বিডি প্রতিবেদক চকরিয়া :
কক্সবাজারের চকরিয়ায় গত ১১ডিসেম্বর
মৎস্য ঘেরের অস্থায়ী ইজারাদার মোহাম্মদ খালেদ চৌধুরীর করা চাঁদাবাজি মামলায় স্হায়ী জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে
জেলা পরিষদ সাবেক সদস্য আবু তৈয়ব’কে জেল-হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন,চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোঃ জাহিদ হোছাইন।
বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বিচারক মোঃ জাহিদ হোছাইন এই নির্দেশ দিয়েছেন।
আবু তৈয়ব উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের কোরালখালী ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্বপাড়া গ্রামের আবদুল হাকিমের ছেলে।তিনি কক্সবাজার জেলা পরিষদের সদস্য ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এপিপি এডভোকেট মো. শহীদুল্লাহ।তিনি বলেন,চাঁদাবাজি মামলাটি হাইকোর্ট থেকে অস্হায়ী জামিন নিলেও,মহামান্য হাইকোর্ট জামিনের নিদিষ্ট সময় শেষে নিন্ম আদালতে আত্মসমর্পনের মাধ্যমে স্হায়ী জামিন লাভের নিদের্শ দেন।কিন্তু তিনি নিদিষ্ট সময়ে আদালতে আত্মসমর্পণ না করায় দায়ে আদালত তাকে জেল-হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন বিচারক।
এদিকে আগামী ১৭ অক্টোবর কক্সবাজার জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।উক্ত নির্বাচনে আবু তৈয়ব সদস্য প্রার্থী হয়েছেন।তবে নির্বাচনে অংশ নিতে গিয়ে হলফনামায় তিনি মামলার বিষয়টি গোপন রেখেছেন।পরবর্তী বিষয়টি ফাঁস হলে বিষয়টি আমলে নিয়ে প্রার্থিতা বাতিল করেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।
প্রার্থীতা বহাল রাখতে তিনি বিভাগীয় কমিশনারের কাছে আপিল করেন।কমিশনার তাও নামঞ্জুর করেন।এরপর হাইকোর্টে আপিল করার পর তা স্থগিত করেন।
জানা যায়, গত ২০২১সালের ৫ ডিসেম্বর রাত ১টার দিকে উপজেলার পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়নের ভাদীবন্যা ও উত্তর এমএলএম নামক ৮০০ একর চিংড়ি ঘেরে আবু তৈয়বের নেতৃত্বে অস্ত্রধারী একদল ডাকাত ওই চিংড়ি ঘেরে হামলা চালায়।
এ সময় ঘেরের কর্মচারী সকলকে অস্ত্র ধরে জিম্মি করার পর মারধর সহ মাছ,মালামাল লুট করে।এই চিংড়ি ঘেরে মৎস্য চাষ করতে হলে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হবে।এমন দাবীর কথা এজাহারের উল্লেখ করেন বাদী।তাই গত ২০২১সালের ১১ডিসেম্বর মৎস্য ঘেরের অস্থায়ী ইজারাদার মোহাম্মদ খালেদ চৌধুরী বাদী হয়ে আবু তৈয়বকে প্রধান আসামি করে ১৮ জনের বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় একটি চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিন চাইলে হাইকোর্টের বিচারক তাকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেন।