এস এম হুমায়ুন কবির :
গতকাল ১২ অক্টোবর সকাল ৮ ঘটিকায় কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ কচ্ছপিয়া স্টেশন চত্বরে পোল্ট্রি ফার্মের খাদ্য সরবরাহ কে কেন্দ্র করে মোজাফফর আহমদের সাথে একই এলাকার আবু তালেব মেম্বারের পুত্র সোহেল রানার কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটি থেকে হাতাহাতির সূত্র পাত হয়।
এ খবর উভয় গ্রুপের কাছে পৌছলে উভয় গ্রুপের লোকজন রাম দা,হকিষ্টিক, লাঠি ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঘটনাস্থলে মুখোমুখি অবস্থান নেয়।
আবু তাহের সিকদার প্রকাশ তাহের মেম্বারের পুত্র ফয়সাল হোসাইন জানান,প্রথমে মোজাফফর আহমদ ভাই মনজুর আলম এবং দুই পুত্র মুছা, ইসা আকস্মিক ফয়সাল হোসাইন ও সোহেল রানার উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়।
কিছুক্ষণের মধ্যে ইলিয়াসের পুত্র হারুনর রশীদ, এনামুল হক, মরহুম সালেহ আহমদের পুত্র নজরুল মেম্বার, সাইফুল ইসলাম, বদিউল আলম, সামশুল আলম, শাহ আলম এবং সাইফুল ইসলামের পুত্র আজিজ মৌলা ও মরহুম আবু তাহেরের পুত্র জাহাঙ্গীর আলম এবং ভুট্টো তাহের মেম্বারের লোকজন কে ব্যাপক মারধর করেন। এতে আবু তাহের সিকদার গ্রুপের অনেকে হামলার শিকার হয়েছে তবে আবু তাহের মেম্বারের দুই পুত্র সোহেল রানা (২৮) এবং ফয়সাল হোসাইন (২২) এর অবস্থা আশঙ্কা জনক। তারা নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে ও জানা গেছে।
এদিকে নজরুল ইসলাম প্রকাশ নজরুল মেম্বার জানিয়েছেন, বিনা উস্কানিতে তাহের মেম্বার গ্রুপ পরিকল্পিত ভাবে তার লোকজনের উপর বর্বর হামলা চালিয়েছে।হারুন ও খোকনের সারা শরীরে মারাত্মক জখম হওয়ায় কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কা জনক বলে ও জানান নজরুল ইসলাম।
গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা,মাসুদ রানা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এ প্রতিবেদক কে জানান, উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তবে নজরুল মেম্বার গ্রুপের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ থানায় জমা পড়েছে। তদন্ত পূর্বক অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে ও জানান পুলিশ ইন্সপেক্টর মাসুদ রানা।