শিরোনাম :
মহেশখালী ঘাটের অনিয়ম বন্ধ ও সোনাদিয়া ইকো ট্যুরিজম প্রকল্প বাতিলের দাবি উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারের জেরে আরসা ও আরএসও সন্ত্রাসীদের মধ্যে গোলাগুলিতে এক যুবক নিহত এবং পাঁচজন আহত মায়ের ডাক’র সমন্বয়ককে তুলে নেওয়ায় মির্জা ফখরুলের উদ্বেগ কৃষকের ফসল নষ্ট, সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব সহ ৭৬ জনের নামে মামলা বদির ‘আন্তর্জাতিক ক্যাশিয়ার’ ফারুককে গ্রেপ্তারে র‌্যাবের অভিযান, দুর্বৃত্তদের হামলা মাহমুদুর রহমানের কারাগারে যাওয়া নিয়ে যা বললেন আসিফ নজরুল কীভাবে ভারতে গেলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী? দেশে ফিরলেন মিজানুর রহমান আজহারী টেকনাফের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা রক্ষাসহ ১২দফা দাবী বাস্তবায়ন না হলে আগামীতে বৃহত্তর আন্দোলনের হুশিয়ারী বৈষম্য মুক্ত শান্তির সমাজ প্রতিষ্ঠায় রাসূলুল্লাহর স.- আদর্শই একমাত্র পথ “-মুহাম্মদ শাহজাহান

কক্সবাজারের সৌন্দর্য রক্ষায় আপনার পারফরম্যান্স শুধু জিরো নয়, নেগেটিভও

নিউজ রুম / ১৯ বার পড়ছে
আপলোড : শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৫ পূর্বাহ্ন

বিডি প্রতিবেদক :
সমুদ্র সৈকত এলাকার অবৈধ দখল
ও স্থাপনা উচ্ছেদ সংক্রান্ত নির্দেশনা
যথাযথভাবে প্রতিপালন না করায়
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক (ডিসি)
মামুনুর রশীদকে ভর্ৎসনা করেছেন
হাইকোর্ট। আদালত ডিসিকে উদ্দেশ
করে বলেছেন, ‘কক্সবাজারের
সৌন্দর্য রক্ষায় আপনার
পারফরম্যান্স শুধু জিরো নয়,
নেগেটিভও। বারবার বলার পরও
আপনি সর্বোচ্চ আদালতের আদেশ
করেননি। যদি
বাস্তবায়ন
আদালতের আদেশ না মানেন,
তাহলে আপনাকে ফল ভোগ করতে
হবে শেষ হতে পারে।সেটির ব্যাপারে আপনাকে
দায়িত্ব নিতে হবে।’
গতকাল বুধবার বিচারপতি জেবিএম
হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল
জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে
সশরীরে হাজির হন কক্সবাজারের ডিসি
মামুনুর রশীদ। আদালত অবমাননার
অভিযোগে তাকে তলব করা হয়েছিল।
এ সময় আদালত বলেন, সারা পৃথিবী
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের দিকে তাকিয়ে
আছে। এত সুন্দর সৈকতকে আমরা
ইউটিলাইজ্ (ব্যবহার করতে পারছি না।
এখানে দায়িত্ব পেলে কাজ করার সুযোগ
অনেক বেশি পাওয়া যায় উল্লেখ করে।
আদালত বলেন, ‘কিন্তু কক্সবাজারের জেলা
প্রশাসক যা করছেন, তাতে তার ক্যারিয়ার
শেষ হয়ে যেতে পারে।
আবেদনকারীর পক্ষে
আদালতে
ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
ডিসির পক্ষে ছিলেন মোমতাজ উদ্দিন
ফকির।এদিকে আদালতে একটি হলফনামা
জমা দেন জেলা প্রশাসক। এতে তিনি
জানান ৪১৭টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
এ ছাড়া আদালতের আদেশের কারণে
২৩৩টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা যায়নি।
শুনানি শেষে আদেশে আদালত
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসককে ব্যক্তিগত
হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।
পাশাপাশি আগামী ৯ নভেম্বর পরবর্তী
শুনানির জন্য দিন রেখেছেন। সেই দিনের
মধ্যে জেলা প্রশাসককে অগ্রগতি
এর আগে ২০১১ সালের ৭ জুন
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এলাকার অবৈধ
দখল ও স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়ে রায়
দেন হাইকোর্ট। ওই রায়ের আলোকে
কয়েক দফা নির্দেশনা দিলেও তা সম্পূর্ণ
বাস্তবায়ন করা হয়নি। পরে গত
ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের ডিসিসহ
সংশ্লিষ্টদের একটি আইনি নোটিশ দেওয়া
হয়। সন্তোষজনক জবাব না পাওয়ায়
আদালত অবমাননার আবেদন করে
হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর
(এইচআরপিবি)।
বাংলাদেশ
আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২৫ আগস্ট
হাইকোর্ট কক্সবাজারের ডিসিকে তলব
করেন আদালতে। সেই নির্দেশ অনুসারে
১৯ অক্টোবর হাজির হন জেলা প্রশাসক।
এ বিষয়ে আইনজীবী মনজিল
মোরসেদ বলেন, কক্সবাজার সৈকতে
অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য আমরা প্রথম
থেকেই ফাইট করছিলাম, এটিও হয়তো
চূড়ান্তভাবে সফলতা আসবে।


আরো বিভিন্ন বিভাগের খবর