বিডি প্রতিবেদক:
নাইক্ষ্যংছড়ি তুমব্রু সীমান্তে শূন্য রেখায় মিয়ানমারের পুঁতে রাখা স্থলমাইন বিস্ফোরণে ওমর ফারুক (১৭) নামে এক রোহিঙ্গা কিশোর মারা গেছে। সে শূনরেখার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মো. আয়ুবের পুত্র । রবিবার (২ অক্টোবর) সকালে এই ঘটনা ঘটলেও ঘটনাটি চেপে যায় রোহিঙ্গারা। পরে বিষয়টি জানাজানি হয়। এর আগে রোহিঙ্গারা লাশ উদ্ধার ও দাফন করে ফেলে।
রোহিঙ্গাদের উদ্ধৃতি দিয়ে ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, শূন্যরেখার বাসিন্দা ওমর ফারুক ও মো. আবদু ইয়্যা নামে দুই রোহিঙ্গা সকালে তুমব্রু সীমান্তের পাহাড়ি ছড়ায় মাছ শিকারে বের হয়। এ সময় সীমান্তে মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনীর (বিজিপি) পুঁতে রাখা স্থলমাইন বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ওমর ফারুকের দুই পা বিচ্ছিন্ন হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। তবে এ ঘটনায় আবদু ইয়্যা নামে আরেক জন প্রাণে রক্ষা পায়। পরে তার মাধ্যমে খবর পেয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে সীমান্তের একটি কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর শূন্যরেখা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেলের বিস্ফোরণে মোহাম্মদ ইকবাল (১৮) নামে এক রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আরও ছয় জন আহত হন। তার আগের দিন (১৬ সেপ্টেম্বর) তুমব্রু সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে থাইন চাকমা নামে এক বাংলাদেশি যুবক আহত হন।