আবরার চৌধুরী :
কক্সবাজারে আলোচিত রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলায় স্বাক্ষগ্রহনের দিন পিছিয়েছে। প্রথম দিন স্বাক্ষী না আসায় জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এই মামলার স্বাক্ষগ্রহন হয়নি। আজ মংগলবার ১১ অক্টোবর মুহিব্বুল্লাহ হত্যা মামলার বিচারিক কার্যক্রমের স্বাক্ষগ্রহনের নির্ধারিত দিন ধার্য্য ছিল।
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম জানিয়েছেন মুহিব্বুল্লাহ হত্যা মামলা আজ ১১ অক্টোবর থেকে স্বাক্ষগ্রহনের নির্ধারিত দিন ধার্য্য ছিল। সকালে এই মামলার গ্রেফতার ১৪ আসামিকে জেলা কারাগার থেকে জজ আদালতে হাজির করা হয়। আদালত মামলার বাদী সহ ৭ স্বাক্ষীদের সমনও ইস্যু করে। কিন্তু দুপুর পর্যন্ত কোন স্বাক্ষী স্বাক্ষ্য দিতে আদালতে হাজির হয়নি। তাই মামলার স্বাক্ষগ্রহন করা হয়নি। আদালত স্বাক্ষগ্রহনের জন্য পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করবেন। তিনি জানান গত ১১ সেপ্টেম্বর মুহিব্বুল্লাহ হত্যা মামলায় ২৯ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জ গঠন করা হয়েছিল।
গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়ার কুতুপালং লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-ব্লকের আরকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস (এআরএসপিএইচ) সংগঠনের কার্যালয়ে বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত হন মুহিবুল্লাহ। তিনি ওই সংগঠনের চেয়ারম্যান ছিলেন।
৩০ সেপ্টেম্বর মুহিববুল্লাহর ছোট ভাই হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্ত ভার পান উখিয়া থানার ওসি তদন্ত গাজী সালাহ উদ্দিন। তদন্ত শেষে ২৯ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছিলেন।
উখিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী জানিয়েছেন গ্রেপ্তার ১৫ জনের মধ্যে ৪ জন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। একই সঙ্গে ৩ জন স্বাক্ষীও ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। এ হত্যাকাণ্ডে ৩৬ জনকে জড়িত হিসেবে সনাক্ত করা হলেও ৭ জনের ঠিকানা ও অবস্থান সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি ফলে ২৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।