হামিদ কাইছার :
পাহাড় রক্ষার্থে এবার মাঠে নামলেন মহেশখালী থানা পুলিশ। গভীর রাতে ওসির সফল অভিযানে ৫টি মাটিভর্তি ডাম্পার জব্ধ করা হয়।
১৪ অক্টোবর গতস্থ গভীর রাতে মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নে বারঘর পাড়ার পাহাড়ি এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওসি প্রণব চৌধুরীর নেতৃত্বে এসআই আবু বক্করসহ একাধিক ফোর্স নিয়ে মোবাইল কোর্টের এ অভিযানে ৫টি মাটিভর্তি ডাম্পার গাড়ী জব্ধ করেছে পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাটি বা বালি খেকো ও শ্রমিক পালিয়ে গেলেও গাড়ী সরাতে পারেনি তারা। দেশের একমাত্র পাহাড় সমৃদ্ধদ্বীটি প্রভাবশালী মাটি ও বালি খেকোরা গিলে খাচ্ছে। উপজেলা প্রশাসন তা দেখেও না দেখার ভানধরে। যারদরূন পুলিশ প্রশাসন বাধ্য হয়ে এ অভিযান চালিয়েছে। তবে এ অভিযান সফল হওয়ায় পুলিশের এমন ব্যতিক্রমধর্মী ভূমিকায় জনমনে প্রশংসনীয় হয়েছেন। সূত্রে জানা যায়, মহেশখালীতে দীর্ঘদিন যাবৎ পাহাড়কাটা ও বালি উত্তোলন অভিযোগ ছিলো। অভিযানে আটক ডাম্পার ও অভিযুক্ত ব্যক্তি আটক হলেও কিছুদিন পর বেরিয়ে আসে বলেই আবারো তারা পাহাড় কাটায় ব্যস্ত থাকে এমন মন্তব্য পরিবেশবাদীদের।
থানা সূত্রে জানাগেছে, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ এর ১৫ এ বালি মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ১৫ ধারায় ১৫ অক্টোবর পাহাড় কর্তনের সাথে সম্পর্কিত এবং জব্ধকৃত পাঁচ ডাম্পার সংক্রান্ত ছোট মহেশখালী দক্ষিণ কুলের মৃত শামসুল ইসলাম এর পুত্র জাহেদ সিকদার (৩০), পৌরসভা পাল পাড়াস্থ মৃত সুভাষ পালের পুত্র স্বপন পাল (৪৫), ছোট মহেশখালী নলবিলার আবুল হাশেমের পুত্র সারোয়ার প্রকাশ সুইননা(৩৮) এবং হোয়ানক পানিরছড়া জৈয়ারকাটা মৃত রশিদ আলী পুত্র সেলিম প্রকাশ সল্লু(৩০) চার জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত নামা আরো আছে দেখিয়ে মহেশখালী থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়।
মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি প্রণব চৌধুরী জানান, পাহাড় কর্তনে জড়িতদের তথ্যও পুলিশের কাছে রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে বনবিভাগকে অবগত করে সংশ্লিষ্ট আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি আরো জানান, পাহাড় খেকোদের বিন্দু পরিমান ছাড় দেওয়া হবে না এবং সে যে হউক না কেন্। যারা পাহাড় খেকোদের জন্য বিভিন্নভাবে লবিং করবে তাদেরও কোনরকম ক্ষমা করা হবে না।