শিরোনাম :
দেশের সবচেয়ে বৃহত্তম প্রতিমা বিসর্জন কক্সবাজার সৈকতে পেকুয়ায় নিহত স্কুল শিক্ষক আরিফের জানাজায় শোকার্ত মানুষের ঢল পেকুয়ায় নিখোঁজের ১৪ দিন পর স্কুলশিক্ষক মোহাম্মদ আরিফ এর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ মিয়ানমারের নৌ বাহিনীর হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত আহত জেলেদের ফেরত আনা নিয়ে যেসব তথ্য জানালেন কোস্টগার্ড বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা ও দুর্গাপূজায় অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির অভিযোগে কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর এহসান যৌথ বাহিনীর হাতে গ্রেফতার মিয়ানমারের চেয়ে ভালোভাবে পূজা করতে পারছে বাংলাদেশ আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা হিন্দুরা পরিবেশ সম্মত আধুনিক পর্যটন শিল্প গঠন করে কক্সবাজারকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে হবে-তাহলে বিদেশী পর্যটকরা ভ্রমনে আসবে পেকুয়ায় শারদীয় দূর্গাপূজা মন্ডপে সর্তক অবস্থানে র‍্যাব,আইনশৃঙ্খলা সুমন্নত রাখা হবে : এ এসপি র‍্যাব ১৫ মহেশখালী ঘাটের অনিয়ম বন্ধ ও সোনাদিয়া ইকো ট্যুরিজম প্রকল্প বাতিলের দাবি উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারের জেরে আরসা ও আরএসও সন্ত্রাসীদের মধ্যে গোলাগুলিতে এক যুবক নিহত এবং পাঁচজন আহত

শেখ হাসিনার কাছে স্বামী-স্ত্রী’র আবেদন: আ’লীগ প্রার্থী’র জয়ের বাঁধা ৪ ভাই : প্রার্থীতা প্রত্যাহারের হুশিয়ারি দিলেন মোস্তাক

নিউজ রুম / ২৪ বার পড়ছে
আপলোড : সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:১০ পূর্বাহ্ন

বিডি প্রতিবেদক :
কক্সবাজার জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর জয়ের বাঁধা আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ( সদ্য বহিষ্কৃত) শাহীনুল হক মার্শাল তাঁর তিন ভাই বলে দাবী করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়েছেন আওয়ামীলীগ প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য খান বাহাদুর মোস্তাক আহমদ ও তার স্ত্রী সংসদ সদস্য কানিজ ফাতেমা মোস্তাক।
৬ অক্টোবর জাতীয় সংসদের নিজস্ব প্যাডে কানিজ ফাতেমা মোস্তাক ও একই তারিখে কক্সবাজার জেলা পরিষদের প্যাডে মোস্তাক আহমদের দলীয় সভানেত্রীর কাছে করা আবেদন দুটি থেকে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া মার্শাল নির্বাচনী প্রচারণায় অবৈধ অস্ত্র ও কালো টাকা ব্যবহার করেছেন বলে দাবী করে প্রার্থীতা প্রত্যাহারেরও হুশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামীলীগ প্রার্থী মোস্তাক। তবে নিশ্চিত পরাজয় জেনেই নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানোর জন্যই এমন করছেন মোস্তাক বলে মন্তব্য করেছেন শাহীনুল হক মার্শাল।

প্রধানমন্ত্রীর কাছে করা আবেদনে ১৭ অক্টোবরের অনুষ্ঠিতব্য কক্সবাজার জেলা পরিষদ নির্বাচণে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোস্তাক আহমদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী শাহিনুল হক মার্শালের পক্ষে সরাসরি ভোট করার কারণে তার তিন ভাই জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাশেদুল হক রাশেদ, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক সোহেল ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব কাইসারুল হক জুয়েল এর বিরুদ্ধে কঠোরতম সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে।

আবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়, প্রার্থী ও তাঁর তিন ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা ও কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে। এরমধ্যে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করায় মার্শালকে দল থেকে সাময়িক বহিস্কার ও করা হয়েছে।

তারপরও দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে সংগঠনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে মার্শালের পক্ষে তার তিন ভাই রাশেদ, সোহেল ও জুয়েল সরাসরি ভোট করছেন। তারা তাদের অবৈধ কোটি কোটি কালো টাকা খরচ করে ভোটারদের মন জয় করতে চেষ্টা করছেন। এছাড়াও মার্শালের বড় ভাই রাশেদ আওয়ামীলীগের একটি অংশকে নিয়ে, মেজ ভাই সোহেল জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন যুবলীগের একটি অংশকে সাথে নিয়ে এবং অপর ভাই জেলা স্বেচ্চাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাইসারুল হক জুয়েল সরাসরি পুরো জেলা জুড়ে মার্শালের পক্ষে ভোট যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছেন। এই কারণে জেলা আওয়ামীলীগ পরিবার বিভ্রান্ত ও হতাশ হয়ে পড়েছে। এছাড়া মার্শালের তিন ভাই বিভিন্ন গণমাধ্যম, মিড়িয়া ও সব জায়গায় অত্যন্ত নোংরা ও খারাপ ভাষায় আওয়ামীলীগ প্রার্থী মোস্তাক ও তার স্ত্রী কানিজ ফাতেমাকে নিয়ে গালিগালাজ করছে। অবস্থা এমন হয়ে দাড়িয়েছে এই তিন ভাইকে থামানো না হলে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসাবে বিজয়ী হওয়া অত্যন্ত দূরুহ হবে।
এবিষয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোস্তাক বলেন, অবৈধভাবে অস্ত্র নিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছে ও শপথ করিয়ে ভোটারদের মাঝে টাকা বিতরণ করছে মার্শাল। তাই তার পরিবারের সদস্যদের টাকার হিসাব খতিয়ে না দেখলে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করবো।

ওই ৪ ভাইয়ের নোংরামির বিষয়গুলো আমি লিখিতভাবে দলীয় সভানেত্রীকে জানিয়েছি। আমার কাছে মনে হয় আমার জয় নিশ্চিত করতে হলে মার্শাল ও তাঁর তিনভাইকে থামাতে হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে এই বিষয়গুলো আমি লিখিতভাবে জানিয়েছি।
আর সংসদ সদস্য কানিজ ফাতেমা মোস্তাক বলেন, আমার ও আমার স্বামী মোস্তাক আহমদের আবেদনের বিষয় একই। তবে আমরা আলাদাভাবে আবেদন করেছি।

অন্যদিকে এ অভিযোগগুলো অস্বীকার করে আনারস প্রতীকের প্রার্থী মার্শাল বলেন, আচরনবিধি আমি নয় লঙ্গন করছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী। তার প্রচারনায় নিয়মিত অংশ নিচ্ছেন সংসদ সদস্যরা।
অস্ত্র এবং টাকার বিষয়ে মার্শাল বলেন, আমাকে যে বাজেট দেওয়া হয়েছে সে বাজেটের মধ্যেই আমি খরচ করছি। আমি যেহেতু সরকারকে ৩০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর দেই তাই সরকার আমাকে লাইসেন্সধারী বন্দুক দিয়েছে। ৯ উপজেলায় গিয়ে যেহেতু প্রচারণা চালাতে হচ্ছে তাই এটা আমার নিরাপত্তার জন্য ব্যবহার করছি।

মার্শালের ছোট ভাই ও কক্সবাজার সদর উপজেলা চেয়ারম্যান কায়সারুল হক জুয়েল বলেন, ইতিমধ্যে মোস্তাক আহমদকে লাল কার্ড দেখিয়েছেন ভোটাররা। নিজের নিশ্চিত পরাজয় জেনে বাজে প্রলাপ বকছেন তিনি। পরাজয় ঠেকাতেই কালো টাকা ও অবৈধ অস্ত্রের কথা বলে মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছেন ।
তিনি আরো বলেন, কক্সবাজার আওয়ামীলীগের জন্য আমাদের পরিবারের অবদানের কথা সকলেই জানেন। আমরা কখনো আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে ছিলাম না। এটা স্থানীয় নির্বাচন। এখানে সমর্থন রয়েছে আওয়ামী লীগের কিন্তু প্রতীক নেই।
এবিষয়ে জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশীদ বলেন, অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা করার প্রয়োজন আমরা সবই করছি।

এবারের কক্সবাজার জেলা পরিষদ নির্বাচনে চারজন চেয়ারম্যান, নয়টি সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য পদে ৩৩ জন এবং তিনটি সংরক্ষিত নারী আসনের ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।


আরো বিভিন্ন বিভাগের খবর