাকার সুযোগে একশ্রেণীর অসাধু প্রকাশক মলাটে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি বসিয়ে দিয়ে শুধু নানান নাম বসিয়ে ব্যবসায়িক ফায়দা লুঠছে। পাশাপাশি ইতিহাসেরও বিকৃতি ঘটাচ্ছে। কিন্তু মানিক বৈরাগী নিজে লেখক বেছে বেছে ইতিহাসের মৌলিক বইগুলো আমাদের জন্য এনেছেন। এজন্য তাকে জেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে আমি অভিনন্দন জানাই।
বিশেষ অতিথি নসরুল কবির কায়েম নিহাদ তার বক্তব্যে বলেন-কবি মানিক বৈরাগী বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণের প্রান্তিক জেলা কক্সবাজার থেকে প্রথম শুরু হওয়া শেখ হাসিনা বইমেলা সারাদেশে এ রকম বঙ্গবন্ধুর কলম সেনারা যে শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে বইমেলার মধ্যদিয়ে ৭৫এ হারিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের সমাজ – রাষ্ট্র দর্শন ভিত্তিক সাহিত্য চর্চার জন্য তৃণমূল থেকেই উদ্যোগি হতে পারেন। সেই কঠিন কাজটি দুর্দিনের নির্যাতিত প্রগতিশীল ছাত্রনেতা কবি মানিক বৈরাগী শুরু করেছেন। এটাকে রাষ্ট্রীয় ভাবে স্বীকৃতি দেয়ার উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন।
চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন সভায় ঘোষণা দেন, তার এলাকায় প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, স্কুল লাইব্রেরীতে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ, শেখ হাসিনার পাশাপাশি সৃজনশীল বইয়ের জন্য পাঠাগার গড়ে তুলবেন।
সভাপতির সমাপনী বক্তব্যে মানিক বৈরাগী বলেন কোন প্রকার রাষ্ট্রীয় সহযোগিতা ছাড়া শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে শেখ হাসিনা বইমেলা সফলভাবে সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছি। একটি মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী প্রগতিশীল, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক, জাতীয়তাবাদী ও অসাম্প্রদায়িক জাতিরাষ্ট্র গঠন করতে হলে বইয়ের বিকল্প নেই। বই কিনে ও পড়ে কেউ দেউলিয়া হয় না। লেখক-দার্শনিক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লেখকসত্তাকে তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দিতে এবং বই কেনায় উদ্বুদ্ধ ও পাঠক সৃষ্টির লক্ষ্যে আমি শেখ হাসিনা বইমেলার আয়োজন করেছি। কোনো প্রকার স্বার্থসিদ্ধি নয়, শেখ হাসিনার মহান আদর্শৃ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একজন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান হিসেবে এটি আমার আরেকটি সাংস্কৃতিক যুদ্ধ। কতিপয় রাজনৈতিক ব্যক্তির ঈর্ষা ও কৌশলগত বাধা অতিক্রম করে পাঠকের ভালোবাসায় পাঁচদিন ব্যাপি এই মেলা সফলভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি। ঐকান্তিক সহযোগিতা পেয়েছি কক্সবাজার জেলা প্রশাসন, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কবি ও শিশুসাহিত্যিকি মোঃ নাছির উদ্দিন, সত্যেন সেন শিল্পী গোষ্ঠী, টিটিএন, নিহাদ মেরিনার্স কনস্ট্রাকশন, স্থানীয় পত্রিকা ও নিউজ পোর্টাল সমুহ। তাদের প্রতি রইল আন্তরিক কৃতঞ্জতা ও ভালোবাসা। সমাপনি বক্তব্যে মানিক বৈরাগী আগামি বছর মেলাতে সেরা শিশুতোষ বই সংগ্রাহক ও একজন কবিকে সম্মাননা প্রদান করা হবে বলে ঘোষণা দেন।
সভার এক পর্যায়ে এডভোকেট রনজিত দাশ ও মানিক বৈরাগী চকরিয়া পেকুয়া আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য জফর আলমের সেরা বই সংগ্রাহক ক্রেস্টটি সাবেক ছাত্রনেতা মাননীয় সংসদ সদস্য জাফর আলমের একান্ত সচিব আমিন চৌধুরী ও চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামীলীগের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক লায়ন আলমগীর হাতে তুলে দেন।