হামিদ উল্লাহ :
১৯৭০ সালে বঙ্গবন্ধুর প্রার্থীর বিরুদ্ধে জয়ী হয়ে চমক সৃষ্টি করেছিলেন তরুণ খান বাহাদুর মোস্তাক আহমদ চৌধুরী। এরপর ১৯৭৩ সালে এম পি হন। ১৯৮৬ সালে জয়ী হলেও ভোট ডাকাতি করে জয়ী হন জাপার দিদারুল আলম চৌধুরী। সর্বশেষ ১৯৯১ সালে স্বল্প ভোটের ব্যবধানে রাজনীতির মাঠে অতি নবীন বিএনপির প্রার্থী খালেকুজ্জামানকে পরাজিত করেন। ১৯৯৬ সালে ২৯ হাজার এবং ২০০১ সালে একলাখ ভোটের ব্যবধানে হেরে যান। এরপর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে একেএম মোজাম্মেল হকের কাছে ভোটাভোটিতে হেরে যান খান বাহাদুর।
ভাগ্যিস জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের পদটি ফিরে এসেছিল। সেই সুবাদে গত এক দশকের বেশি সময় তিনি সম্মানের জায়গায় ছিলেন। কারণ এই দীর্ঘ সময় তিনি কোনো নির্বাচনের মুখোমুখি হননি। তবে ওই পদে থেকে তিনি গণমানুষের কতখানি কাছে আসেন বা আদৌ এসেছিলেন সে প্রশ্ন সবসময় ছিল কক্সবাজারের মানুষের মনে। যেমন ছিল তিনি এমপি থাকাকালে। মানুষ নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছেন। মোস্তাক আহমদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় বদনাম ছিল তিনি এলাকায় কখনো যেতেন না। সংসদেও।
আমি জীবনের প্রথম ভোট ১৯৯৬ সালে দিয়েছি। তিনি জিতেননি। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করেছিল।
জনবিচ্ছিন্ন থাকার ফল রাজনীতির অন্তিমকালে এসে আরেকবার পেলেন খান বাহাদুর সাহেব। কক্সবাজারের রাজনীতিবিদদের মধ্যে বোধ করি তিনিই সবচেয়ে বয়োঃজ্যেষ্ঠ। হেরে গেলেন সবচেয়ে বয়ো:কনিষ্ট প্রার্থীর কাছে।
#
দৈনিক আমাদের সময়ের চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান, রামুর ম কৃতি সন্তান হামিদ উল্লাহর ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে নেওয়া #