বিডি প্রতিবেদক :
সমুদ্র সৈকত এলাকার অবৈধ দখল ও স্থাপনা উচ্ছেদ সংক্রান্ত বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে হাইকোর্টে হাজির হয়েছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মামুনর রশিদ। আজ বুধবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হবে।
গত ২৫ আগস্ট উচ্চ আদালত অবমাননার অভিযোগের শুনানি নিয়ে কক্সবাজারের ডিসিসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ। একই সঙ্গে ডিসি মামুনুর রশীদকে সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে ১৯ অক্টোবর তারিখ ধার্য করে দেন।
চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি সমুদ্রসৈকতের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের বিষয়ে লিগ্যাল (আইনি) নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ এ নোটিশ পাঠান। নোটিশে কক্সবাজারের ডিসিসহ পাঁচজনকে বিবাদী করা হয়। যে ৫ জনের বিরুদ্ধে রুল জারি করেন তারা হলেন- কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমেদ, উপ-পরিচালক, টাউন প্লানার তানভির হাসান, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মামুনর রশিদ, পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান ও কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মজিবর রহমান।
নোটিশে বলা হয়েছিল, কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত এলাকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য অক্ষুণ্ন রাখতে সেখান থেকে সব অবৈধ দখল ও স্থাপনা উচ্ছেদ করার আবেদন জানিয়ে জনস্বার্থে এইচআরপিবি আদালতে রিট মামলা দায়ের করলে আদালত রায় দেন। রায়ে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত এলাকার অবৈধ দখল ও স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য নির্দেশনা দেন। জনস্বার্থ বিবেচনা করে হাইকোর্ট ২০১১ সালের ৭ জুন বিবাদীদের কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত এলাকার অবৈধ দখল ও স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দিলেও তা সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন করা হয়নি।